দুই ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুললেন নাসিম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৯ রান তুলতে পেরেছিল আফগানিস্তান। সবচেয়ে বেশি রান তোলেন ইব্রাহিম জারদান। ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। শেষে রশিদ খান দুইটি চার ও একটি ছয় মেরে ১৫ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের বোলাররা আফগানিস্তানের ব্যাটারদের রান তোলার সুযোগ দেননি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩০ রান খুব বড় টার্গেট নয়। কিন্তু সেই কাজটা করতে গিয়েই পাকিস্তান প্রায় হেরে বসেছিল। অধিনায়ক বাবর আজম শূন্য রানে ফিরে যান। ফখর আজম মাত্র পাঁচ রান করেন। কিন্তু তারপর ইনিংস সামলান রিজওয়ান, শাদাব এবং ইফতিখার। শাদাব ২৬ বলে ৩৬ রান করেছেন এবং একটা উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন। কিন্তু এই তিনজন ব্যাটার আউট হওয়ার পর পাকিস্তান ইনিংসে ধস নামে। পরপর চার উইকেট পড়ে যায় খুব কম রানে।
নাসিমের দুই ছক্কা
একটা সময় মনে হচ্ছিল, পাকিস্তান অনায়াসে জিতবে, কিন্তু তা হয়নি। দুর্দান্তভাবে লড়াইয়ে ফেরে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের নয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, আফগানিস্তান জিততে পারে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। এই অবস্থায় ফারুকির প্রথম দুই বলে দুইটি ছক্কা মারেন নাসিম।
শারজার মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ বলে ছয় মেরে জিতিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। সেই স্মৃতি আবার ফিরে এলো।
নাসিম পরে বলেছেন, তিনি অনুশীলনের সময় যেভাবে ছয় মারেন, এদিনের ম্যাচেও সেভাবে মেরেছেন এবং সফল হয়েছেন।
ভারতের পতাকা
ম্যাচের শেষ ওভারে আফগানিস্তানের পাশাপাশি মাঠে উড়ছিল ভারতের পতাকা। কারণ, পাকিস্তান হারলে ভারতের ফাইনালে খেলার একটা সুযোগ থাকত। কিন্তু দুই ছক্কার পর মাঠে কেবল পাকিস্তানের পতাকা। আফগানিস্তান ও ভারতের পতাকা হাতে সমর্থকরা হতাশ।
পাকিস্তান হারলে এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয় পেলে ফাইনালে যেতে পারত বারত। এখন আর সে সুযোগ নেই। ফাইনাল হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
কী বললেন বাবর
ম্যাচের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বললেন, ''রশিদ খান, নবিরা বিশ্বের সেরা স্পিনারদের মধ্য়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রান তোলা সবসময়ই কঠিন। তবে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই নাসিমের। দুর্দান্তভাবে ম্যাচ শেষ করেছে। জাভেদ মিয়াঁদাদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।''
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি
১৯তম ওভারে ফারিদের বলে ছয় মারতে গিয়ে আউট হন আসিফ। আসিফ আউট হতেই তার সামনে ঘুষি মারার ভঙ্গি করেন ফরিদ। আসিফও পাল্টা ব্যাট তুলে মারার ভঙ্গি করেন। তারপর দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আফগানিস্তানের প্লেয়াররা ফরিদকে সরিয়ে নিয়ে যান। আসিফকে সামলান হাসান আলি।
জিএইচ/এসজি (স্টার স্পোর্টস, রয়টার্স)