1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই দিনের দিল্লি সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৫ ডিসেম্বর ২০২২

সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বেয়ারবক। আলোচনা হবে অপ্রচলিত শক্তির প্রকল্প নিয়ে।

বেয়ারবক-জয়শংকর
ছবি: Thomas Imo/photothek/picture alliance

ভারত জি-২০-র সভাপতির পদ পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। দুই দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা আছে তার। সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মঙ্গলবার ভারতের নির্বাচন কমিশনের অফিসে যাবেন। পরে হরিয়ানায় একটি অপ্রচলিত বিদ্যুৎ তৈরির প্রকল্প ঘুরে দেখবেন তিনি। দিল্লি থেকে ওই প্রকল্পটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করার আগে বার্লিনে সাংবাদিকদের বেয়ারবক বলেছেন, ''বালির জি-২০ বৈঠকে ভারত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। জি-২০ দেশগুলি একত্রে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দায়ী করেছে। ভারতও তাতে সায় দিয়েছে। ভারত শেষ পর্যন্ত তাদের স্পষ্ট জানিয়েছে।'' এখানেই শেষ নয়, বেয়ারবক বলেছেন, উন্নয়নশীল অর্থনীতি হিসেবে দ্রুত এগিয়ে চলেছে ভারত। বিশ্বের বহু দেশের সামনে ভারত একটি উদাহরণ। অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যবর্তী সেতুও বটে পৃথিবীর গণতন্ত্রের দেশ। একুশ শতকে ভারত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী বছরের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখেচীনকেও ভারত ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। ভারতের এই শ্রমশক্তিই ভারতকে আগামীর পথে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন জার্মান গ্রিন পার্টির নেতা এবং দেশের পররাষ্টমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে বেয়ারবকের ইঙ্গিত, ভারতে অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট আছে। তবে সংকট বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এর আগে দুইবার কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েছিলেন বেয়ারবক। ভারত তার সেই বক্তব্যকে কখনোই মেনে নেয়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে বেয়ারবকের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জি-২০ সম্মেলনে বাকি সব দেশের সঙ্গে ভারত রাশিয়া বিরোধী অবস্থান নিলেও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত এখনো পশ্চিমা দেশগুলির রাস্তায় হাঁটছে না। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভারত নয়। বরং রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। সম্প্রতি জয়শংকর মস্কোয় গিয়েছিলেন। জাতিসংঘেও ভারত রাশিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে। ফলে বেয়ারবক-জয়শংকর বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বস্তুত, আগামী একবছরে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বারদুয়েক ভারতে আসতে পারেন বলেও জানা গেছে। তার আগে বেয়ারবকের সফর গুরুত্বপূর্ণ।

সম্প্রতি ভারতকে বিপুল টাকা ঋণ দিয়েছে জার্মানি। অপ্রচলিত বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য এই ঋণ। দুই দিনের সফরে এবিষয়েও বেয়ারবক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারেন। মঙ্গলবার হরিয়ানায় তিনি একটি প্রকল্প দেখতেও যাবেন।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, পিটিআই, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