1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র সমন, সময় চাইলেন আজহারউদ্দিন

৩ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক আজহারউদ্দিনকে একটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জেরার জন্য ডেকেছিল ইডি।

ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও কংগ্রেস সদস্য আজহারউদ্দিন।
আজহারউদ্দিনকে দুর্নীতির অভিযোগে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। সাবেক ক্রিকেটার সময় চেয়েছেন। ছবি: AP

বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় হায়দ্রাবাদে তাকে ইডি-র দপ্তরে আসতে বলা হয়েছিল। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ইডি-র দপ্তরে যাননি। তিনি আরো সময় চেয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, ইডি তাকে আবার ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তাকে আবার ডেকে পাঠাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বা অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করে ইডি।

কী অভিযোগ?

ইডি এখন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণের ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আজহারউদ্দিন হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)-এর সভাপতি ছিলেন। তার আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

এই রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের জন্য ডিজেল জেনারেটর সেট, অগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা এবং স্টেডিয়ামের মাথায় ক্যানোপি লাগানোর জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সময়ে কাজ শেষ না হলেও একজন ঠিকাদারকে প্রায় চার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হায়দ্রাবাদের পুলিশ আজহারউদ্দিন ও অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি, টাকা নয়ছয় ও চক্রান্তের অভিযোগে মামলা করে। তেলেঙ্গানার দুর্নীতি বিরোধী শাখা এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করে

আজহারউদ্দিন তখন আগাম জামিন নিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি সেই সময় এইচসিএ-র সভাপতি ছিলেন বলে তার নাম মামলায় আছে। তিনি কোনোভাবে এর সঙ্গে জড়িত নন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল ঝামেলা ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগের পর সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদারকি কমিটি আজহারউদ্দিন-সহ এইচসিএ-র কর্মকর্তাদের হাত থেকে প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। আজহারউদ্দিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।  বিসিসিআই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর দুই হাজার সালে বিসিসিআই জানায়, আজহারউদ্দিন আর ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। তবে ২০১২ সালে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়।

রাজনীতিতে আজহার

২০০৯ সালে আজহারউদ্দিন কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন। তিনি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ কেন্দ্র থেকে জেতেন। ২০১৮ সালে তাকে তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টও করা হয়।

জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