প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ইস্তফা দিলেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ। বরিস জনসন সংকটে।
বিজ্ঞাপন
ঋষি ও সাজিদ দুজনেই বরিস জনসন মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রবীণ মন্ত্রী ছিলেন। দুই জনের হাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ছিল। কিন্তু তারা আর প্রধানমন্ত্রী জনসনের নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে পারলেন না। প্রথমে ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সাজিদ জাভেদ এবং তার পরপরই ঋষি সুনক।
সাজিদ যা বলেছেন
সাজিদ জাভেদ বলেছেন, তিনি তার বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ইস্তফা দিলেন। পদত্যাগপত্রে সাজিদ বলেছেন, ''দেশ এখন শক্তিশালী ও নীতিনিষ্ঠ রক্ষণশীল দল চায়। আর যে কোনো ব্যক্তির থেকে দল বড়। আমি বন্ধু হিসাবে আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছি। কিন্তু আমরা সকলেই আগে দেশের সেবা করি।''
সাজিদ জানিয়েছেন, ''মানুষ মনে করে, রক্ষণশীল দল কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর তারা মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে সেই সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা সবসময় জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিই না। কিন্তু দেশের স্বার্থে কাজ করি। কিন্তু খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ আমাদের সম্পর্কে এটা ভাবছেন না।''
সাজিদ বলেছেন, ''গত মাসের আস্থা প্রস্তাব দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের অনেক সহকর্মীও একই মতে বিশ্বাসী। এখন নতুন দিশা দরকার, যেটা আপনার নেতৃত্বে হবে না। তাই আমি আপনার প্রতি আস্থা হারিয়েছি।''
বরিস জনসনের পথচলা
এলেমেলো চুল, ব্যতিক্রমী চাহনি আর ঝাজালো বক্তব্যের জন্য খ্যাতিমান নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে আসা জনসনের বেড়ে ওঠার গল্পও বিচিত্র রকম৷
জন্ম পরিচয়
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক কনজারভেটিভ সাংসদ স্ট্যানলি জনসন ও তার প্রথম স্ত্রী চিত্রকর শার্লট ফসেটের সন্তান আলেক্সান্ডার বরিস দে পিফেল জনসনের জন্ম ১৯৬৪ সালের জুনে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে৷ তাঁর দাদার বাবা আলি কামাল একজন তুর্কি৷ একারণে নিজেকে মুসলিম উত্তরাধিকারী হিসাবে বলে থাকেন জনসন৷
বেড়ে ওঠা
চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় জনসনের শৈশব কেটেছে নিউ ইয়র্ক, লন্ডন ও ব্রাসেলসে৷ কম শুনতেন তিনি৷ এ কারণে শৈশবেই তাকে বেশ কয়েকবার অপারেশনের টেবিলে যেতে হয়েছিল; জনসন সেসময় তুলনামূলক চুপচাপ ছিলেন বলে তার আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/D. Kitwood
পড়াশোনা
কিংস স্কলারশিপ নিয়ে বার্কশায়ারের ইটন কলেজে পড়ার পর অক্সফোর্ডের বেলিওল কলেজ থেকে ল্যাটিন ও প্রাচীন গ্রীক ক্ল্যাসিকসে ডিগ্রি নেন জনসন। তিনি বিতর্ক সংগঠন অক্সফোর্ড ইউনিয়নেরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন; ছিলেন বুলিনডং ক্লাবের সদস্য, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন ডেভিড ক্যামেরনও।
ছবি: Getty Images/L. Dray
সাংবাদিকতা
ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর জনসনের সাংবাদিকজীবন শুরু হয়। ১৯৮৭ সালে টাইমসে প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর একজনের উদ্ধৃতি জাল করায় চাকরি হারাতে হয় তাকে। ডেইলি টেলিগ্রাফে জনসন ইউরোপ বিষয়ক সংবাদদাতা ছিলেন ৫ বছর। পরে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত তিনি একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯-২০০৫ সাল পর্যন্ত ‘দ্য স্পেকটেটর’ ম্যগাজিনের সম্পাদক ছিলেন৷
ছবি: Getty Images/M. Cardy
রাজনীতি
