1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণে লি মিয়ুং-বাকের প্রস্তাব

১৫ আগস্ট ২০১০

সামরিক উস্কানি নয় বরং শান্তির পথে পদক্ষেপ গ্রহণে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান দক্ষিণ কোরিয়ার৷ তবে উত্তরের হুঁশিয়ারি, চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার কঠোর জবাব দেবে তারা৷

South Korea, President, Lee Myung-bak, Seoul, North Korea, দক্ষিণ কোরিয়া, প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক,
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাকছবি: AP

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক বলেন, ‘‘বাস্তবতার দিকে খেয়াল করে উৎসাহব্যঞ্জক পরিবর্তনের পথে আসার এবং জোরালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পিয়ংইয়ং-এর সামনে এখনই সময়৷'' ১৯৪৫ সালে জাপানের কাছ থেকে কোরিয়ার স্বাধীনতা লাভের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া বক্তৃতায় বাক এসব কথা বলেন৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘কোরিয়ার উভয় অংশকে বর্তমানের বিভেদ দূর করে শান্তিপূর্ণভাবে পুনরেকত্রীকরণের দিকে এগুতে হবে৷''

এমনকি দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের জন্য কয়েকটি ধাপের কথাও তুলে ধরেন তিনি৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রথমত কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা৷ এরপর শান্তি পরিষদ গঠন৷ রয়েছে উত্তরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উভয় অংশের অর্থনৈতিক অঙ্গীভূতকরণে একটি অর্থনৈতিক পরিষদ গড়ে তোলা৷ লি মিয়ুং-বাক বলেন, ‘‘অবশেষে সকল ব্যবধান দূর করে প্রত্যেকের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার আদায়ে ইতিবাচক সমাজ গঠন করতে হবে৷ আর এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণে সক্ষম হবো৷''

অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশাল ব্যবধানে থাকা দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের ব্যয় নির্বাহের জন্য বিশেষ কর আরোপেরও প্রস্তাব করেন বাক৷ একইসাথে বাক সাবধান করে দেন যে, উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোন সামরিক উস্কানি সহ্য করবে না দক্ষিণ কোরিয়া৷ তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর যেন নতুন করে আর কোন উস্কানিমূলক কাজ না করে এবং তারা এমন কিছু করলে আমরা তা সহ্য করবো না৷''

এদিকে, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া৷ উত্তর কোরিয়া এটিকে আগ্রাসী অনুশীলন বলে আখ্যায়িত করেছে৷ উত্তরের সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে গঠিত লি মিয়ুং-বাকের গোষ্ঠীকে নিষ্ঠুর জবাব দেওয়া হবে৷ এমনকি এটি এতোটা ভয়াবহ হবে, যা বিশ্বের কেউ কখনো দেখেনি৷''

উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকেই দুই কোরিয়ার সীমান্তজুড়ে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাহাজে হামলা চালিয়ে তা ডুবিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া - আমেরিকা এবং সৌল-এর তোলা এমন অভিযোগের পর থেকেই ঐ অঞ্চল বেশ উত্তপ্ত৷ তবে উত্তর এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং দক্ষিণ ও আমেরিকার যৌথ মহড়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তারা৷ এছাড়া গত সপ্তাহে পূর্ব উপকূল থেকে দক্ষিণের একটি মাছ ধরা নৌকা আটক করে উত্তর৷ এমনকি দক্ষিণের ডুবোজাহাজ প্রতিরোধী মহড়ার শেষ পর্যায়ে পীত সাগরে গোলাবারুদ ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া৷ ফলে উত্তেজনার রেশ এখনও বিদ্যমান৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