নাগরদোলায় চাপলে মাথা ঘোরে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায় বেশিক্ষণ ধরে গাড়ি চড়লে মাথা কেমন খালি খালি লাগে৷ মানুষের দৃষ্টি ও অনুভূতির মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে জার্মান বিজ্ঞানীরা কিছু অভিনব পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
পথেঘাটে নানা রকমের উদ্দীপনা পাওয়া যায়৷ অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা তখন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি৷ মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল সাইবারনেটিক্স-এর প্রধান প্রো. হাইনরিশ ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘গাড়ি চালানো, বিমানে ওড়া, সাইকেল চালানোর সময় আমরা ঠিক কীভাবে অনুভব করি, সেটা জানাই আমার লক্ষ্য৷ তখন মনে হয় আমরা চারিপাশের জগতের মধ্য দিয়ে চলেছি৷ একাধিক ইন্দ্রিয় আমাদের মনে গতির অনুভূতি সৃষ্টি করে৷ আমি জানতে চাই, এগুলি কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে৷''
মোশন সিমুলেটর-এ বিজ্ঞানীরা চেনা জগতকে উলটে দেন৷ দৃষ্টি ও ভারসাম্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মস্তিষ্কে উদ্দীপনার প্রক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করাই এর উদ্দেশ্য৷ ভিতরে বসা মানুষটি সোজা রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু ককপিট নাগরদোলার মতো নড়াচড়া করছে৷ প্রো. হাইনরিশ ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘সিমুলেটর দিয়ে বিভিন্ন ইন্দ্রিয় নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ সবকিছু স্বাভাবিক, সমান তালে চলতে পারে৷ অথবা দৃষ্টি এবং অনুভূতির তথ্য আলাদা করে দেওয়া যায়৷ প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারি, মস্তিষ্ক কীভাবে বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয় করে গতি সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো তথ্য পেতে পারে৷''
সাইকেলে ইউরোপ ঘুরতে চাইলে যা জানা প্রয়োজন
সাইকেলে ঘোরাঘুরি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং জনপ্রিয়৷ আর সাইকেলে চড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলাচলও সহজ৷ এখানে দেয়া হলো সাইকেলের দশটি ‘রুট’ সম্পর্কে তথ্য৷
ছবি: picture alliance/Arco Images/K. Kreder
দশম: ড্রাভা সাইক্লিং রুট
ইটালির সাউথ টিরোল থেকে স্লোভেনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই রুটে দৈর্ঘ ৩৬৬ কিলোমিটার৷ মূলত ড্রাভা নদীর তীর ঘেষে তৈরি হয়েছে রুটটি৷ ভবিষ্যতে অবশ্য এটা ক্রোয়েশিয়া পর্যন্তও যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv/K. Kreder
নবম: এলবে সাইকেল রুট
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ থেকে শুরু হওয়া এই পথ শেষ হয়েছে জার্মানির নর্থ সি বা উত্তর সাগরে গিয়ে৷ দূরত্ব ১,২২০ কিলোমিটার৷ এলবে নদীর তীর ধরে এই রুট তৈরি হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/ZB/P. Zimmermann
অষ্টম: ভিয়া ক্লাউডিয়া আউগুস্টা
জার্মানির ডোনাউভ্যোর্ট থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার লম্বা এই রুটটি শেষ হয়েছে ইটালির ভেনিসে৷ প্রাচীন রোমের ‘বাণিজ্য সড়ক’ হিসেবে পরিচিত এই পথে রয়েছে আল্পস পর্বতমালার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ৷ আর রয়েছে দক্ষিণ টিরোলে অবস্থিত রেশেন হ্রদ৷ ছবিতে সেই লেকে ডুবে থাকা একটি গ্রামের বেল টাওয়ার দেখা যাচ্ছে৷
সুইজারল্যান্ডের মালোয়া থেকে জার্মানির পাসাও পর্যন্ত বিস্তৃত এই রুট৷ তবে এ পথে সাইকেল চালাতে একটু কষ্ট আছে৷ বলা বাহুল্য, আল্পসের পাথুরে পথ পাড়ি দিতে প্রয়োজন হয় বাড়তি শক্তি৷
