ভারত মহাসাগরের যে এলাকায় নিখোঁজ বিমানের খোঁজে তল্লাশি চলছিল, মঙ্গলবার সেখানে শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি৷ ফলে অভিযান স্থগিত রেখেছে কর্তৃপক্ষ৷ এদিকে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া বিমানের সব তথ্য মালয়েশিয়ার কাছে চেয়েছে চীন৷
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে মঙ্গলবার দিনভর বৃষ্টি হলেও বুধবার সকাল থেকে আবহাওয়া অনুকূল হতে পারে৷ ফলে বুধবার আবারও শুরু হবে তল্লাশি অভিযান৷ অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান এয়ার মার্শাল মার্ক বিনসকিন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা খড়ের গাদায় সূচ খুঁজছি না৷ বরং খড়ের গাদাটা কোথায় সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি৷''
মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণ
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ বিমানটির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি৷ এটি নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে এখন চলছে ব্যাপক আলোচনা৷ চলুন জানা যাক বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণগুলো৷
ছবি: Reuters
কেন নিখোঁজ?
২০১৪ সালের ৮ই মার্চ নিখোঁজ হওয়া এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি নিয়ে এখন যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে, পাইলট কি নিকটবর্তী কোনো স্থানে বিমানটি অবতরণ করাতে চয়েছিলেন? বিমানটি কি অন্য একটি বিমানের রাডার সিগন্যালের আড়ালে চলতে চয়েছিল? বা এটি কি সত্যিই মালদ্বীপ পর্যন্ত উড়ে গিয়েছিল?
ছবি: Reuters
দ্রুত অবতরণের চেষ্টা
মালয়েশিয়ার এই বিমানটি নিখোঁজের ১২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত কারণগুলোর একটি হচ্ছে, বিমানটির ককপিটে কোনো কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে এবং সেকারণে পাইলট এটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দ্রুত কাছাকাছি কোনো বিমানক্ষেত্রে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন৷ এ জন্যই হয়ত বিমানটি গতিপথ বদলে ছিল৷
ছবি: Reuters
ছিনতাই চেষ্টা
বিমান নিখোঁজের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ছিনতাইকে এখনো উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না৷ অনেকে সন্দেহ করছেন, বিমানের পাইলট বা ছিনতাইকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানের কমিউনিকেশন সিস্টেমে ভিন্ন একটি ঠিকানা প্রবেশ করিয়েছিলেন৷ ফলে উড়ালের এক পর্যায়ের বিমানটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়৷ অনেকের সঙ্গে মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকও এমন ধারণা করছেন৷
ছবি: Reuters
অন্য বিমানের আড়ালে চলার চেষ্টা
এ ধারণাটি অবশ্য হলিউড ছবির জন্য চমৎকার প্লট হতে পারে৷ কেউ কেউ মনে করছেন, এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের বেশ কাছাকাছি থেকে কিছুক্ষণ উড়েছিল, যাতে করে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের রাডার সিস্টেমের ছায়াতলে অবস্থান করে নিজেদের পরিচয় কিছু সময়ের জন্য লুকিয়ে রাখা যায়৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: AP
উল্কার আঘাতে বাষ্পীভূত
মালয়েশিয়ার এই বিমানটিতে থাকা ২৩৯ জন আরোহীর দুই তৃতীয়াংশই চীনা নাগরিক৷ চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে যে, উল্কার আঘাতে বিমানটি ধ্বংস এবং বাষ্পীভূত হয়েছে৷
ছবি: Reuters
মালদ্বীপ থেকে দেখা গেছে বিমানটি
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের একটি ছোট্ট দ্বীপের বাসিন্দারা ৮ই মার্চ সকালে খুব নীচু থেকে উড়ে যাওয়া একটি বিমান দেখেছেন বলে দাবি করেছেন৷ বিমানটি সাদা রংয়ের এবং এতে লাল রংয়ের লাইন আঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা, যা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের সঙ্গে মিলে যায়৷ বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছেন মালদ্বীপ পুলিশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিমান খুঁজছেন কয়েক লাখ মানুষ
এমএইচ৩৭০ উড়ালের এই বিমানটি ইন্টারনেটে খুঁজছেন কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ৷ স্যাটেলাইট সংস্থা ‘ডিজিটালগ্লোব’ জানিয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজে তাদের অনলাইন ম্যাপ দেখা হয়েছে ২৫৭ মিলিয়ন বার৷
ছবি: NASA/dpa
আসলে কি কেউ কিছু জানে?
