জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে৷ বিদেশি সহায়তাও এসেছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন৷ তবে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি নদী ও খাল আছে৷ বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বাড়ছে৷ এছাড়া প্রায়ই ঝড় আর অতিবৃষ্টি হচ্ছে৷ ভূমি যাচ্ছে হারিয়ে৷
বরগুনা জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, নদীভাঙন থেকে গ্রাম রক্ষা করতে অতীতে নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি৷
মাহফুজুল হক প্রায়ই এ ধরনের গল্প শোনেন৷ তিনি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হয়ে কাজ করেন৷
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নেয়া অভিযোজন ও মিটিগেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প ও সেগুলোর অর্থায়ন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ বিদেশি অর্থ পাচ্ছে৷ কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী তা পর্যাপ্ত নয়৷ এর পরিমাণ বাড়াতে হবে৷ সব মিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত ৭০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছি, যার বেশিরভাগই এসেছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে৷''
২০১৭ সালে পরিবেশবান্ধব ঘটনা কী ঘটেছে?
২০১৭ সালটিকে মোটেই পরিবেশবান্ধব বছর বলা যায় না৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো পরিবেশবিরোধী মানুষ ক্ষমতায় এসেছেন এ বছর৷ পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে অসংখ্য৷ কিন্তু একেবারে ভেঙে পড়ার কারণ নেই৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাই বাই ডিজেল
ভারত, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো বেশ কিছু দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গ্যাস এবং ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি তৈরিতে জোড় দেওয়ার৷ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাড়ি প্রস্তুত করে চীন৷ তারাও কেবলমাত্র জৈব জ্বালানি দিয়ে চালিত গাড়ি ‘ব্যান’ করার একটি পরিকল্পনা করেছে৷ পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে এক ধাপ এগোতেই পারে ২০১৮৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTOs
মৌমাছির স্বপ্ন
জীববৈচিত্রে মৌমাছিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু সেই মৌমাছিরাই এখন অস্তিত্বসংকটে৷ নিওনিকোটিনয়েডসের মতো কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে, মৌমাছিরাও বিলুপ্তির পথে৷ আশার কথা, ইউরোপীয় কমিশন তিনটি ক্ষতিকারক নিওনিকোটিনয়েডস বন্ধের পরিকল্পনা করেছে৷ যদিও এখনো অনেক কাজ বাকি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
কার্বনহীন ভবিষ্যৎ
জার্মানির মতো বিশ্বের বহু দেশেই শক্তি উৎপাদনে কয়লা এখনও প্রাথমিক জ্বালানি৷ বিকল্প শক্তির দাবিতে ও কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে ২০১৭ সালে এই দেশগুলিতে আন্দোলন হয়েছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইইউ-র বহু দেশ৷ নতুন কারখানাগুলিতে কয়লার ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে ইউরোপের অধিকাংশ জাতীয় এনার্জি কোম্পানি৷ তবে পোল্যান্ড ও গ্রিস এখনও এ বিষয়ে সহমত হয়নি৷
ছবি: DW
সমুদ্র মন্থন
পরিবেশ আলোচনার অন্যতম বিষয় এখন সামুদ্রিক দূষণ৷ ২০১৭ সালে ২০০টি দেশ সামুদ্রিক দূষণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়ানো বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ ই-ওয়েস্টের বিষয়ে আরো কড়া মনোভাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
ট্রাম্পকে পোছে কে?
ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিবেশবিরোধী একের পর এক মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু এরও সদর্থক দিক আছে৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরোধিতা করছে বহু মার্কিন সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ৷ পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতাও বাড়ছে৷ নভেম্বরে ‘কপ২৩’ সম্মেলনে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট যা-ই বলুন, পরিবেশ আন্দোলন বন্ধ হবে না৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন তার প্রমাণ৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
ফরাসি পরিবেশ
উষ্ণায়ন বিরোধী পরিবেশ আন্দোলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর ভূমিকা ‘সিম্বোলিক’ হতে পারে, কিন্তু তাঁর জন্যই পরিবেশচর্চা জনসমক্ষে আসছে৷ ১৮ জন আবহাওয়া বিষয়ক গবেষককে তিনি গ্রান্ট দিয়েছেন৷ বহু মার্কিন গবেষক তাঁদের আবহাওয়া সংক্রান্ত কাজ নিয়ে ফ্রান্সে চলে আসছেন ট্রাম্পের বিরোধিতা করে৷