ছবি: picture alliance/A. Weigel
ষষ্ঠ: অতলান্ত থেকে কৃষ্ণ সাগর
সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার লম্বা এই পথ সাধারণ মানুষের পক্ষে সাইকেলে পাড়ি দেয়া প্রায় অসাধ্য৷ তবে ইউরোপে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চাইলে এই রুট ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এ পথে যেতেই পড়বে নান্টেস, অরলিন্স, বাসেল, বুদাপেস্ট, বেলগ্রেড এবং বুখারেস্ট৷
ছবি: picture-alliance/ZB/W. Thieme
পঞ্চম: এচ সাইক্লিং রুট
রেশেন থেকে ভেরোনা পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই পথ চলেছে এচ নদীর তীর ঘেষে৷ মসৃণ পথে সাইকেল চালাতে চাইলে এই রুট একেবারে আদর্শ৷
ছবি: picture-alliance/U. Bernhart
চতুর্থ: নর্থ সি কোস্ট সাইকেল রুট
শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ থেকে নরওয়ের ব্যার্গেন পর্যন্ত বিস্তৃত এই পথের দৈর্ঘ ৬,০০০ কিলোমিটার৷ পথের জার্মান অংশ মূলত বন্যা প্রতিরোধক বাঁধের উপর দিয়ে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Klein
তৃতীয়: লেক কনস্টানৎস সাইকেল রুট
লেক কনস্টানৎস সাইকেল রুট ইউরোপের সেরা তিনটি সাইকেল রুটের একটি৷ সাইকেল চালানোর জন্য জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত এই লেকটিকে ঘিরে রয়েছে ২৬০ কিলোমিটার লম্বা একটি নৈসর্গিক পথ৷
ছবি: picture alliance/P. Seeger
দ্বিতীয়: রাইন সাইকেল রুট
রাইন নদীর শুরু যেখানে, সেই সুইজারল্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ১,২৩০ কিলোমিটার লম্বা এই পথ গিয়ে শেষ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের রটারডামে৷ ছবিটি অবশ্য কোলন শহরে অবস্থিত ‘রাইনাউহাফেন’-এর৷
ছবি: picture alliance/H. Ossinger
প্রথম: দানিউব বাইক পাথ
জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লম্বা সাইকেলের পথ এটি৷ প্রায় আটটি দেশের মধ্য দিয়ে বইছে দানিউব নদী, যার পাশ ধরে গেছে এই পথ৷ ২,৮৫০ কিলোমিটার লম্বা সাইকেলের এই রুটে তাই দেখা মিলবে বিভিন্ন সংস্কৃতির, ঐতিহ্যের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jaeger
10 ছবি1 | 10
প্রতিটি নতুন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়, আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে জগতের ব্যাখ্যা করছে৷ কখনো ভারসাম্য সম্পর্কে আমাদের বোধশক্তি ভুল তথ্য দেয়৷ যেমন কোনো পাইলট যখন বিমান নিয়ে মেঘের মধ্য দিয়ে উড়ে যান৷ এবড়োখেবড়ো রাস্তায় গাড়িতে যাত্রা করলেও বোধশক্তি এলোমেলো হয়ে পড়ে৷ প্রো. ব্যুল্টহোফ বলেন, ‘‘অনুভূতির ইন্দ্রিয়র কিছু দুর্বলতা রয়েছে, এটি একেবারে নিখুঁত নয়৷ তাই কিছু ক্ষেত্রে ভ্রম দেখা দেয়৷ যেমন পাইলট বিমান নিয়ে মেঘের মধ্যে প্রবেশ করলে কিছু বিশেষ ইলিউশন ঘটে৷ তাই আমাদের ভেস্টিবুলার সিস্টেম-এর উপর বেশিক্ষণ ভরসা করা ঠিক নয়৷''
এই চার-দেয়ালের পেছনে এক কৃত্রিম জগৎ রয়েছে৷ বেটি মোলার জানতে চান, উপলব্ধি ও অনুভূতির মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে৷ সাইবার-হেলমেট ও ডেটা-গ্লাভস পরে তিনি নতুন জগতে প্রবেশ করেন৷ ড. মোলার বলেন, ‘‘আমি যা খুশি দেখতে পারি৷ শুধু আঙুল নাড়িয়ে পাহাড়, মহাকাশ, সমুদ্রসৈকত বা রানওয়েতে চলে যেতে পারি৷''
মাথা ঘোরাকে তাচ্ছিল্য করবেন না
মাথা ঘোরার সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়৷ কিন্তু কেন এ সমস্যাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং এ সমস্যা হলে কী কী হতে পারে? কী করেই বা এর প্রতিকার সম্ভব? এ সবেরই উত্তর দিয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ, জেনে নিন৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
মাথা ঘুরছে?
