জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের আট জঙ্গির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে আদালত৷
বিজ্ঞাপন
আলোচিত এই মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান৷ সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে আট আসামিকে৷
৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘‘তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে নিহতের আত্মা যেমন শান্তি পাবে, তেমনি ভবিষ্যতে এ রকম কাজ করার সাহস কেউ আর পাবে না৷ যারা কেবল বই প্রকাশের কারণে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা জাতি ও রাষ্ট্রের শত্রু৷’’
বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে দীপনকে হত্যা করা হয়৷
আলোতিত এই মামলার আট আসামি হলেন- বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের৷
আসামিদের মধ্যে পলাতক জিয়া ও আকরাম, বাকি আসামিরা কারাগারে৷ তারা সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
‘শান্তির দেশে’ সাংবাদিকেরা কম নিরাপদ
যেসব দেশে যুদ্ধ বা সংঘাত চলছে, এক সময় সেখানে সাংবাদিকতার ঝুঁকি অনেক বেশি ছিল৷ কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে ভিন্ন কথা৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: UNESCO
করোনাকালেও ৫০ জনের মৃত্যু
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে সারা বিশ্বে নিহত হয়েছেন মোট ৫০ জন সাংবাদিক৷ সবারই মৃত্যুর কারণ সাংবাদিকতা৷২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মৃত্যু হয় তাদের৷ ২০১৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ৫৩৷ তবে মনে রাখা দরকার, ২০২০ সাল জুড়ে করোনার কারণে সাংবাদিকরা মাঠ পর্যায়ে তেমন কাজই করতে পারেননি৷
ছবি: Felix Marquez/AP/dpa/picture alliance
‘শান্তিময়’ দেশগুলোতে মৃত্যু বেশি
২০১৬ সালে নিহত সাংবাদিকদের শতকরা ৫৮ ভাগই ছিল যুদ্ধ চলছে এমন দেশগুলোতে৷ ২০২০ সালে সেরকম দেশে সাংবাদিক হত্যার হার কমে হয়ে যায় ৩২ ভাগ৷ অর্থাৎ, যুদ্ধের লেশমাত্র নেই এমন দেশগুলোতেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয় বাকি ৬৮ ভাগ সাংবাদিককে৷
ছবি: Colourbox
মেক্সিকোর ভয়াবহ পরিস্থিতি
২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি আট জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন মেক্সিকোতে৷ তারপরই রয়েছে ভারত, ফিলিপাইন্স আর হন্ডুরাস৷ ভারতে মারা গেছেন চার জন আর ফিলিপাইন্স এবং হন্ডুরাসে তিন জন করে৷
ছবি: Reuters/Diario El Mundo
জেনেবুঝে হত্যা
২০২০ সালে যে ৫০ জন সংবাদকর্মীকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়, তাদের ৮৪ ভাগই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার৷ ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা বিশ্বে সাংবাদিকদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রবণতাও বেড়েছে, কারণ, ২০১৯ সালে এমন হত্যার ঘটনা ছিল ৬৩ শতাংশ৷
ছবি: bilderbox
জেলজুলুম
২০২০ সালে মোট ৩৮৭ জান সাংবাদিককে বিভিন্ন দেশে গ্রেপ্তার বা জিম্মি করা হয়৷৩৮৭ জনের মধ্যে নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন৷