1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই দেশের সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে বিশেষ ট্রেন

১৯ অক্টোবর ২০২৩

জার্মানি ও পোল্যান্ড প্রতিবেশী দেশ হলেও অনেকে একে অপরের শিল্প-সংস্কৃতি-সংগীত সম্পর্কে ভালো জানেন না৷ সপ্তাহান্তে দুই দেশের মধ্যে এক অভিনব ট্রেন সেই বাধা সরিয়ে মানুষকে পরস্পরের কাছে আনার চেষ্টা করছে৷

Deutsch-polnischer Kulturzug
ছবি: Ksenia Les

ফ্রানৎসিস্কা ও ক্লেমেন্স চটজলদি এক সেলফি তুলে নিলেন৷ তাঁরা এই প্রথম জার্মান-পোলিশ সাংস্কৃতিক প্রসেশনে যোগ দিচ্ছেন৷ এই রেল যাত্রা একেবারে অনন্য৷ পথই যেন লক্ষ্য৷ বার্লিন থেকে ভ্রৎস্লাভ শহরগামী ট্রেনে নাচগান, সাহিত্য ও শিল্পচর্চা চলতে থাকে৷ ফ্রানৎসিস্কা বলেন, ‘‘সপ্তাহান্তে ভ্রৎস্লাভ যাবার সুযোগ পেয়ে আমরা খুব খুশি৷ এভাবে শহরটি ঘোরার আইডিয়া মনে এসেছিল৷ মনে হয় খুব আনন্দ হবে৷ এই ট্রেনেই একটু সংস্কৃতির স্বাদ পাচ্ছি৷ শুনছি পরে এক কনসার্টও হবে৷''

কালচারাল ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ক্লেমেন্স পোসার নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘‘আমি আসলে কখনোই ঠিকমতো পোল্যান্ডে ঘুরি নি৷ জার্মানির পূ্র্বাঞ্চলে বড় হওয়ার কারণে সেটা অস্বাভাবিক৷ কারণ কাছের দেশ হিসেবে সেখানে যাওয়ার চল রয়েছে৷''

ট্রেনের সাইকেল রাখার কম্পার্টমেন্টে ‘ট্রিও শো' নামের গ্রুপ সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছে৷ ইউক্রেনের এই গোষ্ঠী প্রায় ৩০ বছর ধরে বার্লিনে বাস করে৷ কালচারাল ট্রেনে তাঁরা রাশিয়ার সুইং ও কফি হাউস সংগীতের মেলবন্ধন তুলে ধরছেন৷ ট্রেনের যাত্রীদের সামনে সংগীত পরিবেশন এই ব্যান্ডের কাছেও নতুন অভিজ্ঞতা৷ ব্যান্ডের সদস্য গেনাদেই দেসান্তিক বলেন, ‘‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷ আগ্রহী মানুষ মন দিয়ে আমাদের সংগীত শুনছেন৷ কেউ কেউ আবার নেচে উঠছেন৷''

প্রায় চার ঘণ্টা পর ভ্রৎস্লাভে ট্রেন পৌঁছালো৷ ২০১৬ সালের ইউরোপীয় সাংস্কৃতিক রাজধানী আজো পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ৷ নদীর ধারে হালের সংগীত, ক্লাব ও আধুনিক শিল্পকলার স্বাদ পাওয়া যায়৷

ট্রেন যখন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সেতু

03:21

This browser does not support the video element.

গোটা সপ্তাহান্ত জুড়ে ফ্রানৎসিস্কা, ক্লেমেন্স ও কালচারাল ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা শহর ঘুরে দেখার সুযোগ পেলেন৷ রোববার রাতে ফেরার ট্রেনে বসে সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে হলো৷ ফ্রানৎসিস্কা বলেন, ‘‘আমাদের এই ভ্রমণের সময়ে টের পেলাম, যে আমরা আসলে ঘনঘন পূবের কথা ভাবি না৷ জার্মান হিসেবে অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় পোল্যান্ড বা চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিবেশীদের তেমন গুরুত্ব দেই না৷''

আয়োজকরাও ঠিক সেটাই চান৷ শিস্পকলা, সংগীত বা টকশোয়ের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে কৌতূহল জাগিয়ে তোলাই তাঁদের উদ্দেশ্য৷ ভিন্ন ধারার এই ভ্রমণ সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে৷ প্রকল্পের সদস্য এভা ভিলে বলেন, ‘‘সাধারণ ট্রেনের মতো যাত্রীরা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে থাকবেন, আমরা সেটা চাই না৷ বরং তাঁরা চোখ মেলে জানালার বাইরে তাকাবেন, সামনের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, সেটাই হলো উদ্দেশ্য৷''

১২০টি জিনিস নিয়ে কালচারাল ট্রেন আবার বার্লিনে ফিরে গেল৷ গোটা গ্রীষ্ম জুড়ে সপ্তাহান্তে এই ট্রেন চলে৷ অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্য কম নয়৷ ফ্রানৎসিস্কা ও ক্লেমেন্স হয়তো কখনো আবার এই ট্রেনে চেপে বসবেন৷

আক্সেল রোভোল্ট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