হঠাৎ করে মাথা ঘুরে গেলে কী করবেন? মাথা ঘুরছে মনে হলেই কোথাও বসে পড়তে হবে অথবা হাত দিয়ে কিছু একটা ধরতে হবে৷ তা না হলে পড়ে গিয়ে সমস্যা আরো জটিল হতে পারে৷ এমনটা হলে বসে জোরে জোরে নিঃস্বাস নিন৷ আর মাথা ঘোরা অব্যাহত থাকলে ডাক্তারের কাছে যান৷ এ কথা বলেন নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মিশায়েল বোনডর্ফ৷
ছবি: Andrzej Wilusz/Fotolia
হৃদপিণ্ডের বেশি উঠা-নামা
মাথা ঘোরাটাকে মস্তিষ্কের বিপদসংকেত হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে নানাভাবে প্রকাশ ঘটায়৷ কারো ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ডের বেশি উঠা-নাম, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, আবার কারো কারো হয়ত চোখের সমস্যা, অর্থাৎ অস্পষ্ট দেখা, মাথাব্যথা, বমি বা বমিভাবও হয়ে থাকে৷
ছবি: Fotolia/Dmytro Tolokonov
এর কারণ কী কী?
অনেক সময় উঁচুতে উঠলেও অনেকের মাথা ঘোরে কিংবা খুব তাড়াতাড়ি হাঁটলে বা দৌড়ালে এ সমস্যা হয়৷ এ রকম বিশেষ পরিস্থিতিতে এমনটা হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে স্বাভাবিক বলে ভাবা হয়ে থাকে৷ তবে এর পেছনে কিন্তু কানের ভারসাম্যে সমস্যা, মস্তিষ্ক বা কার্ডিওভাসকুলারের অসুবিধার মতো কারণও থাকতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Seidel
আর কোনো কারণ?
‘মাইগ্রেন’ অথবা মস্তিষ্কে সঠিকভাবে রক্তচলাচলের সমস্যা থেকেও এমনটা হতে পারে৷ ‘‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথা ঘোরার সাথে মানসিক ভারসাম্য জড়িত’’ – একথা বলেন বিশেষজ্ঞরা৷ মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ব্যাপারগুলোর সাথে আবহওয়ার একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে৷ বিশেষ করে হঠাৎ করে তাপমাত্রার উঠা-নামায়ও এ সমস্যা হতে পারে৷
ছবি: Fotolia/fabioberti.it
কাদের বেশি হয়?
বিশেষজ্ঞ মিশায়েল বোনডর্ফ জানান, ‘‘বয়স বাড়ার সাথে মাথার সমস্যা বাড়তেও পারে, বিশেষ করে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সি নারীদের ক্ষেত্রে৷ ক্ষেত্র বিশেষে মাথা ঘোরার ধরণও ভিন্ন হয়ে থাকে৷ কখনো হঠাৎ করে ঘূর্ণিপাক আবার কখনো একনাগাড়ে ক’দিনও থাকতে পারে মাথা ঘোরার সমস্যা৷
ছবি: Gina Sanders - Fotolia
কী করণীয়? কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন ?