ছবি: Getty ImagesAFP/P. Wojazer
বিন্দু জমেই সিন্ধু
বিশ্ব জুড়ে সাধারণ মানুষ পরিবেশ বান্ধব কাজ করছেন৷ সব খবর শিরোনামে আসে না৷ বিন্দু জমেই সিন্ধু হয়৷ যা ভবিষ্যত উন্নতির সোপান হতে পারে৷ উদাহরণ হিসেবে ফিজির মামানুকা দ্বীপপুঞ্জের কথা বলা যায়৷ সেখানে কোরাল গ্রোয়িং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে৷ আবার নিগারের পরিবেশকর্মীরা জিরাফদের জন্য অভয়ারণ্যের দাবিতে আন্দোলন করছেন৷
ছবি: Getty Images/C.De Souza
স্বপ্ন দেখব বলে
গত বছরের এপ্রিলে, ব্রিটেনে প্রথম কনজারভেশন অপটিমিসম সামিট অনুষ্ছিত হয়েছে৷ যেখানে পরিবেশবান্ধব বেশকিছু সদর্থক কাজের কাহিনি আলোচিত হয়েছে৷ অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, মধ্য ইউরোপে লিনসেক্স বা এক ধরনের বিলুপ্তপ্রায় বনবিড়ালকে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে৷ ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই শতাব্দীতে প্রথম এই সংখ্যাবৃদ্ধির ঘটনা ঘটল৷ সমস্যা থাকবে৷ কিন্তু এই সামিটের লক্ষ্যই হলো সমস্যার মোকাবিলা করে স্বপ্ন রচনা করা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
সরকার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে৷
প্রকল্পের আওতায় এমন সব স্কুল তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দুর্যোগের সময় মানুষ আশ্রয়ও নিতে পারবে৷ তবে এ ধরনের ভবন তৈরির কাজ ব্যয়বহুল৷ এবং অনেক সময় দেখা যায়, যেখানে বেশি দরকার, সেখানে এমন ভবন নেই৷
কীভাবে এবং কোথায় অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার খেয়াল রাখে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল৷
বরগুনার একটি স্কুল কাম জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র এমন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে যেখান থেকে বেশিরভাগ গ্রাম অনেক দূরে অবস্থিত৷ প্রশ্ন হলো, এর পেছনে কি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে? করলে কেন? মাহফুজুল হক বলেন, ‘‘জলবায়ু তহবিল থেকে এখানে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে৷ প্রকল্পগুলোতে ঠিকমত অর্থ ব্যয় হয়েছে কিনা তা অনেকসময় বোঝা কঠিন হয়৷ তবে এটা খুবই ব্যতিক্রমী একটা ঘটনা যেখানে আমরা দেখছি যে, একটা স্কুল ঠিকমত ব্যবহৃত হচ্ছে না৷''
কেন এমন এক জায়গায় স্কুল তৈরি করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন৷ হক এটি জানেন না – কিংবা বলতে চান না৷
বাংলাদেশে সমালোচনা করা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের অনেক সমালোচক নিখোঁজ হয়েছেন৷
বুড়িগঙ্গায় দূষণ: শত্রু কারা কারা?
২২শে মার্চ ছিল বিশ্ব পানি দিবস৷ সবার কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই দিনটি উদযাপিত হয়৷ অথচ বিশ্বে জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে পানির সরবরাহ৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবেশ দূষণ৷ ঠিক যেমনটা ঘটছে বুড়িগঙ্গা নদীতে...
ছবি: DW/M. Mamun
ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী
একসময় মহানগরীর প্রাণ হিসেবে গণ্য হতো বুড়িগঙ্গা নদী৷ কিন্তু এই শহরের শিল্প আর মানব বর্জ্য সরাসরি এ নদীতে নির্গমনের ফলে নদীটি পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে৷ এই ছবিটি শহরের বাবুবাজার সেতু থেকে তোলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
নোংরা গন্ধযুক্ত পানি
ব্যবহারের অনুপোযোগী হলেও মানুষের হাত-পা বাঁধা৷ তাই বুড়িগঙ্গা নদীর নোংরা, গন্ধযুক্ত পানির ওপর দিয়েই খেয়াপার হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ৷
ছবি: DW/M. Mamun
গরিব মানুষের বাস
ঢাকার এই এলাকায় বাড়ি ভাড়া কম হওয়ায় নদীর ওপারের কেরানীগঞ্জ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস বেশি৷ ছবিটি সদরঘাট এলাকা থেকে তোলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ
বুড়িগঙ্গা আজ যেন সত্যিই বুড়ি হয়ে গেছে৷ নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে বুড়িগঙ্গার পানির রং এখন কুচকুচে কালো, আর দুর্গন্ধযুক্ত৷
ছবি: DW/M. Mamun
দূষণের কারণে বেড়েছে ঘনত্ব
বুড়িগঙ্গার দূষিত পানির উপর দিয়ে জাহাজ চলার পরের দৃশ্য এটি৷ কি ভয়াবহ! আসলে দূষণের কারণে পানির ঘনত্ব বেড়ে গেছে বুড়িগঙ্গার৷
ছবি: DW/M. Mamun
নদীতে লঞ্চ চলাচল
দূষণের এই ভয়াবহ মাত্রার পরও বুড়িগঙ্গার ওপর দিয়ে চলছে লঞ্চ৷ জিনিস-পত্র পারাপার তো বটেই, নদী পথে যে এখনও পার হচ্ছে মানুষ৷ ছবিটি কামরাঙ্গীরচর থেকে তোলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
রাসায়নিকের বস্তা পরিষ্কার
বুড়িগঙ্গার পানিতে রাসায়নিকের বস্তা পরিষ্কার করছেন শ্রমিকরা৷ তাঁদের কি আর কোনো উপায় নেই? তাঁরা কি আদৌ জানেন এর পরিবেশগত প্রভাব? সরকারই বা নিরব কেন?
