বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দু'টি শর্তে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে খবর৷ গত সপ্তাহে দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত৷ অন্য এক মামলায় তাঁর কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশিরও অনুমতি দেয়া হয়৷
বিজ্ঞাপন
জিয়া অর্ফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং আরেক আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন৷ ৪ঠা মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ৷
তারিখের আগের দিন, মঙ্গলবার, খালেদার আইনজীবীরা আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন৷ কিন্তু আদালত মঙ্গলবার এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছে৷ প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তারিখও বুধবার৷
ফলে খালেদা জিয়া আইনগতভাব দুর্বল জায়গায় রয়েছেন৷ বুধবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে৷
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ঢাকার আরেকটি আদালত গুলশান থানা পুলিশের আবেদনে বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয় তল্লাশির অনুমতি দেয় রবিবার৷ পুলিশের আবদেনে বলা হয়, ‘‘খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ দেশে নাশকতার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও ঐ কার্যালয়ে আত্মগোপন করে থাকতে পারেন৷ এছাড়া নাশকতার কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করে রাখতে নিরাপদ স্থান হিসেবে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ব্যবহৃত হতে পারে৷ বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে এ বিষয়গুলো জানা গেছে৷ তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন৷''
অস্থির বাংলাদেশ
বাংলাদেশে দশম সংসদীয় নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এতে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ ৫ই জানুয়ারি রাজনৈতিক অস্থিরতার কয়েকটি ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
ছবি: AFP/Getty Images
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/Landov
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abdullah
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
ছবি: Oli Scarff/Getty Images
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
তল্লাশি পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌঁছালেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলশান থানায় পৌঁছায়নি বলে ডয়চে ভেলেকে জানান গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম৷
সার্বিক পরিস্থিতি বিচেনায় নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দুই শর্তে খালেদা জিয়া বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন৷ এই শর্ত দু'টি হলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আবার নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা৷
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ যদিও এখনো আমরা ‘ওয়ারেন্ট'-এর কপি হাতে পাইনি, তারপরও যদি আদালতে যেতে এবং আত্মসমর্পণ করতে হয়, তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে যেতে ইচ্ছুক৷ তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও কার্যালয়ে ফিরে আসার আশ্বাস দিতে হবে৷''
তিনি বলেন, এখানে দু'টি বিষয় আছে৷ একটি হচ্ছে বিচারিক আদালতের প্রতি আমরা অনাস্থার আবেদন করেছি৷ ব্যাপারটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে৷ সেটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালত আইনগতভাবে ও নৈতিকতার দিক থেকে এই মামলার শুনানি করতে পারে না৷ কারণ তার বিপক্ষে আমরা অনাস্থার আবেদন করেছি৷ দেখি উচ্চ আদালত কী বলে৷''
গুলশানের বাসভবনে ‘অবরুদ্ধ’ খালেদা জিয়া
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে৷ রবিবার তিনি পুলিশের বাধার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা
‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় অংশ নিতে রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার দিকে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া৷ কিন্তু তাঁর পথরোধ করতে বাড়ির গেটে মানব দেয়াল তৈরি করে পুলিশ এবং ব়্যাবের সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
আটকে ছিলেন গেটে
পুলিশ এবং ব়্যাব সদস্যদের বাধার মুখে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ির মধ্যে বসে ছিলেন খালেদা জিয়া৷ এরপর এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
গাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী৷ এসময় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন৷ উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে খালেদা বলেন, ‘‘দেশ আজ কোথায় যাচ্ছে? এরা সবাই গোপালগঞ্জের৷ গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে৷’’ দৈনিক প্রথম আলো খালেদার এই বক্তব্য প্রকাশ করেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সোমবারও চলবে কর্মসূচি
নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি খালেদা জিয়া৷ তবে তিনি বাড়ির মধ্যে ফিরে যাবার আগে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘‘এই সরকার জালেম এবং অগণতান্ত্রিক৷ এই সরকারের পতন হবেই৷’’ এসময় তিনি ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সোমবারও চলবে বলে ঘোষণা দেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