প্রথমে বাড়ির ডাক্তার বা ‘হাউসফিজিশিয়ান’-এর সাথে কথা বলতে হবে৷ তখন তিনিই হয়ত নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাবেন৷ অথবা অবস্থা বুঝে পাঠাতে পারেন নিউরোলজিস্ট বা অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে৷ তবে উচ্চ রক্তচাপ, নাড়ি পরীক্ষার পাশাপাশি চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে হতে পারে৷
ছবি: picture alliance / dpa
জরুরি পরিস্থিতি
মাথা ঘোরা বা ব্যথা হতেই পারে, তবে একেবারে হঠাৎ করে যদি মাথা ঘোরে, কথা অস্পষ্ট বা পক্ষাঘাত হয়, তাহলে স্ট্রোকের মতো কঠিন রোগ এড়াতে অবশ্যই সাথে সাথে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
7 ছবি1 | 7
ইন্দ্রিয়ের এমন ভ্রমের মাধ্যমে বিমানের ভিড়েও কি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা সম্ভব? এই সব সাইবার-ফ্লাইটে আসনগুলির মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো-কমানো যেতে পারে৷ স্বাচ্ছন্দ বোধের অনুভূতি বাড়িয়ে সেটিকে প্রায় বাস্তব অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করা সম্ভব৷ যেমন সাইবার-ফ্লাইটের যাত্রীরা শুধু আঙুল নাড়িয়ে বিমানের ভেতরের বিন্যাস বদলে দিতে পারেন
এর ফলে শরীরেও নতুন অনুভূতি আসে৷ যাত্রীরা বিনা বাধায় সাইবার বিমানের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারেন৷ ড. বেটি মোলার বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম যে বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষের শরীর সত্যি বদলে দেওয়া যায়৷ তাদের হাত কত বড়, তাদের অবস্থান, তাদের চোখের উচ্চতা – সব বদলে দেওয়া যায়৷ স্পেস সম্পর্কে তাদের ধারণা সেই অনুযায়ী বদলে যেতে পারে৷''
বিচ্ছিন্ন ইন্দ্রিয় হোক, বা ভারচুয়াল রিয়ালিটি – সাইবারনিয়াম-এ যে কাজ হচ্ছে, তা সত্যি অসাধারণ৷
বিমান যাত্রায় যে ১০টি কাজ করবেন না
বিমানে চড়া আজকাল আর খুব বড় কোনো ব্যাপার নয়৷ কাজের প্রয়োজনে, বেড়াতে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেকেই যাচ্ছেন অন্য দেশে, বিমানে৷ আর এই যাত্রায় যে দশটি জিনিস করা উচিত নয়, তা থাকছে এখানে৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
বিমানে উঠতে তাড়াহুড়া নয়
একটি বিমানে একসঙ্গে কয়েকশত যাত্রী আরোহণ করেন৷ যাত্রীদের ঠিকভাবে তুলতে তাই বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন গ্রুপ নম্বরে যাত্রীদের ভাগ করে ফেলেন৷ এরপর সেই নম্বর অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানে উঠতে বলা হয়৷ সমস্যা হয়, যখন নম্বরের তোয়াক্কা না করেই অনেকে বিমানে উঠতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন৷ এটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার৷ অনেক সময় শুধুমাত্র এ জন্য বিমান ছাড়তে দেরি হয়৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
বিমানে ওঠার আগে শেষ টান
