পোষা বিড়াল দু'টোকে ফ্ল্যাটের ৩৩ বছর বয়সি মালিক রান্নাঘরে বন্ধ করে রেখে কেনাকাটা করতে যান৷ সম্ভবত রান্নাঘরের সিরামিক চুলার ওপর বিড়ালগুলোর খেলার সময় চুলার হটপ্লেট অন হয়ে যায়৷ সেখান থেকেই চুলার আশেপাশে কাগজ, প্লাস্টিকে ঝুড়িতেও আগুন লাগে, আগুন অবশ্য খুব বেশি ছড়াতে পারেনি৷ তবে আগুন লাগায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সাড়াতে খরচ হবে ২০ লাখ টাকা বা কুড়ি হাজার ইউরো৷
এনএস/কেম (এএফপি)
করোনায় কিছু মানুষের মৃত্যু ওদের এক অর্থে এতিমই করেছে৷ যারা আদর করে ঘরে রেখেছিল, করোনা তাদের কেড়ে নেয়ায় স্পেনের বয়স্ক এই বিড়ালদের এখন অসহায় অবস্থা৷ কে নেবে তাদের? কোথায় যাবে তারা?
ছবি: Nacho Doce/Reutersবার্সেলোনা শহরের এই বিড়ালগুলোর মনিব করোনায় মারা গেছে৷ ওদেরও বয়স হয়েছে৷ ওদের যাতে কেউ পোষ্য নেয়- এ আবেদন জানিয়ে অনলাইন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে৷
বিড়ালের আশ্রয় কেন্দ্রের মালিক আলেক্স সালভাদর বিভিন্ন একটি বিড়ালকে মডেল বানিয়ে স্মার্টফোনে ভিডিও করছেন৷ উদ্দেশ্য- ‘‘যতটা পারেন দান করুন’ নামে একটা বিজ্ঞাপন তৈরি করে ইন্সটাগ্রামে প্রচার করা৷
আলেক্স সালভাদর জানালেন, আশ্রয়কেন্দ্রের বিড়ালগুলোর বেশিরভাগেরই বয়স বেশি, শারীরিক অবস্থাও খারাপ৷তাদের মালিকরা মৃত্যুর আগে অনেকদিন ওদের পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাননি৷ ফলে এখন ওদের নিলে চিকিৎসার জন্যও অনেক টাকা খরচ করতে হবে৷ ফলে বিড়ালের দাম হয়ে যাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি৷
করোনার কারণে দীর্ঘদিন হোম অফিস করেছেন আন্দ্রেয়াস শাডলার৷ এখনো ঘরে বসেই কাজ করতে হয়৷ অবসর সময়ে বাইরে যাওয়ার জন্য মন খুব টানে৷ তাই জার্ডিনেটস নামের এই আশ্রয়কেন্দ্রটিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি৷
জিপি নামের এই বিড়ালটিকে রাস্তা থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে৷ আলেক্স সালভাদর জানালেন, জিপি নাকি সবার মন জয় করে নিয়েছে৷
এল জার্ডিনেট ডেলস গাটস, অর্থাৎ বিড়ালের বাগান নামের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ইন্সটাগ্রাম লাইভ করছেন আলেক্স সালভাদর৷ লাইভের ফাঁকে একটু পানি খাওয়ার ফুরসত মিলেছে তার৷
বিড়ালদের আশ্রয়কেন্দ্র সব সময় খুব পরিস্কার রাখতে হয়৷ ছবিতে বিড়ালের থালাবাসন ধুয়ে দিচ্ছেন দু’জন স্বেচ্ছাসেবী৷
কেউ যদি ভালোবেসে নিতে চান তাহলে এই বিড়ালগুলোকে দিয়ে দেয়া হবে৷ তাই ওদের পাশেই স্প্যানিশ ভাষায় লিখে রাখা হয়েছে ‘আদপ্তার’, অর্থাৎ ওদের পোষ্য করতে পারেন৷
