1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই শিক্ষার্থী হত্যা: কারণ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই শিক্ষার্থীর হত্যাকে ‘গুপ্তহত্যা' বলে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে পুলিশ বলছে, দুজনকেই হত্যা করেছে ছিনতাইকারী।

ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।ছবি: Abdul Goni/DW

ইতিমধ্যে ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জিনিসপত্রও উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।

গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের হানিফ স্পিনিং মিলের সামনে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র মো. ওয়াজেদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্তের মৃত্যু হয়।

দুই শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডকে ‘গুপ্তহত্যা' দাবি করে আন্দোলনে নামেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে একটি মিছিল শুরু হয়। ব্যানারে লেখা ছিল ‘জুলাই অভ্যুত্থান ও ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনের তিন সহযোদ্ধার গুপ্তহত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল।' মিছিলটি ভিসি চত্বর ও হলপাড়া হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বক্তব্য দেন ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, "যে বিপ্লবীদের কাঁধে ভর দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিপ্লবীদের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকে। বিপ্লবীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ক্ষেত্রে নির্বিকার, নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এটা অশনিসংকেত।”

সীমান্ত শিহানের মোবাইল, আইডিকার্ড উদ্ধার, আট ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ওয়াজেদ সীমান্ত হত্যাকাণ্ডে মো. অনিক (২৮) নামের এক ছিনতাইকারীকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে সীমান্তের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এটা নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা। আমরা যে অনিককে গ্রেপ্তার করেছি, তার বিরুদ্ধে ৮টি ছিনতাইয়ের মামলা আছে। এখানে ‘গুপ্তহত্যা' কোথা থেকে আসবে? আজকেও (বৃহস্পতিবার) আমরা আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধেও ৮টি ছিনতাইয়ের মামলা আছে। এরা ছিনতাইকারী। কবে দেশ দ্বিতীয় স্বাধীন হলো, কারা করলো, এগুলো এদের কাছে কোনো বিষয় না। এরা এগুলো নিয়ে ভাবে না। পকেটে টাকা নেই, সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই ধরেছে। আজই তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।”

‘এরা ছিনতাইকারী’: প্রত্যুষ কুমার মজুমদার

This browser does not support the audio element.

এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তাজবীর হোসেন ওরফে শিহান (২৬) হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিহান উত্তরার একটি কল সেন্টারে চাকরি করতেন। ভোরে অফিসে যাওয়ার পথে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা ৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে শিহানের আইডি কার্ড, মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। এটা শ্রেফ ছিনতাই। এখানে ‘গুপ্তহত্যা'র কোনো বিষয় নেই। গ্রেপ্তার ৬ জনের ৫ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এখানে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনের আর কী বাকি থাকলো?”

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তাকওয়া পরিবহণের চালক ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার আমগাছীহান্দা গ্রামের সরওয়ার হোসেন (২৮), সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৩৫), সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরেক চালক কুড়িগ্রামের ওলিপুর থানার মধুপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪২), আজমেরী বাসের চালকের সহকারী লক্ষ্মীপুর সদরের জামেরতলী গ্রামের মো. জুয়েল (২৪), তাকওয়া বাসের কর্মী জয়পুরহাটের মোহনপুর গ্রামের মো. মিলন (২৭) এবং চায়ের দোকানি ভোলার চরফ্যাশন এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৫)।

ছিনতাইকারী শিহানকে ছুরিকাঘাত করে তারা মোবাইল ফোন, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, ব্যাংকের কার্ডসহ মানিব্যাগ ও হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে ঘটনাস্থলেই শিহানের মৃত্যু হয়। ওসি জানান, আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। পরে অন্যদের কাছ থেকে আইডি কার্ডসহ ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার হুমকি আসছে'

দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। ‘সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী'-র ব্যানারে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনা না হলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত সমাবেশে বলেন, "সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার হুমকি আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।”

আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হয়েছে'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এই ধরনের ঘটনাগুলো তো আতঙ্ক ছড়ায়। আওয়ামী লীগ এগুলোকে পুঁজি করে অপপ্রচার করে। আমরা তো দেখছি না সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে খুব বেশি ভূমিকা রাখছে। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে গ্রুপ ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা।”

‘আওয়ামী লীগ এগুলোকে পুঁজি করে অপপ্রচার করে’: উমামা ফাতেমা

This browser does not support the audio element.

