1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইহুদিদের হত্যার সেই স্থান

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জায়গাটির নাম ‘বাবিন ইয়ার'৷ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে অবস্থিত এই জায়গায় মাত্র দুই দিনে ৩৩,৭৭১ জন ইহুদিকে গুলি করে হত্যা করে নাৎসি বাহিনী ও এসএস কমান্ডোরা৷ নিহতদের মধ্যে শিশুও ছিল৷

‘বাবিন ইয়ার'
ছবি: picture alliance/akg-images

১৯৪১ সালে জার্মানির নাৎসি নেতা আডল্ফ হিটলারের নেতৃত্বাধীন বাহিনী যোসেফ স্টালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর এই গণহত্যা ঘটে৷

২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর- এই দুইদিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চালায় জার্মান নাৎসিরা৷ প্রথমে কিয়েভে বসবাসরত সব ইহুদিকে বাবিন ইয়ারে যেতে বলা হয়৷ তারপর সেখানে তাদের নগ্ন হতে বলা হয়৷ তারপর গুলি করে হত্যা করা হয়৷ সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচতে সমর্থ হন মাত্র ২৯ জন৷

চলতি বছর ওই নৃশংস গণহত্যার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷ তিনি বলেন, ‘‘বাবিন ইয়ারে যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের প্রথমে নগ্ন হতে বলা হয়েছে৷ এরপর গুলি করে গর্তে ফেলে দেয়া হয়৷ নাৎসি বাহিনী এই একই ‘ভয়াবহ আতঙ্কের দৃশ্য' রচনা করে পরবর্তীতে সিনটি, রোমা, সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি, ইউক্রেনীয় এবং শারীরিকভাবে অসুস্থদেরও হত্যা করে৷ হত্যাযজ্ঞ চলে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত৷''

ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kumm

সব মিলিয়ে বাবিন ইয়ারে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে হত্যা করে নাৎসি বাহিনী৷

ইতিহাস অজানা ছিল

অনুষ্ঠানে কিয়েভের বর্তমান মেয়র ভিটালি ক্লিচকো বলেন, বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত ইউক্রেনের অনেকেই বাবিন ইয়ার সম্পর্কে জানতো না৷ ‘সোভিয়েত প্রচারণা'র কারণেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে জার্মান ম্যাগাজিন ‘ফোকুস'কে জানিয়েছেন তিনি৷ ক্লিচকো বলেন, ১৯৭৬ সালে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও সেখানে যে ইহুদিদের হত্যা করা হয়েছিল, তা উল্লেখ না করে তাঁদের ‘সোভিয়েত নাগরিক' বলা হয়েছিল৷ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিয়েভের ইহুদিরা সেখানে নতুন একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেন৷

Ukraine: Massacres of the Jews

04:31

This browser does not support the video element.

ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পর মূলত বাবিন ইয়ারে নিহতদের নিয়মিত স্মরণ করা হচ্ছে৷ নৃশংসতার ৬৫ ও ৭০ তম বার্ষিকী বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল৷ আর এবার ৭৫তম বার্ষিকীতে জার্মানি সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও যোগ দিয়েছে৷ এছাড়া প্রথমবারের মতো বার্লিনে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে৷

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

নাৎসি বাহিনীর নৃশংসতা সেদিন স্বচক্ষে দেখেছিলেন ভাসিলি মিখাইলোভস্কি৷ ডয়চে ভেলেকে সেদিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘‘নানি আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ গিয়ে দেখলাম মানুষ আর মানুষ৷ নাৎসি বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে মারছিল, রাইফেলের বাট দিয়ে গুঁতোচ্ছিল৷ মানুষদের গরুর মতো করে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা৷ বাবিন ইয়ারে যাওয়ার রাস্তাটি যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানেই হত্যাযজ্ঞ চলছিল৷ আমরা যাঁরা তখনও শেষপ্রান্তে পৌঁছতে পারিনি, তাঁরা কান্না আর চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম৷ তবে সেসব শব্দ ঢাকার জন্য আকাশে খুব নীচু দিয়ে বিমান উড়ছিল৷ আর দূরে কোথাও গান বাজছিল৷''

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