পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র দুবাইতে আরেকটি ‘বিশ্বসেরা’ যোগ হলো। এবার সেখানে চালু হলো বিশ্বের গভীরতম সুইমিং পুল।
বিজ্ঞাপন
১৯৭ ফুট বা ৬০ মিটার গভীর সুইমিং পুল ‘ডিপ ডাইভ দুবাই’ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে গভীর সুইমিং পুল। মোট ছয়টি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান এই পুল অন্য যে কোনো সাধারণ পুলের চেয়ে ১৫ মিটার বেশি গভীর, জানাচ্ছে পুল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এই দাবির সত্যতা যাচাই করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সংস্থা।
একটি মুক্তার ঝিনুকের আকারে গড়া এই পুলের ডিজাইন আরব আমিরাতের মুক্তা খোঁজার চর্চার প্রতীক। শুধু তাই নয়, ডিপ ডাইভ দুবাই-এর পুলটি এই অঞ্চলে পানির তলায় তৈরি সবচেয়ে বড় ফিল্ম স্টুডিওও বটে।
দুবাইয়ের নতুন পর্যটন কেন্দ্র
পর্যটনের পীঠস্থান হিসাবে জনপ্রিয় দুবাই পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন ‘বুর্জ খলিফা’সহ আরো নানা রকমের আকর্ষণীয় স্থান।
সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এখন এই পুল।
এই পুলের ভেতরে দুটি ‘ড্রাই রুম’ বা পানিবিহীন ঘরও রয়েছে। সাথে আছে আলো-শব্দে সাজানো ডুবন্ত শহরের দৃশ্য।
এই পুলে নামতে চাইলে স্কুবা ডাইভিং-এর নিয়ম মেনে সাথে অক্সিজেনের ট্যাংক নিতে পারেন পর্যটকরা। দুঃসাহসী পর্যটকদের জন্য রয়েছে ফ্রি-ডাইভিং-এর ব্যবস্থা, যেখানে কোনো ধরনের অক্সিজেন ট্যাংক ছাড়াই স্রেফ নিঃশ্বাস আটকে পাড়ি দিতে হয় পানির গভীরে।
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)
সুইমিং পুলে যাওয়ার আগে আপনার যা জানা উচিত
জার্মানিতে গ্রীষ্মে সারাদিন কাটানোর এক চমৎকার স্থান সুইমিং পুল৷ তবে সেসব পুলে ঝাঁপ দেয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নেয়া ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Arnold
‘ফ্রাইবাড’ কিন্তু ফ্রি নয়
জার্মানিতে আউটডোর সুইমিং পুল বোঝাতে ‘ফ্রাইবাড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ যদিও এই শব্দের ইংরেজি অর্থ ‘ফ্রি বাথ’, কিন্তু ফ্রাইবাডে যেতে আপনাকে ঠিকই প্রবেশ মূল্য দিতে হবে৷ আরো কয়েক ধরনের সুইমিং পুল রয়েছে৷ যেমন, ‘সমারবাড’, মানে শুধুমাত্র গ্রীষ্মে যে সুইমিং পুল চালু থাকে৷ ‘ভাল্ডবাড’ হচ্ছে জঙ্গল ঘেরা স্থানের কোনো সুইমিং পুল৷ আর ‘কম্বিবাড’ হচ্ছে যেখানে একইসঙ্গে আউটডোর এবং ইনডোর সুইমিংয়ের সুযোগ আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Kahnert
সঙ্গে কয়েন নিতে ভুলবেন না
অধিকাংশ সুইমিং পুলে তালা নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই, কেননা, সেগুলোতে কাপড় বদলের স্থানে লকার থাকে৷ সেসব লকার ব্যবহার করতে অবশ্য এক ইউরো ডিপোজিট করতে হয়৷ তাই কিছু কয়েন সঙ্গে থাকলে ভালো হয়৷ কিছু স্থানে আবার হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে ৫ বা দশ সেন্ট দরকার হয়৷ সেটাও মাথায় রাখবেন৷
ছবি: Imago Images/Deutzmann
সাঁতারের আগে এবং পরে গোসল জরুরি
সুইমিং পুলে লাফ দেয়ার আগে শরীরে জমে থাকা ঘাম, বাড়তি সানস্ক্রিন এবং অন্যান্য আবর্জনা দূর করতে গোসল করে নেয়া উচিত৷ আর সাঁতারের পর অধিকাংশ সাঁতারুই সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করে দ্বিতীয়বার গোসল করেন৷ সুইমিং পুলের পানি পরিষ্কার রাখতে নানারকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়৷ দ্বিতীয়বারের গোসল সেই কেমিক্যাল দূর করে৷ গোসল খানাগুলোতে কেউ কেউ পুরোপুরি বিবস্ত্র হয়ে গোসল করেন৷ এটা স্বাভাবিক ব্যাপার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
