1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্যোগ মোকাবিলা

৫ নভেম্বর ২০১২

ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি যুক্তরাষ্ট্রে কেড়ে নিয়েছে অনেকের প্রাণ৷ আর বয়ে এনেছে বিপুল আর্থিক ক্ষতি৷ ভবিষ্যতে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনতে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও উন্নত প্রযু্ক্তির সন্ধান চলছে৷

ছবি: Getty Images

ক'দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি ও নিউ ইয়র্ক সহ বহু এলাকায় আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি৷ সে সময়কার ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন নি৷ মার্কিন সরকারের মতে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্যোগ৷ আগে থেকেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ায় হয়ত ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমানো গেছে৷ তবে ভবিষ্যতে যেন এক্ষেত্রে আরও সফলতা পাওয়া যায় সে চেষ্টা চলছে এখন৷

যেমন লিকুইড রোবোটিকস নামের একটি কোম্পানি তৈরি করেছে ভাসমান রোবোট, যার নাম ‘ওয়েভ গ্লাইডার'৷ এমন নামকরণের কারণ – রোবোটটি সাগরের ঢেউয়ের গতি থেকে শক্তি সঞ্চয় করে চলাফেরা করতে পারে৷ আসন্ন কোনো ঝড়ের পূর্বাভাষ পাওয়া গেলে এই ওয়েভ গ্লাইডারকে ঝড়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া যায়৷ এর ফলে ঝড়টি ভবিষ্যতে কোন দিকে যেতে পারে এবং তার শক্তিই বা কেমন হতে পারে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে এই রোবোট৷ আবহাওয়া শনাক্তকরণ বিশেষ বিমান ব্যবহার করে এখনও অবশ্য এমন তথ্য পাওয়া যায়৷ তবে ওয়েভ গ্লাইডার যেহেতু পানিতেই থাকে, তাই তার দেয়া তথ্যগুলো আরও সঠিক হবে, সেটাই স্বাভাবিক৷

নিউইয়র্কে স্যান্ডি পরবর্তী অবস্থাছবি: picture-alliance/dpa

ওয়েভ গ্লাইডারের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, ভূমিকম্পের কারণে সুনামি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা৷ ইতিমধ্যে জাপান ও ইন্দোনেশিয়ার কাছে সাগরে বেশ কিছু ওয়েভ গ্লাইডার বসানো হয়েছে৷ এছাড়া ‘ইউএস ন্যাশনাল অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যান্ড ওশেনিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন'-এর সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র সহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে লিকুইড রোবোটিকস কোম্পানি৷

আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করছে আরেকটি সংস্থা ‘ক্লাইমেট কর্প'৷ গুগল সহ আরও কয়েকটি কোম্পানি এই সংস্থার কাজে অর্থায়ন করছে৷ তাদের দেয়া তথ্য ব্যবহার করে শস্য বিমার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে থাকে বিমা কোম্পানিগুলো৷

‘ইনরিক্স' নামের আরেকটি কোম্পানি মহাসড়কে যান চলাচল পরিস্থিতি পরিমাপ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঊদ্ধারকর্মীরা দুর্যোগের সময় ঊদ্ধারের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করতে পারে৷

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে একটা বিরাট এলাকা বিদ্যুত্হীন হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক একটা বিষয়৷ স্যান্ডির পরও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ শূন্য অবস্থায় ছিল৷ এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করেছে ‘ব্লুম এনার্জি', ‘ক্লিয়ার এজ' সহ আরও কয়েকটি কোম্পানি৷ তাদের বের করা সমাধানটি হচ্ছে ‘ফুয়েল সেল সিস্টেম' বা জ্বালানি কোষ ব্যবস্থা৷ এই প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাস না পুড়িয়ে বিশেষ এক রাসায়নিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত করে জ্বালানি উৎপাদন করা হয়৷ এভাবে ৫-কিলোওয়াটের একটি ইউনিট দিয়ে ৩,০০০ বর্গফুটের একটি বাড়ির জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা যায়৷ ক্লিয়ার এজ কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আশা করছেন, যেসব এলাকায় মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায় সেখানে তাদের প্রযুক্তিটি জনপ্রিয় হবে৷

দুর্যোগের পরপর আরেকটা যে সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া৷ ‘নেটমোশন ওয়্যারলেস' কোম্পানি এমন এক ব্যবস্থা বের করেছে, যার মাধ্যমে ঊদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর নেটওয়ার্কে থাকা সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলো ‘নেটওয়ার্ক নেই' এমন অবস্থায়ও কাজ করতে পারে৷ ফলে ঊদ্ধারকারী সংস্থাগুলো ঊদ্ধারকাজের সময় উপদ্রুত এলাকা সম্পর্কিত তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে৷ এতে ঊদ্ধারকাজ সহজ হয়৷

স্যান্ডির রেখে যাওয়া চিহ্নছবি: Reuters

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ‘কন এডিশন' সহ নিউইয়র্ক ও কানেকটিকাটের পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে৷ ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডির পর চালানো ঊদ্ধারকাজেও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে৷ কোম্পানির কর্মকর্তারা আশা করছেন, স্যান্ডিতে তাদের প্রযুক্তি সফলভাবে কাজে লাগায় আরও অনেক সংস্থাই ভবিষ্যতে তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হবে৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