1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্ভাগ্যকে দুষছে বায়ার্ন, চেলসিতে মাত্তিও বন্দনা

২০ মে ২০১২

চেলসির কাছে হারার পর বায়ার্ন মিউনিখের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ যেন থামছে না৷ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে খেলোয়াড় সবাই এখন বাকহারা৷ অন্যদিকে চেলসিতে চলছে দে মাত্তিওর বন্দনা৷

ছবি: Reuters

রোববারের দুয়েকটি জার্মান পত্রিকার শিরোনামই বলে দিচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে হারার যন্ত্রণা কিভাবে পোড়াচ্ছে জার্মানদের৷ স্যুডডয়চে সাইটুং এর শিরোনাম, ‘ফুটবলে এর চেয়ে বেশি দুর্ভাগ্য কি হতে পারে?' শোয়াইন্সটাইগারের উদ্দেশ্যে বিল্ড অনলাইনের শিরোনাম, ‘পেনাল্টি মিস, শোয়াইনি, তোমার সঙ্গে আমরাও কাঁদছি'৷ স্যুডডয়চে সাইটুং নিজেদের দুর্ভাগ্যের পাশাপাশি চেলসিকে নিয়ে লিখেছে, ‘আরেকজনের জয় কিভাবে চুরি করতে হয় তার ওস্তাদ চেলসি৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে একতরফা ম্যাচ স্পষ্টতই এটি৷' আসলে গোটা ম্যাচে চেলসিকে চাপে রেখে ৮৩ মিনিটে গোল পাওয়ার পরও জিততে পারলো না বায়ার্ন মিউনিখ৷ কারণ ৮৮ মিনিটের মাথায় দ্রগবার দুর্দান্ড হেডার আর অতিরিক্ত মিনিটে বায়ার্নের রবেনের পেনাল্টি মিসের পর বায়ার্নের পরাজয় দুর্ভাগ্য নাকি ব্যর্থতা, সেটি নিয়ে বিতর্ক জমতেই পারে৷ তবে বায়ার্নের কোচ ইয়ুপ হেইনকেস কেবল ভাগ্যকে দুষতে রাজি নন, সেটি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন৷ ম্যাচের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক বেশি সুযোগ মিস করেছি৷ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আমরা পারিনি৷ চেলসির মত দলের বিরুদ্ধে এত সুযোগ পাওয়া যায়না৷ আর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে যদি লিড নেওয়া যায় তাহলে সেটি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা উচিত৷'' যাই হোক, পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ হারার যন্ত্রণা এখন বয়ে নিতে হচ্ছে বায়ার্ন সমর্থকদের৷ যেমনটি ক্লাবের চেয়ারম্যান কার্ল হাইন্জ রুমিনিগে তো বলেই দিলেন, ১৩ বছর আগের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারার যন্ত্রণাও এতটা বেশি ছিলো না৷

মন খারাপ বায়ার্নেরছবি: Reuters

এদিকে বায়ার্ন হারার পর তাদের খেলোয়াড়দের সামলানোর ভার এখন জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভের ওপর৷ কারণ আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে ইউরো কাপ৷ আর জাতীয় দলের আট জন ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের৷ কিন্তু তাদের মানসিক অবস্থা এখন যে পর্যায়ে তাতে ল্যোভকে কোচের পাশাপাশি এখন মনস্তত্ববিদ হিসেবেও কাজ দেখাতে হবে৷

মাত্তিও বন্দনা

এদিকে চেলসিতে কিন্তু চলছে উৎসব আর আনন্দ৷ বিশেষ করে এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পেছনে যার অবদান সেই লোকটির কথাই এখন সবার মুখে মুখে৷ দলের ইটালিয় কোচ রবার্তো দে মাত্তিও, যার কারণে এই প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা তুলে নিলো চেলসি৷ অথচ গত মার্চ মাসে মাত্তিওর ঘাড়ে যখন দায়িত্ব এসে চাপে তখন চেলসি টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে যাচ্ছে৷ ন্যাপোলিতে ৩-১ গোলে হারার পর দলের পর্তুগিজ কোচ আন্দ্রে ভিলাস বোয়াসকে বিদায় জানিয়ে দেয় রোমান আব্রামোভিচের ক্লাব৷ এরপর উইগানের কোচ রবার্টো মার্টিনেজের দিকেও হাত বাড়িয়েছিলো তারা৷ কিন্তু সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বোয়াসের সহকারি দি মাত্তিওর ওপর দায়িত্ব দেয়৷ আর সেখান থেকেই চেলসির নতুন যাত্রা৷ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম চারে আসতে না পারলেও ইউরোপের সেরা ক্লাবের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা এই প্রথমবারের মত৷ তাই চেলসির সমর্থকরা চাইছেন মাত্তিওকেই পরবর্তী মৌসুমের জন্য কোচ হিসেবে রেখে দিন ক্লাবের মালিক রোমান আব্রামোভিচ৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (ডিপিএ, এএফপি)

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