টেলিগ্রাফে থাকার সময় ১৯৯৭ সালে ক্লয়েড সাউথ এলাকা থেকে হাউস অব কমন্সে নির্বাচন করেন জনসন। এরপর ২০০১ সালেহেনলি অন টেমস আসনে বিজয়ী হন৷ সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে ২০০৭ ও ২০১২ সালে দুই মেয়াদে লন্ডনের মেয়র হন জনসন৷ ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের পর আসা প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন তিনি৷ এরপর ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধের জেরে পদত্যাগ করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/PA Wire/J. Stillwell
বিতর্ক
টেলিভিশন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হলেও জনসনের রাজনৈতিক উত্থান মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। স্পেকটেটরের একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের জেরে তাকে লিভারপুল সিটির কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল; এক সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে ছায়া শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
ছবি: Imago Images/PA/I. Infantes
ব্রেক্সিটের মুখ
যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা, তা নিয়ে গণভোটের প্রচারে জনসনকে দেখা যায় ‘ব্রেক্সিটপন্থিদের’ অন্যতম প্রভাবশালী মুখপাত্র হয়ে উঠতে। ২০১৬ সালের বেক্সিটের পক্ষে গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসার পর তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভাবা হয়েছিল৷ কিন্তু মাইকেল গোভসহ ঘনিষ্ঠ অনেকে দূরে সরে যাওয়ায় সেবার ডাউনিং স্ট্রিট যাওয়া হয়নি জনসনের৷
ছবি: Reuters/P. Nicholls
পরিবার
জনসন প্রথম ১৯৮৭ সালে অ্যালেগ্রা মস্টিন ওয়েনকে বিয়ে করলেও তাদের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৯৩ সালে জনসন আইনজীবী মেরিনা-হুইলারের (ছবিতে বামে) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। জনসন-হুইলার দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে৷ দুই যুগ পর গত বছর এই দম্পতি বিচ্ছেদ হয়৷ এখন তিনি বিয়ে না করেই বসবাস করছেন প্রায় ২৫ বছর কম বয়সি বান্ধবী ক্যারি সিমন্ডসের সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/D.L. Olivas
লেখালেখি
প্রবন্ধ সংকলন ‘লেন্ড মি ইউর ইয়ারস’ ছাড়াও জনসন উপন্যাস ‘সেভেন্টি টু ভার্জিনস’ ও রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে ‘দ্য ড্রিম অব রোম’ লিখেছেন। ২০১৪ সালে ঝুলিতে যুক্ত করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে নিয়ে লেখা ‘দ্য চার্চিল ফ্যাক্টর: হাউ ওয়ান ম্যান মেইড হিস্টরি’ বইটিও।
ছবি: Getty Images/AFP/T. Akmen
ব্যাপক জনপ্রিয়তা
বাচনভঙ্গি, শব্দের ক্ষুরধার ব্যবহার, চাহনি, মজা করে কথা বলার অসামান্য ক্ষমতা, এলোমেলো চুল, ব্যক্তিগত জীবন- এসবের বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন বরিস জনসন৷ কিন্তু জনপ্রিয়তা কীভাবে অর্জন করতে হয়, তিনি সেটা অনেকের চেয়ে ভালো জানেন৷ যেমন, সর্বশেষ টোরি দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টের চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/empics/B. Kendall
10 ছবি1 | 10
ঋষির বক্তব্য
ঋষি সুনক তার পদত্যাগপত্রে বলেছেন, ''মানুষ আশা করে সরকার ঠিক আচরণ করবে, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে এবং মন দিয়ে কাজ করবে। সম্ভবত এটাই আমার শেষ মন্ত্রিপদে থাকা, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এই মাপদণ্ডের জন্য লড়াই করা উচিত। তাই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।''
ঋষি বলেছেন, ''ব্যক্তিগত স্তরে অনেক বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমার মতভেদ হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে আমি আপনার মতকেই সমর্থন করেছি। যৌথ দায়িত্বের সরকার এভাবেই চলে। এটাই আমাদের ব্যবস্থা। আর কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী একসঙ্গে কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশিত।''
