দুধ থেকে ছানা, সন্দেশ, চিজ – সব কিছু তৈরি হয়৷ কিন্তু কাপড়? ল্যাক্টোপ্রোটিন বা দুধের প্রোটিন থেকে ফাইবার, ফাইবার থেকে সুতো, সুতো থেকে কাপড়, কাপড় থেকে ড্রেস, তাও আবার হলিউড তারকাদের জন্য, এ সবই সম্ভব৷
বিজ্ঞাপন
নানা রংয়ের কাপড়, রেশমি কাপড়ের মতো নরম৷ সেই কাপড় কেটে ফ্যাশনেবল জামাকাপড় তৈরি করেন আঙ্কে ডোমাস্কে, যিনি একাধারে ডিজাইনার ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট৷ আঙ্কে বলেন, ‘‘এই কাপড়ে দুধের গন্ধ পাবেন না৷ কিন্তু মজার কথা, আজ পর্যন্ত অনেকেই প্রথমে শুঁকে দেখেন, দুধের গন্ধ আছে কিনা৷ অবশ্যই কোনো গন্ধ নেই৷ ওদিকে খুবই মসৃণ কাপড়৷ আমাদের ফাইবারটা পশম কিংবা রেশমের মতোই একটা প্রোটিন ফাইবার৷ কিন্তু যেহেতু তার উপরিভাগ খুব মসৃণ, সেহেতু তার হ্যাপটিক্স অর্থাৎ স্পর্শের অনুভূতিটা অনেকটা সিল্কের মতো৷''
ডোমাস্কে ‘‘মানুষের ব্যবহারের অযোগ্য'' দুধ থেকে টেক্সটাইল ফাইবার, অর্থাৎ কাপড় বোনার সুতো তৈরি করেন৷ এটা এমন একটা আইডিয়া, যা ভবিষ্যতে বস্ত্রশিল্পকে পুরোপুরি বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে৷ বলতে কি, রান্নাঘরেই সব কিছুর শুরু৷ সদ্য মাইক্রোবায়োলজি পাশ করা আঙ্কে সুপারমার্কেট থেকে একটা কিচেন মিক্সার, মার্মালেড বা মোরব্বা তৈরির থার্মোমিটার ও প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাউডার কিনে এনেছিলেন৷ লক্ষ্য ছিল, এমন একটা ফাইবার বা রোঁয়া তৈরি করা, যা থেকে সুতো ও শেষমেষ কাপড় তৈরি করা যায়৷
তারকাদের কারণে জনপ্রিয় ‘ছোট কালো পোশাক’
সন্ধ্যায় ও ককটেল পার্টিতে পরার পোশাক হিসেবে গত শতকের বিশের দশকে ‘লিটল ব্ল্যাক ড্রেস’ বা ছোট কালো পোশাকের আবির্ভাব হয়৷ পরে তারকারা একে জনপ্রিয় করে তোলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ADAGP Paris 200/Man Ray Trust
ইতিহাসের কথা
ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী কোকো শ্যানেল (ছবিতে যাঁকে দেখতে পাচ্ছেন) ১৯২৬ সালে ‘ভোগ’ পত্রিকার জন্য একটি ছবি তুলেছিলেন৷ সেখানে তিনি কালো রংয়ের হাঁটু পর্যন্ত লম্বা আঁটসাঁট একটি পোশাক পরেছিলেন৷ প্রথমে পাঠকরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না, কারণ তখনো মনে করা হতো, কালো পোশাক পরবে শুধু বিধবারা৷ উপরের ছবিটি অবশ্য ১৯৩৫ সালের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ADAGP Paris 200/Man Ray Trust
মেরিলিন মনরোও পরেছেন
শুরুর দিকে লিটল ব্ল্যাক ড্রেসকে অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক মনে করা হতো৷ তাই পোশাকটি ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি৷ কিন্তু এই বিষয়টি মেরিলিন মনরোকে এই পোশাক পরা থেকে বিরত রাখতে পারেনি৷ তিনি মুভিতে এবং বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সময় এই পোশাক পরেছেন৷ ‘লিটল ব্ল্যাক ড্রেস’ পরা তাঁর উপরের ছবিটি ১৯৫৬ সালে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/UPI
মনোযোগ সরাতে
ফরাসি শাঁসো সংগীত শিল্পী এডিথ পিয়াফ তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রায়ই কালো পোশাক পরতেন৷ সেসময় তিনি বলতেন, তাঁর শুধু ঐ একটিই পোশাক আছে, আরেকটি কেনার পয়সাও তাঁর নেই৷ তবে অন্যরা মনে করতেন, এই পোশাক পরে পিয়াফ আসলে দর্শক শ্রোতাদের মনোযোগ তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে নিয়ে যান৷
ছবি: Getty Images/Keystone/Hulton Archive
সুইমিং স্যুট
এই দৃশ্যটি কি চেনা লাগছে? ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ‘লা ডলচে ভিটা’ মুভিতে আনিতা একব্যার্গকে রোমের বিখ্যাত ট্রেভি ঝর্ণায় দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
অবশেষে
গত শতকের ২০-এর দশকে আবির্ভাব হলেও ছোট কালো পোশাক যেন মানুষের মনে প্রবেশ করতে পারছিল না৷ তবে সেই বাধা দূর করেন অড্রে হেপবার্ন৷ উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানি’স’ মুভির একটি দৃশ্য৷ ঐ চলচ্চিত্রে হেপবার্নের কালো পোশাক পরে জমকালো ও রুচিশীল আবির্ভাব এই পোশাককে যেন মানুষের অন্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/Keystone Features
প্রতিশোধ পোশাক!
ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস যেদিন ক্যামেলিয়া পার্কারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন সেদিন এক অনুষ্ঠানে এভাবেই উপস্থিত হয়েছিলেন ডায়ানা৷ এরপর থেকে ইতিহাসে পোশাকটি ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে৷ পরদিন পত্রিকার প্রথম পাতায় ডায়ানার এই পোশাক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল৷ আর চার্লস-ক্যামেলিয়ার সংবাদ চলে গিয়েছিল দ্বিতীয় পাতায়৷
ছবি: picture-alliance/empics/M. Keene
বয়স ৬৫, তাতে কী!
২০০৫ সালে কোপেনহেগেনে এক কনসার্টে এভাবেই উপস্থিত হয়েছিলেন পপ তারকা টিনা টার্নার৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৫৷ কিন্তু তখনও কেমন ‘সেক্সি’ ছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Navntoft
বর্তমান হালচাল
কালো পোশাকের চল এখন ভালোই আছে৷ তাইতো গতমাসে শেষ হয়ে যাওয়া নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে একজন মডেল এই পোশাক পরে হাজির হয়েছিলেন৷
ছবি: Getty Images for New York Fashion Week: The Shows/N. Barnard
8 ছবি1 | 8
আঙ্কে শোনালেন, ‘‘আমরা ঐ কিচেনে প্রায় ন'মাস ধরে এক্সপেরিমেন্ট করে এমন একটা ফাইবার তৈরি করার ফর্মুলা বার করতে পেরেছি, যা জলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে গলে না যায়৷ কাপড় তৈরির সুতোর ওইটাই বিশেষত্ব, কেননা কাপড় তো শেষমেষ কাচতেই হবে৷''
ল্যাক্টোপ্রোটিন
এক জগ দুধ হাতে নিয়ে আঙ্কে বোঝালেন, কীভাবে এই ফাইবার তৈরি হয়৷ কিউ-মিল্ক কোম্পানির সিইও আঙ্কে বললেন, ‘‘দুধ টক হয়ে গেলে নীচে ছানার পানি থাকে, ওপরে ভাসে সাদা সাদা ল্যাক্টোপ্রোটিন বা দুধের প্রোটিন৷ সেটা কেঁকে নিলে যে দইয়ের মতো পদার্থটি পাওয়া যায়, তা শুকিয়ে প্রোটিন পাউডার তৈরি করা যায়৷ সেটাই আমাদের র-মেটিরিয়াল বা কাঁচামাল৷ সেটা মেখে আমরা একটা তাল তৈরি করি৷ সেই প্রোটিনের তাল একটা ‘নজল' দিয়ে চেপে বার করলে এরকম একটা সূক্ষ্ম ফাইবার পাওয়া যায়, যা মিলিয়ে সুতো তৈরি হয়, সেই সুতো থেকে কাপড়, সেই কাপড় থেকে এরকম একটা সুন্দর ড্রেস৷ অথচ এটা প্রকৃতিদত্ত, এই ফাইবার খাওয়া পর্যন্ত যায়৷''
আঙ্কে ডোমাস্কে এখন কারখানার মতো করে দুধের প্রোটিন থেকে ফাইবার তৈরি করছেন৷ কাঁচামাল হল প্রোটিন পাউডার, তা-তে পানি ও অন্যান্য প্রকৃতিদত্ত সংযোজক পদার্থ মিশিয়ে এমন একটি তাল মাখা যায়, যা ‘নজল' দিয়ে চেপে মানুষের মাথার চুলের মতো পাতলা ফাইবার বের করা যায়৷
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
গোলাপি ড্রেসে রানি, মাথায় গোলাপি টুপি৷ নীল ড্রেস হলে নীল টুপি৷ সবুজ ড্রেস হলে টুপিও সবুজ৷ রানিকে আমরা এভাবেই চিনি৷ কিন্তু সেটা চিরকালই এ রকম ছিল না৷ রানির অবশ্য নিজস্ব স্টাইল তৈরি হতে বহুদিন সময় লেগেছে...