ছবি: DW/M. Mamun
ধোপাদেরও প্রয়োজন নদী
বুড়িগঙ্গার দূষিত জলেই কাপড় ধোয়ায় ব্যস্ত ধোপারা৷ এ সব কাপড়ের বেশিরভাগই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত বিছানার চাদর, ডাক্তারদের অ্যাপ্রন, অপারেশন থিয়েটার বা ওটি-তে পড়ার ড্রেস ইত্যাদি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ধোয়া কাপড়
বুড়িগঙ্গা নদীর দূষিত জলে ধোয়া কাপড় এবার মেলে দেওয়া হয়েছে৷ নদীর পাড়েই শুকানো হচ্ছে এগুলি৷ ছবিটি কামরাঙ্গীরচর থেকে তোলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্জ্য মিশছে সরাসরি
ঢাকা শহরের সুয়ারেজের লাইন থেকে সরাসরি বর্জ্য মিশছে বুড়িগঙ্গা নদীর জলে৷ এমন দশা চলতে থাকলে অচিরেই যে অন্ধকার নেমে আসবে – তা বলাই বাহুল্য৷ শহরের বাবুবাজার সেতুর নীচ থেকে তোলা এ ছবিটি৷
ছবি: DW/M. Mamun
দূষণের অন্যতম কারণ ট্যানারি
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণের অন্যতম কারণ ট্যানারি শিল্পর বর্জ্য৷ ঢাকার হাজারীবাগে বেশ কিছু ট্যানারি শিল্প থাকলেও কারুরই নেই বর্জ্য শোধনাগার৷ তাই এ সব ট্যানারির রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য সরাসরি গিয়ে মিলে বুড়িগঙ্গায়৷ গত এক যুগ ধরে ঢাকার বাইরে ট্যানারি শিল্পের জন্য আলাদা জায়গা দেওয়া হলেও, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ট্যানারি মালিরা কারখানাগুলো স্থানান্তর করছেন না৷
ছবি: DW/M. Mamun
শুধু দূষণই নয়...
শুধু দূষণেই থেমে নেই বুড়িগঙ্গা৷ আছে দখলও৷ দূষণ আর দখলে থেমে যেতে বসেছে বুড়িগঙ্গার গতিপথ৷ কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা যেন এখন মরা খাল!
ছবি: DW/M. Mamun
আর এক শত্রু প্লাস্টিক
শিল্প আর মানব বর্জ্য ছাড়াও বুড়িগঙ্গা দূষণের আরেক অংশীদার প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য৷ প্রতিদিন প্রচুর প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য মিশছে বুড়িঙ্গার জলে৷ এ ছবিটি বাদামতলী থেকে তোলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
13 ছবি1 | 13
জার্মানির রাষ্ট্রদূত টোমাস প্রিনৎস অবশ্য কথা বলতে ভয় পান না৷ অনেক বাংলাদেশি হয়ত তাঁর সঙ্গে একমত হবেন, যদিও তাঁরা হয়ত সে কথা স্বীকার করবেন না৷ টোমাস প্রিনৎস বলেন, ‘‘এই দেশে উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি, বলে আমি মনে করি৷ এই দেশের দরকার দুর্নীতিমুক্ত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠান৷ এক্ষেত্রে সবার আগে যেটা থাকা উচিত তা হচ্ছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা৷ কিন্তু তেমন কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না৷''
বাংলাদেশে অনেক বাজার নদীর কাছে অবস্থিত৷ যে ভবনগুলোতে এগুলো অবস্থিত সেগুলো বন্যা ও সাইক্লোনের মুখে দাঁড়িয়ে থাকার মতো মজবুত নয়৷
একটি আশ্রয়কেন্দ্র পর্যাপ্ত উঁচু হতে হবে কিংবা উঁচু স্থানে অবস্থিত হতে হবে যেন বন্যার সময় মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে৷
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু তহবিল থেকে সরে আসার হুমকি দিচ্ছে বিদেশি দাতারা৷
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে৷ মাহফুজুল হক বলেন, ‘‘সরকার এই সব পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে আগ্রহী৷ ক্রমান্বয়ে তারা এ সব বিষয় তাদের পরিকল্পনা ও নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করছে৷ ফলে এটি বাংলাদেশকে জলবায়ু তহবিল থেকে আরও টাকা পেতে সহায়তা করছে৷''
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাৎক্ষণিকভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি৷ তাই প্রভাব মোকাবিলার জন্য যে-কোনো সাহায্য পেতে আগ্রহী দেশটি৷