ঋষির বক্তব্য, ''আমরা দুজনেই কম কর বসিয়ে বেশি আর্থিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চেয়েছি। বিশ্বমানের পরিষেবা দিতে চেয়েছি। কিন্তু এটা তখনই দেয়া সম্ভব, যখন আমরা এই লক্ষ্যে প্রচুর পরিশ্রম করতে, আত্মত্যাগ করতে এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত থাকি।''
ঋষি জানিয়েছেন, ''আমি বিশ্বাস করি, মানুষ সত্য জানতে চায়। তাদের জানা উচিত ভবিষ্যতের কোন পথটা ভালো। আগামী সপ্তাহে আমাদের যৌথ ভাষণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি বুঝতে পারছি, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে আলাদা। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এভাবে আমি আর কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।''
জনসনের জবাব
সাজিদ জাভেদকে জনসন বলেছেন, করোনাকালে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। ৫০ হাজার নার্স নিয়োগ করেছেন, ৪০টি নতুন হাসপাতাল করেছেন, ব্যবস্থার সংস্কার করেছেন। সরকার সেই কাজ আগে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যে যেভাবে শুরু হল করোনা ভ্যাকসিনের বিশাল কার্যক্রম
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য৷ ডিসেম্বরের ৮ তারিখে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপে দেয়া হবে আট লাখ ডোজ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
এক সেকেন্ডের ব্যাপার
মার্গারেট কিনান, ম্যাগি হিসেবে পরিচিত৷ যুক্তরাজ্যে ফাইজার-বায়োনটেকের প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হয় ৯০ বছরের এই ব্রিটিশ নারীকে৷ ভোর ছয়টা ৩১ মিনিটে তাকে প্রথম ডোজটা দেয়ার পর থেকে খুব খুশি তিনি৷ জুয়েলারি দোকানের এক সময়ের সহকারী ম্যাগি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল কভেন্ট্রিতে টিকা নেন৷ টিকা দিতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
ম্যাগির প্রতিক্রিয়া
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান আর সুবিধাভোগী মনে করছেন তিনি৷
ছবি: NHS England and NHS Improvement/REUTERS
ম্যাগির পরামর্শ
‘‘সবার জন্য আমার পরামর্শ, আমি যদি ৯০ বছরে এটা নিতে তোমরা অবশ্যই পারবে৷’’ টিকা নেয়ার পর হাসপাতালের হলওয়েতে হুইলচেয়ারে করে যখন তাঁকে নেয়া হয় হাসপাতালের কর্মীরা হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান তাঁকে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ইমিউনাইজেশন কর্মসূচিতে টিকা নেয়ার প্রথম সারিতে ছিলেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বিল৷ ৮১ বছর বয়সি বিল ভ্যাকসিন নেন কভেনট্রির ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৬ কোটি ৭০ লাখ৷ মারা গেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার মানুষ৷ সেক্ষেত্রে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রথম কার্যক্রম শুরু করলেন৷ মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার এবং জার্মান দম্পতির ছোট্ট কোম্পানি বায়োনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে তারা৷
ছবি: Ben Birchall/REUTERS
কর্মযজ্ঞ
গণহারে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমে নার্স, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, সেচ্ছ্বাসেবী, ব্রিটিশ সেনাসহ অনেক মানুষ কাজ করছেন৷
ছবি: Owen Humphreys/REUTERS
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ভ্যাকসিন
যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহেই ফাইজার-বায়েনটেকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারে৷ আর ইউরোপে ২৯ ডিসেম্বর অনুমোদন হতে পারে এটি৷
ছবি: Liam McBurney/REUTERS
উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী
যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে এমন কয়েকজনকে সাহস দিতে লন্ডন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তিনি এই কার্যক্রমকে ‘পুরো জাতির জন্য টিকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন৷ যারা টিকা নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘টিকা দেয়ার সময় শান্ত থাকুন, মনে হবে টিকার সূঁচ আপনাকে কবিতা শোনাচ্ছে৷’’
