উত্তম-সুপ্রিয়ার 'শুধু একটি বছর' সিনেমাটি মনে আছে? সেখানেই ব্যবহার করা হয়েছিল এই গাড়ি। উত্তম চালিয়েছিলেন। হিয়া গুপ্তু জানিয়েছেন, এই ফোর্ড টেন টুডর গাড়িটি ১৯৩৫ সালে কেনা। এই গাড়ি চালিয়ে উত্তম কুমার অভিনয় করেছিলেন।

স্বপন কুমার লাহিড়ী জানিয়েছেন, ''১৯৭০ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আমার বাবা এই গাড়িটি কিনেছিলেন। আমি অনেক দিনের জন্য বিদেশে ছিলাম। ২০১৫ সালে ফিরে এসে এই গাড়িটিকে আমি আবার রেস্টোর করি। প্লাইমাউথ স্পেশাল ডিলাক্স গাড়িটার বয়স ৭৫ বছর। ইঞ্জিন এখনো খোলা হয়নি।'' নিজের নীল রঙের গাড়িকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ভালবেসে ডাকতেন নীলু বলে।

আলিপুর মিউজিয়ামে ১৪ই জানুয়ারি পুরানো গাড়ি এবং বাইকের প্রদর্শনী হয়েছিল। উদ্যোক্তা আলিপুর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ ও ক্লাসিক ড্রাইভারস ক্লাব। এই প্রথম তারা এরকম খোলা জায়গায় সকলের দেখার জন্য এরকম গাড়ির প্রদর্শনী করলেন।

পুরনো রোলস রয়েস ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। এই গাড়ি অনেকেরই প্রিয়। বহু পুরনো এই গাড়িটি দেখতে তাই উৎসাহের অভাব ছিল না। অনেকেই এই গাড়ির সামনে ছবি তুলেছেন।

এই জার্মান গাড়িটার নাম স্টোয়ার। ১৯১৩ সালে তৈরি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে তৈরি এই গাড়ি দেখার জন্য প্রচুর উৎসাহ ছিল।

পুরনো গাড়ি সবসময়ই দেখতে ভালো লাগে। রং-তুলিতে এই পুরনো গাড়ির ছবি আঁকার কাজও তাই চলছিল।

এই গাড়িটি বিকানেরের মহারাজার ছিল। ১৯২৫ সালের অস্টিন গাড়ি।

১৯২৩ সালের প্যান্থার স্লপার। ৬০০ সিসির এই বাইক ছিল প্রদর্শনীতে। দর্শকরা অনেক আগ্রহ নিয়ে বাইকটি দেখেছেন।

এই গাড়িগুলি তো শুধু বিত্তবানদের শখ মেটাচ্ছে এমন নয়, এটা ফেলে আসা সময়ের সাক্ষী। সেজন্যই দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে এই গাড়িগুলি। প্রতিটি গাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস।

ক্লাসিক ড্রাইভারস ক্লাবের পৃথ্বীনাথ ঠাকুর বললেন, ‘সাধারণত এই ধরনের শো প্রাইভেট ক্লাবে হয়। ফলে সেখানকার সদস্যরাই শুধু দেখতে পান। আলিপুর মিউজিয়ামে তা করার উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষদের দেখানো।

অমিত কুমার রায়ের মতে, ''বিশেষ গাড়ি বলতে সেবলেট, প্লাইমাউথ, অস্টিন, অ্যাডলার গাড়ি দেখলাম। এইসব কোম্পানির গাড়ি আর নতুন করে আমাদের কলকাতায় আসছে না।''