বিমানটি খোঁজার অগ্রগতি সম্পর্কে এক মালয়েশীয় কর্মকর্তা জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই৷’’ বুধবার (১৯.০৩.১৪) পর্যন্ত এটাই বাস্তবতা৷ ফলে বিমান নিখোঁজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ক্রমশই বাড়ছে, যার কোনটি সত্য কেউ জানে না! (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, ‘‘তল্লাশি অভিযানে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে এবং হয়ত আমাদের কঠিন ও অপ্রত্যাশিত কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে৷'' সোমবার রাতে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন বোয়িং ৭৭৭ সমুদ্রে তলিয়ে গেছে এবং আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই৷ নাজিব বলেন, জায়গাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং প্রত্যন্ত৷ আর তাই গভীর সমবেদনা এবং দুঃখের সঙ্গে আমাকে জানাতে হচ্ছে যে, নতুন তথ্যমতে, ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ দক্ষিণ ভারত মহাসাগরেই বিলীন হয়েছে৷
স্বজনদের বিক্ষোভ
বিমানটির যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন চীনের নাগরিক৷ বেইজিং-এর একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে দুঃখে কেঁদে ফেলেন অনেকেই৷ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বেইজিং এ মালয়েশীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন বিমান যাত্রিদের স্বজনেরা৷ তারা স্লোগান দিতে থাকেন ‘মালয়েশিয়া মিথ্যেবাদী'৷ তাদের পরনে ছিল সাদা টিশার্ট যাতে লেখা ছিল ‘এমএইচ৩৭০'-র জন্য প্রার্থনা করো'৷
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি হ্যাংসেং বেইজিং-এ অবস্থানরত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, কী কারণে নাজিব রাজাক এ ধরনের ঘোষণা দিলেন তার প্রকৃত কারণ জানতে চান তাঁরা৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ব্রিটেনের কাছে হারিয়ে যাওয়া বিমানটি সম্পর্কে সব তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠিয়েছে৷
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বিমানটির হারিয়ে যাওয়ার সঠিক কারণ জানতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে৷ এখনো তদন্ত চলছে এবং পরিস্থিতি এত জটিল যে বলা যায় না কখন এর সমাধান জানা যাবে৷ এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন তিনি এবং তল্লাশি অভিযান ও তদন্ত অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সহায়তার প্রস্তাব নিয়েছেন৷
বিশেষজ্ঞদের ধারণা
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া সবশেষ তথ্যে বিমানটির অবস্থান জানা যায়নি, কিন্তু সমুদ্রের কোন জায়গায় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার একটি ধারণা এ থেকে পাওয়া যেতে পারে৷
সোমবার অস্ট্রেলিয়া ও চীনা অনুসন্ধানী বিমান জানিয়েছিল, পার্থ শহরের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২,৫০০ কিলোমিটার দূরে দুটি বস্তুর সন্ধান পেয়েছে তারা৷ তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ২৪ ঘণ্টা বিরতির কারণে ঐ বস্তুগুলো সেখান থেকে সরে গিয়ে থাকতে পারে বা তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে৷ কেননা সমুদ্রের পানির উচ্চতা কোথাও কোথাও ৭০০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে৷
৮ই মার্চ বিমানটি ওড়ার এক ঘণ্টার মধ্যে রাডারের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ তাই তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা বিমানের ভেতরে কেউ বিমানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দিয়েছিল৷ মিলিটারি রাডারের একটি অংশের তথ্য থেকে জানা যায়, এটি পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল এবং মালয়েশিয়ার দিকে ফেরে এসেছিল এবং বিমান চালকের নিয়ন্ত্রণে ছিল এটি৷
কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ও তার কারণ
আজকের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগেও কীভাবে একটি বিমান হারিয়ে যেতে পারে সেটা অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না৷ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে হয়েছে সেটি৷ ছবিঘরে থাকছে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার কথা ও তার কারণ৷
ছবি: AP
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স
৮ই মার্চ, ২০১৪৷ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে হারিয়ে যায়৷ এখনো সেই বিমানের হদিশ মেলেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এয়ার ফ্রান্স