বালুভর্তি ট্রাকের ব্যারিকেড
খালেদা জিয়ার বাড়ির চারপাশে গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল৷ শনিবার তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় সাধারণ ব্যারিকেডের পাশাপাশি বালুভর্তি ট্রাকও যোগ করা হয়৷ কয়েকটি ট্রাক এমনভাবে রাখা হয়, যাতে খালেদার গাড়ি বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে বের হতে না পারে৷ আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ স্বপন জানান, খালেদা জিয়াকে কার্যত গুলশানের বাড়িতে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
পুলিশের বক্তব্য
খালেদা জিয়াকে বাড়ির বাইরে যেতে না দেয়া প্রসঙ্গে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নয়াপল্টনে কোনো জমায়েত বা সমাবেশের অনুমতি নেই৷ তাই বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সেখানে যেতে দেয়া হবে না৷ আর তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিশের দেখার আছে৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
প্রাণহানি
এদিকে, ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’কে ঘিরে সংঘর্ষ এবং বিস্ফোরণে ঢাকায় কমপক্ষে দুই ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷ রবিবার সকাল এগারোটার দিকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশ আর জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারান মনসুর আলী৷ অন্যদিকে, কমলাপুরে তল্লাশির সময় বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন নিরাপত্তাকর্মী আবুল কাশেম৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
সুপ্রিমকোর্টে তাণ্ডব
এদিকে, ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’য় যোগ দিতে সুপ্রিমকোর্টের বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা কোর্টের মূল গেট দিয়ে মিছিল করে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের জল কামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আটকে দেয়৷ এরপর তারা ভিতরে গিয়ে পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল ছোড়ে৷ এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের একদল সমর্থক সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে ঢুকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ সেখানে কয়েকজন আইনজীবী আহত হন৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
বিরল সংঘর্ষ
বলাবাহুল্য, সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বাইরে থেকে কোন দলের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়নি৷ সেক্ষেত্রে রবিবার আওয়ামী লীগ সমর্থকদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়াটা বিরল ঘটনা বলে অবিহিত করেন আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি৷
ছবি: Reuters
চুপচাপ নয়াপল্টন
‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির আওতায় গোটা দেশ থেকে সক্ষম নেতাকর্মীদের ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে হাজির হওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া৷ কিন্তু রবিবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে পারেনি৷ কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ফলে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দৃশ্যত পুলিশ এবং সাংবাদিক ছাড়া কেউ ছিল না৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচন
উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ জানুয়ারি বাংলাদেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এই নির্বাচন বর্জন করায় এবার ১৫৪টি আসনে ভোটাভুটির দরকার হচ্ছে না৷ এসব আসনে একজন করে প্রার্থী রয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার ঘোষণা দিয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
আরেকটি ব্যাপার হলো, ‘‘ওয়ারেন্ট এখনো খালেদা জিয়া হাতে পাননি৷ কিন্তু তারপরও যদি আদালতে হাজির হতে হয়, আত্মসমর্পণ করতে হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক৷''
তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ প্রতিদিন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁর কার্যালয় ঘেরাও করে রাখছেন৷ এমনকি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নেতৃত্বেও বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন৷
এদিকে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া যেখানে যেতে চান, সেখানে যেতে পারবেন৷ গুলশান কার্যালয় থেকে তাঁর বের হওয়া এবং ফিরে আসায় কোনো বাধা নেই৷ আমরা তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছি৷''
তবে খালেদা জিয়ার প্রেস উইং-এর কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, খালেদা জিয়া আদালতে গেলে তাঁকে আর গুলশান কার্যালয়ে ফিরতে দেয়া হবে না৷ এরইমধ্যে নানা কৌশলে গুলশানের কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়া এবং তাঁর সঙ্গে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের বের করার চেষ্টা হয়েছে৷''
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ৩রা জানুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন৷