1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কয়লাখনি বণ্টনে দুর্নীতি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৮ অক্টোবর ২০১৩

ভারতে কয়লাখনি বণ্টনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে তৎকালীন কয়লা সচিব এবং যে কোম্পানিকে সুবিধা দেয়া হয়েছিল, তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর করা নিয়ে আবার বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ আঙুল উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর দিকেও৷

ছবি: Reuters

ওড়িষায় দুটি কয়লাখনি বণ্টনে পক্ষপাতিত্ব করেছিলেন তৎকালীন কয়লা দপ্তরের সচিব বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত পি সি পারেখ৷ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নেভিলি লিগনাইট নিগমকে না দিয়ে শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি কুমারমঙ্গলম বিড়লার হিন্ডালকো অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানিকে বণ্টন করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো পারেখ এবং বিড়লার বিরুদ্ধে এফআইআর করা নিয়ে রাজনৈতিক ও শিল্পমহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন কয়লা সচিব পারেখ তোপ দেগেছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকে৷ বলেছেন, ‘‘আমি যদি অনিয়ম করে থাকি, তৎকালীন কয়লামন্ত্রী হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে তাতে সই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং স্বয়ং৷ অনিয়ম করা হয়েছে মনে করলে তিনি অনায়াসেই তা খারিজ করে দিতে পারতেন৷ আমার বিরুদ্ধে যদি ষড়যন্ত্র ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়, তাহলে তার দায় তো প্রধানমন্ত্রীর ওপর বর্তায়, তাই না? আমার বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি ষড়যন্ত্র অভিযোগ তোলা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও ষড়যন্ত্রের এক অংশীদার৷ কাজেই পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন৷''

তবে এ কথাও তিনি স্বীকার করেছেন যে, নেভিলি লিগনাইট নিগম এবং হিন্ডালকো – দুটি সংস্থাই যোগ্যতার নিরিখে সমান সমান৷ প্রথমে রাষ্ট্রায়ত্ত নেভিলি লিগনাইটকেই কয়লা ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল, পরে বিড়লা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নতুন আবেদনপত্র দিলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেই আবেদনপত্র আবার বিবেচনা করে দেখার কথা বলা হয়৷ ‘‘পরে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বিড়লা আমার সঙ্গে দেখা করেন এবং স্ক্রিনিং কমিটির প্রধান হিসেবে আমি আগেকার সিদ্ধান্ত বদল করে বিড়লার হিন্ডালকো কোম্পানিকে কয়লা ব্লক মঞ্জুর করি,'' বলেন প্রাক্তন কয়লা সচিব পারেখ৷ সরকারের আগেকার নীতি ছিল বিনা নীলামে স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতে কয়লাখনি বণ্টন করা হতো৷

ভারতের প্রাক্তন কয়লা সচিব পারেখ তোপ দেগেছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকেছবি: AFP/Getty Images

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একজন প্রাক্তন আমলা যেভাবে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন, সেটা হাতিয়ার করে নির্বাচনের মুখে আসরে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ বিজেপির মতে, প্রধানমন্ত্রী যখন কয়লামন্ত্রী হিসেবে সিদ্ধান্তে সই দিয়েছেন, তখন আসল দায়িত্ব তাঁরই৷ বাম দলের মতে, আরো বিস্তারিত তথ্য জানা দরকার কে কতটা দায়ী৷

পাশাপাশি বিড়লার বিরুদ্ধে এফআইআর-জনিত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন শিল্পমহল৷ শিল্পপতিরা মনে করেন, সিবিআই এভাবে যখন-তখন যাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছা এফআইআর করলে সেই রকম পরিবেশে বিনিয়োগ করতে শিল্পপতিরা ভয় পাবে৷ বিনিয়োগের ওপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব৷ শুধু শিল্পমহল নয়, সরকারের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী, কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রীও এদের সঙ্গে একমত৷ হিন্ডালকোর তরফে বলা হয়েছে, সরকারের স্ক্রিনিং কমিটির সিদ্ধান্ত বিড়লা পালটে দিয়েছেন, এটা বলা অযৌক্তিক৷

উল্লেখ্য, সরকারের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেলের গত বছরের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারের খুশিমত কয়লাখনি বণ্টনের ফলে সরকারের লোকসান হয়েছে প্রায় এক লাখ ৮৬ লাখ হাজার কোটি টাকা৷ বণ্টন করা হয়েছিল বিনা নিলামে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে৷ কংগ্রেস জোট সরকারের আমলে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