২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ কাজ হবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে, দারিদ্র কমিয়ে ও শিক্ষার হার বাড়িয়ে৷ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আর মহিলা অধিদপ্তর৷
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে ‘গার্লস লিড দ্য ওয়ে' শীর্ষক বক্তব্যে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হবে৷ মৌলবাদী বা ধর্মান্ধরা বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে কোনো বাধা হবে না৷ কারণ জনগণ তাদের জন্য কোনটি ভালো এবং কোনটি ভালো নয়, সে ব্যাপারে সচেতন৷ তিনি বলেন, মৌলবাদী শক্তি একসময় মেয়েদের শিক্ষার বিরোধিতা করতো৷ তবে সেই সময় গত হওয়ায় আমরা এখন সে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠেছি৷ আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ৷ সরকার নারীদের কর্মসংস্থান ও জাতীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে৷''
'মেয়ের বিয়ে হলে পোষ্য কমবে'
02:47
এর আগে গত বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত বাল্যবিবাহ বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নীচে মেয়েদের বিবাহ বন্ধ করা হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সব ধরনের বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে৷
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা কিভাবে বাস্তবায়নের কাজ চলছে? মেয়েদের বয়স কমিয়ে না সামাজিকভাবে সচেতনতার মাধ্যমে নাকি অন্য কোনোভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘দারিদ্রের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম তো চলছেই৷ শিক্ষাকে সর্বোচ্চ আগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার৷ পাশাপাশি চলছে সামাজিক সচেতনতা৷ আর বয়স কমানোর ইস্যু তো ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে৷ এখন আমরা পাহাড়ি ও চরাঞ্চলে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি৷ আশা করছি, ২০৪১ সালের অনেক আগেই আমাদের কাজ শেষ হবে৷ বাংলাদেশে তখন কোনো বাল্যবিয়ে থাকবে না৷ অভিভাবকরা ইতিমধ্যে অনেক সচেতন হয়েছেন৷''
বাল্যবিবাহের শিকার শাবনাজ
02:23
This browser does not support the video element.
বয়সের ইস্যু শেষ হয়ে গেছে বলে শাহীন আহমেদ চৌধুরী দাবি করলেও, মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলছেন ভিন্ন কথা৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আইনের মধ্য থেকে ঐ ‘ক্লজটি' তো এখনো বাদ দেয়া হয়নি৷ ফলে সরকারের সদিচ্ছা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না৷''
কী আছে ঐ ক্লজে? – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ঐ ক্লজে বলা আছে, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরই থাকছে৷ তবে বাবা-মা ইচ্ছে করলে পারিপার্শ্বিক কারণে ১৬ বছর বয়স হলেই মেয়েদের বিয়ে দিতে পারবেন৷ এটা রাখা যাবে না৷ পুরোপুরি ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হলেই সেখানে অপব্যবহার হতে পারে৷ ফলে ওই ক্লজটি উঠিয়ে দিতে হবে৷''
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের যে ছবি আলোড়ন তুলেছে
বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ এখনো এক বড় সমস্যা৷ দেশটিতে ৬৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে আঠারো বছর বয়স পার হওয়ার আগেই৷ বার্তা সংস্থা গ্যাটি ইমেজেস-এর এক ফটোগ্রাফার তাঁর ক্যামেরায় ধারণ করছেন এমনই একটি বাল্যবিবাহের কিছু ছবি৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
নওশিনের বিয়ে
নওশিন আক্তারের বয়স ১৫ বছর৷ বাবার বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে৷ বিয়ের দিনও সে ছুটে বেড়াচ্ছিল পড়শিদের বাড়ি বাড়ি৷ সেখান থেকেই ধরে এনে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয় তাকে৷ তার বিয়ের, আইনি দৃষ্টিতে যা অবৈধ, কিছু ছবি থাকলো এই ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বিয়ে বাড়িতে উৎসব
আগস্টের ২০ তারিখে বিয়ে হয় নওশিনের৷ নিজে বিয়ের অর্থ সে তেমন না বুঝলেও, পাড়াপড়শির এই বিয়ে নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না৷ বিয়ের দিন উৎসবের এই ছবি জানান দিচ্ছে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরের বয়স নিয়ে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