‘‘এখন তো আপনাদের সরকার, কারণ, আপনাদের তিনজন প্রতিনিধি তো সরকারের উপদেষ্টা৷ তারা কি এ ব্যাপারে কোন ভুমিকা রাখছেন না?-'' এমন এক প্রশ্নের জবাবে উমামা ফাতেমা বলেন, "যারা সরকারে আছে তারাই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু আমি একজন সাধারণ নাগরিক। আমি নিরাপত্তা চাই। আমরা পারামর্শও দিচ্ছি, কিন্তু তারা শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা সারাদেশের সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

এতদিন তো পুলিশ কিছু না বলায়গুপ্তহত্যা' বলে সন্দেহ করেছি'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বাকের মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এই দিনে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থীকে হত্যা আমাদের মধ্যে নানা সন্দেহের সৃষ্টি করে। এতদিন তো পুলিশ আমাদের সেভাবে কিছু বলেনি। ফলে আমরা ‘গুপ্তহত্যা' বলেই সন্দেহ করেছি। এখন তো বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এভাবে কেন শিক্ষার্থীদের জীবন দিতে হবে? কেউ তো নিরাপত্তাহীন থাকার কথা না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জীবন এত অনিরাপদ হবে কেন? আমরা সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাই।”

সুজানা কাব্যের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ

নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক এলাকার লেক থেকে কলেজছাত্রী সুজানার মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর বুধবার একই লেক থেকে কাব্য নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। কাব্য রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং সুজানা ভাসানটেক সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। সুজানা ও কাব্য পরস্পর বন্ধু বলে জানা গেছে। এই দুই শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের ওভার স্পিডের কারণে দুর্ঘটনায় তারা নিহত হয়েছেন। ওই লেক থেকে কাব্যের মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড, নাকি দুর্ঘটনা। কাব্যের মরদেহের পাশ থেকে মোটরসাইকেলের একটি হেলমেট ও একটি ছোট ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।”

যদি পারেন নিরাপত্তা দেন, নইলে নির্বাচন দিয়ে সরে যান'

এদিকে সুজানা ও কাব্যসহ জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ'। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবনের সামনে অনশনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ‘ইনকিলাব মঞ্চ'-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী এ ঘোষণা দেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতাকে অনিরাপদ করে সরকারকে নিরাপদ রাখার দায় আমাদের নাই। যদি পারেন নিরাপত্তা দেন, নইলে নির্বাচন দিয়ে সরে যান। আপনাদের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য পাঠানো হয়নি। আপনাদের ক্ষমতায় পাঠানো হয়েছে বিচারের জন্য।''

ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-র শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তের পাশাপাশি সুজানা আক্তার (১৭), সাইনুর রশিদ কাব্য (১৬) এবং চট্টগ্রামের জসিম উদ্দিনসহ মোট পাঁচ শিক্ষার্থী ‘হত্যার' ঘটনায় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ‘ইনকিলাম মঞ্চ'৷

তবে সুজানার ভাই মেহেদি হাসান মনে করেন সুজানা আর কাব্য পূর্ব শত্রুতার জেরেও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "সুজানা আর কাব্যের মৃত্যুটা পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে কিনা তদন্ত করা দরকার। কাব্যের শত্রু অথবা আমার বোনের কোনো শত্রু এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এছাড়া হয়তো অন্য কোনো বন্ধু ওদের একসঙ্গে পেয়ে সন্দেহবশত ওদের মেরে ফেলতে পারে। এখন আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। আমরা সুজানা হত্যার বিচার চাচ্ছি। প্রশাসন যেন এগিয়ে আসে। ফরেনসিক বিভাগ, সিআইডি এটার যেন সুষ্ঠু একটা তদন্ত করে। এই স্বাধীন বাংলাদেশে খুন, গুম, হত্যা এগুলো আমরা এখন আর চাই না।”

তবে নায়ারণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল-গ) মেহেদী ইসলাম বলেন, "নিহত দু'জনের কারো কাছ থেকেই কিছু খোয়া যায়নি। দেখে দুর্ঘটনাই মনে হচ্ছে। এরপরও তদন্ত অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহের কাজ করছে পুলিশ। তদন্তে আসল বিষয়টি উঠে আসবে।”

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