সঙ্গে স্যান্ডেল রাখতে পারেন
অধিকাংশ জার্মান সুইমিং পুলে পানিতে ভেজানো যায় এমন স্যান্ডেল ব্যবহার করেন৷ যদিও এটা অপরিহার্য নয়, তারপরও খালি পায়ে পুলের আশেপাশে হাঁটতে না চাইলে স্যান্ডেল পরতে পারেন৷ তবে সেখানে জুতা পরে হাঁটলে বাধার মুখে পড়তে পারেন৷
ছবি: Imago Images/blickwinkel
লাফ দিন, তবে যেখানে-সেখানে নয়
পুলের কোণা থেকে যেখানে-সেখানে লাফ দেয়ার নিয়ম নেই৷ এটা বুঝতে চাইলে সেখানে থাকা সংকেতগুলোর দিকে নজর রাখুন৷ ‘ফ্রাইবাডে’ সাধারণত ডাইভিং এবং স্প্রিংবোর্ড-এর স্থান চিহ্নিত করা আছে৷ আর সেগুলো দেখভালের জন্য লাইফগার্ড থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Schmidt
রাশভারী সাঁতারুরা হতাশ হতে পারেন
গ্রীষ্মের গরমের দিনে জার্মানিতে কোনো আউটডোর সুইমিং পুল খালি পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার৷ সুতরাং আপনি যদি খুব মনোযোগী সাঁতারু হন, তাহলে কিছুটা হতাশ হতে পারেন৷ বিশেষ করে যেসব বিদেশি নিজেদের দেশে সাঁতারুদের জন্য আলাদা লেন দেখে অভ্যস্ত, তাঁরা জার্মানিতে তা না পেয়ে ব্যথিত হতে পারেন৷ তবে একান্তই যদি কিছুটা নিরিবিলি সুইমিং পুল পেতে চান, তাহলে গরমের সময় ইনডোর পুলে যেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
শিশুদের যেখানে যাওয়া নিষেধ
যে শিশুরা এখনো সাঁতার শেখার উপকরণ ব্যবহার করছে, তাদের গভীর পুলে যাওয়া নিষেধ৷ শিশুদের সাঁতারু হিসেবে বিবেচনা করা হয় তখনই, যখন তারা ‘সীপ্ফ্যার্ডশেন’ পরীক্ষা পাস করে৷ তবে এই পরীক্ষা পাস করার অর্থ এ নয় যে, শিশুদেরকে সুইমিং পুলে অবাধভাবে ঘুরতে দিতে হবে৷ জার্মান লাইফগার্ডরা কিছুটা উদাসীন হিসেবে পরিচিত৷ তাই নিজের সন্তানকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখাই ভালো৷
ছবি: picture alliance/dpa/H. Christian Dittrich
খেলনা নেয়া যাবে, তবে...
জার্মানির সুইমিং পুলগুলোতে সাধারণত পানিতে ব্যবহারউপযোগী বিভিন্ন খেলনা সঙ্গে নেয়া যায়৷ তবে, কী নেয়া যাবে কী যাবে না সেটা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে৷ বিশেষ করে পুল যখন পুরোপুরি ভর্তি থাকে, তখন কোনো খেলনা ব্যবহার করা হলে কেউ কেউ বিরক্ত হতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Arnold
সুইমস্যুট বাধ্যতামূলক
যদিও কিছু জার্মান লেকে নগ্ন সাঁতরাতে ভালোবাসেন, পাবলিক সুইমিং পুলগুলোতে সেটা নিষিদ্ধ৷ আবার শুধু অন্তর্বাস পরে পানিতে ঝাঁপ দেয়া যাবে না৷ পানিতে নামার উপযুক্ত সুইমস্যুট ব্যবহার করে পুলে যেতে হবে৷ মুসলমান নারীরা চাইলে সারা শরীর ঢাকা সাঁতারের পোশাক বুর্কিনিও পরতে পারেন৷ তবে বুর্কিনি পরা নারীরা সুইমিং পুলে বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pilick
বিশ্রামের জন্য কম্বল নিতে পারেন
আগেই লিখেছি, ‘ফ্রাইবাড’ বলতে আউটডোর সুইমং পুল বোঝানো হয়৷ এই পুলের চারপাশে বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে৷ সাঁতারের মাঝখানে তাই বিরতি নিতে সেসব স্থানে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে, বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন৷ খেয়াল রাখবেন, কিছু মেয়েকে সেখানে উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত্ত রেখে শুয়ে থাকতে দেখতে পারেন৷ এটা স্বাভাবিক ব্যাপার৷ তবে তাঁদের ছবি তোলা নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gollnow
খাবারও লাগবে
যাঁরা সারাদিন সুইমিং পুলে থাকতে চান, তাঁরা সঙ্গে খাবার এবং পানীয় নিয়ে যেতে পারেন৷ তবে সেগুলো কাঁচের বোতল বা বক্সে না নিলেই ভালো৷ আর যদি একান্তই ঘর থেকে খাবার বা পানীয় নিতে মন না চায়, তাহলে পুলের পাশেই স্ন্যাক বার থেকে কিনতে পারেন৷