নওশিনের গোসল
বিয়ের দিন প্রকাশ্যেই গোসল করানো হয় নওশিন আক্তারকে৷ বাল্যবিবাহের জন্য তাকে প্রস্তুত করার অংশ এই গোসল৷ অনেকের সঙ্গে এএফপি-র আলোকচিত্রিও দেখেছেন সেই আচার৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বিউটি পার্লারে নওশিন
বিয়ের জন্য সাজাতে নওশিনকে নেয়া হয়েছে বিউটি পার্লারে৷ বাংলাদেশের আনাচেকানাচে এ রকম পার্লারের সংখ্যা অনেক৷ ছবিতে কাপড় পরার সময় অপর এক নারীকে দেখছে নওশিন৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
কনের মেকআপ
বিয়ের সাজে সাজানো হচ্ছে নওশিনকে৷ বাংলাদেশে কনেকে বেশ রংচংয়ে মেকআপে সাজানো হয়৷ অনেক সময় চেহারার রং ফর্সা করার চেষ্টা করা হয় জোর করে, যা অনেকসময় দেখতে কিছুটা দৃষ্টিকটু হলেও ঐতিহাসিকভাবে চলে আসছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
গহনা ছাড়া কি বিয়ে হয়?
কনে নওশিনকে গহনা পড়িয়ে দিচ্ছেন তার আত্মীয়রা৷ বাংলাদেশে বিয়েতে সোনার গহনা এক অপরিহার্য উপাদান৷ কনের পরিবারের আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক, সোনাদানা ছাড়া বিয়ে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে একরকম ভাবাই যায় না৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
জোর করে বিছানায় নেয়া হচ্ছে নওশিনকে
নওশিনকে তার এক আত্মীয় জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একটি বিছানায়, যেখানে তার ছবি তোলা হবে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ভিডিও-র জন্য ‘পোজ’
ভিডিও-র জন্য পোজ দিচ্ছে নওশিন আক্তার৷ তার বিয়ের মুহূর্তগুলো এভাবেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভাড়া করা আলোকচিত্রিরা৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
৩২ বছর বয়সি বর
নওশিনের বরের নাম মোহাম্মদ হাসামুর রহমান, বয়স ৩২ বছর৷ বিয়ের সন্ধ্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক কনের সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন রহমান৷ এএফপি-র একজন বিদেশি আলোকচিত্রি সেই বিয়েতে উপস্থিত হতে পারলেও বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পারেনি গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে নওশিন
বিয়ে শেষে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ১৫ বছর বয়সি নওশিন৷ পরিবারের সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন৷ বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের এ সব ছবি গোটা বিশ্বের আলোড়ন তুলেছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
10 ছবি1 | 10
আয়েশা খানমের মতে, ‘‘সরকার যদি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে চায়, তাহলে পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ দূর করতে হবে দারিদ্র৷ এর পাশাপাশি কিশোরীদের নিরাপত্তাহীনতাও দূর করতে হবে৷ এই নিরাপত্তাহীনতা গ্রামে এখনো অনেক বেশি৷ যদিও স্কুলে যাওয়া কিশোরীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফলেই এটা সম্ভব৷''
জানা গেছে, সমতল এলাকায় এর মধ্যেই বাল্যবিবাহ বহুলাংশে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে সরকার৷ কিন্তু পাহাড়ি ও চরাঞ্চলে এখনও এই প্রবণতা রয়েছে৷ ইউনিসেফ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই ৩৯ শতাংশ এবং ১৮ বছরের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে৷ এ দেশে বাল্যবিবাহের গড় হার ৬৫ শতাংশ৷ ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের এই হার বিশ্বে সর্বোচ্চ৷ প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাল্যবিবাহের গড় হার ৫০ শতাংশ, নেপালে ৫৭ শতাংশ এবং আফগানিস্তানে ৫৪ শতাংশ৷ ছাড়া সরকারের ২০১১ সালের সর্বশেষ বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) বলছে, ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ৬৬ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে৷ ১৯ বছরের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন কিশোরী গর্ভধারণ করছে বা সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ৷
দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্য বিবাহের হিড়িক
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৬ না করার আবেদন জানিয়েছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্য বিবাহের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি, এবং সেই তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ৷
ছবি: Getty Images/AFP
বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স
গত ৯ই জুন প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এইচআরডাব্লিউ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি বাল্য বিবাহের এই নতুন ‘মহামারীর’ মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার বিরোধী৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
পনেরো বছর হবার আগেই
বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ মেয়ের ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়, বলছে ‘বাড়ি বন্যার জলে ভেসে যাওয়ার আগেই বিয়ে করে ফেলো’, এই শীর্ষকের একটি রিপোর্ট৷ এইচআরডাব্লিউ সংগঠনের রিপোর্টটি বাংলাদেশে শত শত বালিকা বধূর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে৷ বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ, কিন্তু কর্মকর্তাদের ঘুস দিয়ে সহজেই ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট বার করে নেওয়া যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
একটি কারণ: দারিদ্র্য
ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাংলাদেশের বহু মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিয়েছে৷ ফলে বাল্য বিবাহের সংখ্যা বেড়েছে, কেননা দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ পরিবারে কন্যাসন্তান একটি দায় বা বোঝা৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর প্রতিশ্রুতি দেন যে, ১৫ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হবে৷ কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য বিশেষ কিছু করেননি, বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
দাম্পত্য জীবনে মারধোর ও ধর্ষণ
বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, মেয়েদের পড়াশুনা করতে না দিলে তারা দারিদ্র্যের শৃঙ্খলেই আবদ্ধ থাকে, পরনির্ভর হয়ে থাকে, এমনকি তাদের স্বাস্থ্যেরও হানি ঘটতে পারে৷ বালিকা বধূদের জন্য আরো রয়েছে পতির হাতে মারধোর, এমনকি ধর্ষণ৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/M. Asad
গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা
সমস্যাটা যে শুধু বাংলাদেশের, এমন নয়৷ জোর করে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রথা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে পাওয়া যাবে – খানিকটা সেখানকার বিভিন্ন দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির কারণে৷ জাতিসংঘের উদ্বাস্তু ত্রাণ সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী দশ বছরে ১৪ কোটির বেশি মেয়ের ১৮ বছর হবার আগেই বিয়ে হয়ে যাবে৷ তাদের অর্ধেকই হবে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়ে৷
ছবি: DW/P.M.Tewari
সংস্কার বনাম সরকার
ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা শ্রীলঙ্কায় বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ, কিন্তু তা সত্ত্বেও সামাজিক প্রথাটি ভালোভাবেই বেঁচে রয়েছে৷ জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের পরিসংখ্যানে দেখা যায়: ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি মহিলা, যাদের বয়স ২০ থেকে ২৪-এর মধ্যে, তাদের সকলেরই কিন্তু বিয়ে হয়েছিল ১৮বছর বয়স হবার আগে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Hatvalne
মনোভাব বদলাতে হবে
ইউনিসেফ-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক উপ-পরিচালক স্টিফেন অ্যাডকিনসন ডয়চে ভেলেকে বলেন যে, বাল্য বিবাহ, আঁতুড়ে মায়ের মৃত্যু, মেয়ে হলে গর্ভপাত ইত্যাদি বিষয়ে মানুষজনের মনোভাব বদলানোর জন্য সর্বাগ্রে সংলাপ চালু করতে হবে, পৌঁছাতে হবে এই ‘মাইন্ডসেট’ বা কুসংস্কারের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক তথা রাজনৈতিক মূলে৷