সবসময় ম্যাচিং
রানি এলিজাবেথের সাজগোজ প্রায় কিংবদন্তি৷ ড্রেস-এর সঙ্গে ম্যাচ করা হ্যাট বা টুপি, গাউনের হেমলাইন ওজন দিয়ে ভারি করা, যা-তে বাতাসে কোনোরকম লজ্জাকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়৷ তারপর হাতের বটুয়াটি: হ্যান্ডব্যাগের আকার সবসময় এক; রং, কালো; সাইজ এমন যে, তা-তে রানির লিপস্টিক, চশমা, মিন্ট লজেন্স আর হাতরুমাল ধরে৷ দুনিয়া রানি এলিজাবেথকে এভাবেই গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছে৷
উর্দিধারী রাজকন্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এলিজাবেথ উইন্ডসর ছিলেন অক্সিলিয়ারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের সদস্য৷ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মহিলা ডিভিশন ছিল এই এটিএস৷ এলিজাবেথ মেকানিকের কাজ শেখেন, ট্রাক চালাতে শেখেন৷ ছবিটি ১৯৪৫ সালের – এখানেও মাথায় টুপি!
ছবি: public domain
বিয়ের ‘বেনারসি’
যুদ্ধ শেষ হবার দু’বছর পরে এলিজাবেথ তাঁর ছেলেবেলার প্রেম প্রিন্স ফিলিপ অফ গ্রিস অ্যান্ড ডেনমার্ককে বিয়ে করেন৷ যুদ্ধের পর তখন ব্রিটেনে রেশন ব্যবস্থা চলেছে৷ রাজকন্যার বিয়ের পোশাকের জন্য সেরকম ভালো মালমশলা পাওয়াই কঠিন৷ তা সত্ত্বেও স্যাটিন ড্রেসটিতে দশ হাজার মুক্তো আর অন্যান্য ক্রিস্টাল বা পাথর বসানো ছিল, লেসের ‘ট্রেন’ বা ঝালরের দৈর্ঘ ছিল পাক্কা ১৩ ফুট৷
ছবি: Imago/ZUMA/Keystone
করোনেশন গাউন
১৯৫৩ সালের ২রা জুন প্রিন্সেস এলিজাবেথের অভিষেক৷ অনুষ্ঠানে তিনি একটি সাদা সিল্কের ড্রেস পরেছিলেন, তার ওপর কমনওয়েল্থ-এর এমব্লেম এমব্রয়ডারি করা ছিল৷ ১৬ ফুট লম্বা মখমলের কেপটি বহন করার দায়িত্ব ছিল ছ’জন ‘মেইড অফ অনার’-এর ওপর৷
ছবি: picture-alliance/Heritage Images
পশ্চিম জার্মানিতে প্রথম সফর
সাংবাদিকরা নাম দিয়েছিলেন ‘শতাব্দীর সফর’৷ পশ্চিম জার্মানি পরম উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানায় ইংল্যান্ডের রানিকে – সময়টা ছিল ১৯৬৫ সালের মে মাস৷ ৫৬ বছর এবং দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পর আবার ব্রিটেনের একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির জার্মানিতে পদার্পণ৷ রানি এলিজাবেথ তাঁর ১১ দিনের সফরে ১৮টি শহর পরিদর্শন করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Rohwedder
দ্বিতীয় সফর
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন ১৯৭৮ সালে৷ এবার তাঁর সফর যেন সহজ, স্বাভাবিক বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যা-তে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাল্টার শেল-এর অবদানও কিছু কম ছিল না৷
ছবি: imago
আটপৌরে
রানি যখন রাষ্ট্রীয় সফরে যান না কিংবা ব্রিটিশ সংসদের অধিবেশন উদ্বোধন করেন না, তখন তিনি হ্যাটের পরিবর্তে মাথায় রুমাল বাঁধাই পছন্দ করেন৷ রানি যেন হঠাৎ খোশমেজাজের দাদিতে পরিণত হন! ছবিটি তোলা ২০১২ সালে৷
ছবি: Getty Images
7 ছবি1 | 7
নিজেদের ল্যাবোরেটরিতে সেই ফাইবারের টেনসাইল শক্তি – অর্থাৎ সেটা কতটা টান সহ্য করতে পারে, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ এই ফাইবার সিল্ক কিংবা পশমের ফাইবারের সঙ্গে তুলনা করা যায়৷ দুধের প্রোটিন থেকে তৈরি টেক্সটাইল ফাইবার থেকে অ্যালার্জি হয় না; তাতে কোনো রাসায়নিক অবশিষ্ট নেই; এবং ফেলে দেওয়ার পর তা স্বাভাবিকভাবে পচে যায়৷
