‘দু’একদিনের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়া হবে’
৮ অক্টোবর ২০২২
আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে হবে এবং এর রূপরেখা দু'একদিনের মধ্যেই দেবে বিএনপি, বলেছেন দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক৷
বিজ্ঞাপন
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে এসে এ কথা বলেন সংসদের এই সাবেক চিফ হুইপ৷ ফারুক বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচন চায় না৷
‘‘শুধু বিএনপি কর্মীরাই নন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ কর্মীরা বাদ দিলে সাধারণ কর্মীরাও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না,’’ দাবি করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য৷ তিনি বলেন, খুব শিগগিরই দেয়া হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা৷
‘‘মহাসচিব বলেছেন, দু'একদিনের মধ্যে আলোচনা শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়া হবে,’’ জানান ফারুক৷
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান৷ তিনি ফারুকের দাবি অস্বীকার করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণ চায় কি না তা ভোটের মাধ্যমে বোঝা যাবে৷ ‘‘৯৮ ভাগ না আট ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন চায় তা ভোটের মাধ্যমে জানা যাবে,’’ বলেন তিনি৷
তিনি দাবি করেন, বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই৷ তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে৷ জবাবে ফারুক বলেন, বিদেশি বন্ধুদের কাছে তথ্য তুলে ধরা মানে তাদের সঙ্গে দেন দরবার করা নয়৷
অনুষ্ঠানে মূল আলোচনার বিষয় ছিল গুম ও খুনের সংখ্যা৷
আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করার জন্য গুম ও খুনের সংখ্যা বাড়িয়ে বলছে কি না বিএনপি এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক পালটা প্রশ্ন করে বলেন, ‘‘গুম সাত হোক আর ৭০টা হোক, একটা ঘটনারও কি সত্য উদঘাটন করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ?’’
জবাবে শামীম ওসমান এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাম্প্রতিক বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, অনেক ঘটনা আছে যেখানে স্থানীয় শত্রুতার জেরে, কিংবা ভারত, দুবাই বা যুক্তরাষ্ট্রে লুকিয়ে থেকে পরে গুম, খুন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়৷
তিনি বলেন, ‘‘খুন অপরাধ হবে, কিন্তু বিচার হবে কি না সেটাই বড় বিষয়৷’’
জেডএ/এআই
বিশ্ব সূচকে বাংলাদেশ
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিভিন্ন বিশ্ব সূচকে বাংলাদেশকে দেখলে দুটি বিষয় স্পষ্ট৷ এক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন৷ দুই. গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের অধঃপতন৷ চলুন দেখা নেয়া যাক, কোন সূচক কী বলছে৷
ছবি: MOHAMMAD PONIR HOSSAIN/REUTERS
মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯৪ ডলার৷ ভারতের হবে ২ হাজার ১১৬ দশমিক ৪৪৪ ডলার৷ ফলে মাথাপিছু আছে পরপর দুই বছর ভারতকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ৷
ছবি: MOHAMMAD PONIR HOSSAIN/REUTERS
শান্তি সূচকে ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো, তবে...
‘ভিশন অব হিউম্যানিটির’ প্রকাশিত বৈশ্বিক শান্তি সূচক ২০২১ অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৮ তম৷ একই সূচকে ভারতের অবস্থান ১৩৫ তম, পাকিস্তানের ১৫০৷ দশ বছর আগের তুলনায় বাংলাদেশ এই সূচকে এগিয়ে গেলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় তা পড়তির দিকে৷
ছবি: AFP/Getty Images
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো বাংলাদেশ
কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ভেল্ট হাঙ্গার হিলফের যৌথভাবে প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১-এ বাংলাদেশের অবস্থান ১১৬টি দেশের মধ্যে ৭৬তম৷ একই সূচকে ভারতের অবস্থান ১০১তম, আর পাকিস্তানের ৯২তম৷ গত কয়েকবছরে এক্ষেত্রে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ৷
ছবি: Thomas Trutschel/Imago Images
রেমিটেন্সে সেরা দশে বাংলাদেশ
২০২১ সালে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আসার পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক৷ গতবছরের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি৷ রেমিটেন্স প্রাপ্তির হিসেবে বিশ্বের সেরা ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷ ভারত ও পাকিস্তান অবশ্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷
ছবি: dapd
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি গত কয়েকবছর ধরে ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন দাবি করে আসছে৷ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্প্রক্ত থাকার দায়ে সম্প্রতি বিশেষ পুলিশ বাহিনী ব়্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
বাকস্বাধীনতা পড়তির দিকে
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তম৷ ২০২০ সালে এই অবস্থান ছিল ১৫১তম, আর ২০১৯ সালে ১৫০তম৷ বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে বলে দাবি রয়েছে৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
গণতন্ত্রের করুণ দশা
সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (আইডিইএ) এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার’ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ছিল না বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী মনে করে৷