বিমান হারানোর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১ জুনেও৷ সে সময় ব্রাজিল থেকে ফ্রান্স যাওয়ার পথে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে হঠাৎ করে হারিয়ে যায় এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান৷ প্রায় দু বছর পর সাগরের নীচে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় এর খোঁজ পাওয়া যায়৷ এতে ২২৮ যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ বিমান চালানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা কাজ না করায় বিমানটি দ্রুতগতিতে নীচে নেমে অ্যাটলান্টিকের পানিতে তলিয়ে যায় বলে পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্টে জানা গেছে৷
ছবি: dapd
ভোজা এয়ার
২০১২ সালের ২০শে এপ্রিল পাকিস্তানের বেসরকারি ‘ভোজা এয়ার’-এর একটি বিমান ল্যান্ডিং-এর সময় নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়লে ১২৭ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার চেষ্টাই দুর্ঘটনার কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে৷ বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমানটি করাচি থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছিল৷
ছবি: Reuters
ইরান এয়ার
২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি ইরান এয়ারের একটি বোয়িং ৭২৭-২০০ বিমান তেহরান থেকে অরুমিয়ে যাওয়ার পথে নামতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনায় পড়লে ১০৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৭৭ জন নিহত হন৷ বেঁচে যায় ২৮ জন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
দুবাই থেকে ভারতের ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামার পর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে দূরের পাহাড়ে গিয়ে আঘাত করলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়৷ এতে ১৫৮ জন নিহত হন৷ আর বেঁচে যান আটজন৷ পাইলটের গাফিলতি দুর্ঘটনার কারণ বলে তদন্তে জানা যায়৷ ঘটনাটি ঘটে ২০১০ সালের ২২শে মে তারিখে৷
ছবি: AP
আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজ
পাইলটের ভুলের কারণে ২০১০ সালের ১২ মে আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান লিবিয়ার ত্রিপোলিতে ল্যান্ডিং-এর আগে দুর্ঘটনায় পড়লে ১০৩ জন যাত্রী নিহত হন৷ তবে অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যায় হল্যান্ডের নয় বছরের এক ছেলে!
ছবি: AP
প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
২০১০ সালের ১০ই এপ্রিল পোল্যান্ডের বিমানবাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে দেশটির সে সময়কার প্রেসিডেন্ট সহ ৯৬ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন৷ পোল্যান্ডের সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকে দায়ী করা হয়৷ বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ায় ল্যান্ডিং এর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছিল না পাইলটের৷
ছবি: AP
ইয়েমেনিয়া
ল্যান্ডিং এর আগে ইয়েমেনের এয়ারলাইন্স ‘ইয়েমেনিয়া’-র একটি বিমান সাগরে ভেঙে পড়লে ১৫৩ জন যাত্রীর ১৫২ জনই মারা যান৷ শুধু বেঁচে যায় ১২ বছরের একটি মেয়ে৷ দুর্ঘটনার কারণ পাইলটের ‘ঝুঁকিপূর্ণ ম্যানুভার’৷
ছবি: AP
8 ছবি1 | 8
অস্ট্রেলিয়ার মেরিটাইম সেফটি অথরিটি বা এএমএসএ জানিয়েছে, প্রচণ্ড বাতাস, প্রবল বৃষ্টি এবং ঘন মেঘের কারণে মঙ্গলবার ঐ জোনে বিমানটির নিরাপদে থাকার কোন সম্ভাবনা নেই৷ কেননা সেখানে ৬ মিটার উঁচু ঢেউ উঠছে৷
বিশেষজ্ঞরাও এও বলছেন, যদি অনুসন্ধানকারীরা নিখোঁজ বিমানটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজেও পায়, সেটি রহস্যের কোনো কিনারা করতে পারবে না৷ কেননা ব্ল্যাক বক্সে বিমান নিখোঁজের আগে মাত্র দুই ঘণ্টা পাইলট ও নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের মধ্যে কথোপকথন ধারণ করা থাকে৷ অর্থাৎ মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মধ্যে থাকাকালীন যে কথোপকথন হয়েছে, সেটি থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷ কিন্তু এটা দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়৷
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ায় ‘আন্ডার সি নেভি ড্রোন' পাঠাবে৷ সেই সাথে উচ্চতা ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ডিভাইসও পাঠাবে৷ জার্মানিও গভীর সমুদ্রে তল্লাশির জন্য ‘অ্যাবিস' ডুবোজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে৷
গত ৮ই মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের বিমানটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যায়৷ তারপর থেকে ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিমানটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি৷