আঙ্কে বলেন, ‘‘দুধের ফাইবার ‘ব্রিদেবল', মানে তা-তে হাওয়া খেলতে পারে; এটা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে; ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী; সহজে আগুন ধরে না৷ কাজেই তা শুধু বস্ত্রশিল্পের জন্যই নয়, প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ব্যবহারযোগ্য৷ তা দিয়ে ফোম তৈরি করা যায়; স্প্রে করা যায়; ফোলিও তৈরি করা যায়; এমনকি ন্যানো পদার্থ – অসংখ্য সম্ভাবনা, যা আমরা সবে আবিষ্কার করতে শুরু করেছি৷''
ফ্যাশনের জগতে ‘দুধকাপড়ের' ব্রেকথ্রু আসে, যখন কয়েকজন হলিউড তারকা এই কাপড়কে ফ্যাশনেবল বলে ঘোষণা করেন৷ ডোমাস্কে ঐ তারকাদের ঠিক তাদের সাইজে তৈরি করা জামাকাপড় পাঠিয়েছিলেন৷ তাতেই কাজ হয়৷ আঙ্কে জানালেন, ‘‘মিশা বার্টন প্রথম আমাদের পাঠানো ড্রেসটা পরেন৷ যেদিন তিনি ড্রেসটা পান, ঠিক সেদিন সন্ধ্যাতেই – মিডিয়াতে যা বড় করে দেখানো হয়৷ আমাদের পক্ষে একটা বিরাট ব্যাপার৷''
আইডিয়াটা যদি সফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বড় বড় ফ্যাশন লেবেলরাও হয়ত ‘দুধকাপড়ের' অর্ডার দেবে...৷
কোন কাপড় না ধুয়ে কতদিন পরা উচিত
আপনি কি জানেন জিন্স, টি শার্ট বা অন্য কাপড় ধোয়ার আগে কতদিন পরা যেতে পারে? জেনে নিন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন৷
ছবি: Colourbox
নতুন কাপড়
বাজার থেকে যে কোনো কাপড় কিনে এনে অবশ্যই ধুয়ে পরা উচিত৷ কাপড়ের রং আসলে রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রন, তাই ধোয়ার পর পরাটাই নিরাপদ৷
ছবি: ANNE-CHRISTINE POUJOULAT/AFP/Getty Images
জিন্স
জিন্সের প্যান্ট টানা ৫ দিনের বেশি পরা উচিত নয়৷ বড় জোর ৫ দিন পরার পর ধুয়ে ফেলা উচিত, কেননা, ঘামের জীবাণু থেকে শরীরে চুলকানি হতে পারে৷
ছবি: Colourbox
পায়জামা
শোওয়ার সময় যে পায়জামা পরা হয়, সেটা টানা তিন দিন পরার পরই ধোয়া উচিত৷
ছবি: Fotolia/Monkey Business
টি-শার্ট
যদি অতিরিক্ত গরম হয়, আর ভীষণ ঘাম হয়, তাহলে প্রতিবার পরার পর টি- শার্ট ধোয়া উচিত৷ আর তেমন গরম না হলে টানা দু’দিন পরা যেতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Lage
অন্তর্বাস
অন্তর্বাস কয়দিন পরবেন তা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে৷ ভীষণ গরম হলে প্রতিদিনই ধোয়া উচিত৷ আর ঠাণ্ডার সময় হলে তিন-চার দিন পর৷ অনেকেই এ বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেন না৷ কিন্তু জননাঙ্গকে পরিষ্কার এবং রোগমুক্ত রাখার জন্য অন্তর্বাস নিয়মিত ধোয়া ভালো৷
ছবি: Colourbox
স্কার্ট আর ট্রাউজার
গরমের দিনে একটা ট্রাউজার টানা দুদিনের বেশি পরা উচিত নয়৷ আর স্কার্ট চার-পাঁচ বার পরা যেতে পারে৷
ছবি: RPM - Fotolia.com
টুপি
তিনবার পরিধানের পর টুপি অবশ্যই ধোয়া উচিত, কেননা, মাথার ঘাম আর চুলের ধুলা ও খুশকি এতে লেগে থাকে৷ তাই চুল ও মাথার ত্বক ভালো রাখতে টুপি ধুতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
চাদর আর বালিশের কভার
সহবাসের পর চাদর ধোয়া উচিত৷ আর অন্য ক্ষেত্রে চার-পাঁচদিন পর বালিশের কভার ও বিছানার চাদর ধোয়া উচিত৷
ছবি: Colourbox/Syda Productions
গামছা ও তোয়ালে
একটা তোয়ালে বা গামছা টানা ৫ দিন ব্যবহার করার পর ধোয়া উচিত৷ তবে রোগীর তোয়ালে প্রতিদিনই ধোয়া উচিত৷ এছাড়া রুমালও প্রতিদিন ধোয়া উচিত৷