ছবি: Frank Augstein/REUTERS
চার কোটি ডোজ
প্রথম কয়েক সপ্তাহে আট লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে৷ যুক্তরাজ্য চার কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে৷ ফলে সেখানে দুই কোটি মানুষ টিকা পাচ্ছেন বলে আশা করা যাচ্ছে৷ তবে সব ডোজ কখন কর্মকর্তারা হাতে পাবেন, তা নির্ভর করছে বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন উৎপাদন কোম্পানির ক্ষমতার উপর৷ ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে ৪০ লাখ ডোজ খুব শিগগিরই তাদের হাতে পৌঁছাবে৷
ছবি: Ben Birchall/REUTERS
দুই ডোজ
একজন ব্যক্তির দুই ডোজ লাগে৷ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ৷
ছবি: Andrew Milligan/REUTERS
সংরক্ষণ
এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে৷ বেশি নড়াচড়া করলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ তাই তিনবারের বেশি যাতে হাত বদল না হয় সে চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
ছবি: Victoria Jones/AFP/Getty Images
স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা
স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় ওয়েস্টার্ন জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিকাল নার্স ম্যানেজার ভিভিয়ান টিকা নেয়ার পর দুই হাত আকাশে তুলে যেনো ঈশ্বরকে কিছু বলছেন৷
ছবি: Andrew Milligan/REUTERS
ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি
কার্ডিফে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন্৷ ভ্যাকসিন দেয়ার আগে সে বিষয়ে সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: Liam McBurney/REUTERS
রেকর্ড কার্ড
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রেকর্ড কার্ডটি দেখতে এমন হবে৷ এখানেই ব্যক্তির নাম পরিচয় এবং কয়টা ডোজ নিলেন লেখা থাকবে৷
ঋষিকে জনসন বলেছেন, ''আপনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরপরই লকডাউন ঘোষণা করতে হয়। তখন অর্থনীতিকে বাঁচাতে আপনি অসাধারণ কাজ করেছেন। আপনি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। করোনাকালে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সাহায্য করেছেন।''
জনসন বলেছেন, ''এর পাশাপাশি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেও আপনি পিছপা হননি। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কর ছাড়ও দিচ্ছি। আমি আপনার পরামর্শকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। আপনার অভাব আমি অনুভব করব।''
সাজিদ ও ঋষি কে?
দুজনেই রক্ষণশীল দলের দাপুটে নেতা। দুজনকেই বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসাবে ভাবা হচ্ছিল। ৫২ বছর বয়সি জাভেদ আগে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
ঋষির বয়স ৪২ বছর। জনসন তাকে অর্থমন্ত্রী করার আগে তাকে মানুষ খুব বেশি চিনতেন না। কিন্তু করোনাকালে তিনি লাখ লাখ চাকরি বাঁচাবার জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছেন। করোনাকালে তার কাজের জন্য ঋষি জনপ্রিয় হন।
কতটা সংকটে জনসন
গত মাসেই দলের মধ্যে আস্থা ভোটে জিতেছেন জনসন। তখন দেখা গিয়েছিল, দলের বেশ কিছু এমপি তার কাজে সন্তুষ্ট নন। এবার দুই প্রবীণ মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ফলে নতুন করে আবার জনসন সংকটে পড়েছেন। বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা বলেছেন, জনসন আর প্রধানমন্ত্রী থাকার উপযুক্ত নন। অনেক আগেই তার চলে যাওয়া উচিত ছিল। এখন বাকি মন্ত্রীদেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে লেবার নেতারা মনে করছেন।
অতীতে অনেক সংকট কাটিয়ে উঠেছেন জনসন। তিনি লড়াই ছাড়েন না। এবার এই সংকট কতটা গভীর তা ভবিষ্যতই বলবে।