বিমানের মধ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ৷ অনেকে তাই বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে সিগারেটে দু’টো টান দিয়ে নেন৷ সমস্যা হচ্ছে, বিমানের ভেতরটা আবদ্ধ৷ তাই সেখানে আপনার সিগারেটের গন্ধ অন্য আরোহীকে বিরক্ত করতে পারে৷ তাই সম্ভব হলে বিমান ওঠার আগ মুহূর্তে ধূমপান পরিহার করুন৷ আর বিমানে ধুমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি নয়
বিমানের সিটগুলো হয় হালকা ধরনের৷ মূলত তেল খরচ বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা৷ তাই এসব সিটে পেছন দিক দিয়ে ধাক্কা দিলে, তা সিটে বসা আরোহীকে আঘাত করতে পারে৷ সুতরাং কোনো অবস্থাতেই সামনের সিটে ধাক্কা বা লাথি দেবেন না৷
ছবি: dapd
হাতল দখলের লড়াই
বিমানের সিটগুলোতে খুব বেশি জায়গা থাকে না৷ একটি সিটের সঙ্গে আরেকটি সিট লাগানো থাকে এবং হাতল থাকে একটা৷ কেউ কেউ তাই কনুই দিয়ে অপর যাত্রীকে গুতা দিয়ে কিংবা হাত শক্ত করে হাতলে রেখে সেটা দখলে রাখার চেষ্টা করে৷ এমনটা করা মোটেই উচিত নয়৷
ছবি: dapd
নগ্ন পায়ে ঘোরা নয়
অনেকেই বিমানে উঠে জুতা, এমনকি মোজাও খুলে ফেলেন৷ এটা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর৷ আর খালি পায়ে বিমানের টয়লেট ব্যবহার করলে রোগজীবাণু আক্রান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ সুতরাং বিমানে জুতা পরেই থাকুন৷
ছবি: Fotolia/Zeit4men
শব্দ বন্ধ না করেই গেম খেলা
আজকাল স্মার্টফোন, ট্যাবলেটে সহজেই ভিডিও গেম খেলা যায়৷ এতে অবশ্য খারাপ কিছু নেই৷ কিন্তু বিমানে বসে শব্দ বন্ধ না করে গেম খেললে তা অন্য আরোহীদের বিরক্ত করতে পারে৷ তাই শব্দ বন্ধ করে গেম খেলা ভদ্র ব্যাপার৷
ছবি: imago/Westend61
পেছনের লোকের আগে নামার লড়াই
বিমান ল্যান্ড করার পর তার দরজা খোলার আগেই অনেকে নামার জন্য তাড়াহুড়া শুরু করে৷ পারলে সামনের যাত্রীকে ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা৷ এটা খুবই অশোভন আচরণ৷ বিমান যখন অবতরণ করেছে, তখন সব যাত্রীকেই নামাবে৷ তাই নিশ্চিন্তে বসে অপেক্ষা করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘হ্যালো, রানওয়েতে আছি’
বিমান অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে ফোন করতে শুরু করেন৷ এমনকি নেটওয়ার্ক না পাওয়া গেলে চলে নিরন্তন চিৎকার: হ্যালো, এইমাত্র ল্যান্ড করলাম, শুনতে পাচ্ছো? আসলে এভাবে তাড়াহুড়া করা ভালো নয়৷ বিমানবন্দরে অপেক্ষারতরা বিভিন্ন ডিসপ্লে ঘোষণার মাধ্যমে এমনিতেই বিমান অবতরণের খবর জানতে পারেন৷ তাই প্রিয়জনকে সেটা জানাতে তাড়াহুড়া না করলেও সমস্যা নেই৷
ছবি: picture alliance / Arco Images GmbH
ভ্রমণ করছেন, কিন্তু নড়ছেন না
বড় বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ ধরনের ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’ থাকে৷ এটা অনবরত সামনের দিকে যেতে থাকে৷ ফলে কেউ ‘মুভিং ওয়াকওয়েতে’ দাঁড়ালে এমনিতেই সামনের দিকে যেতে পারবেন৷ তাই অনেকে এতে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এটা আসলে ঠিক নয়৷ বরং মুভিং ওয়াকওয়েতে আপনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে অন্য যাত্রীদের সুবিধা হবে৷
ছবি: Reuters
লাগেজ নেয়ার তাড়া
বিশ্বের সব বিমানবন্দরেই লাগেজ নেয়ার জন্য বিশেষ জায়গা আছে৷ সেখানে বেল্টের উপরে লাগেজগুলো একের পর এক দেয়া হয়৷ সেই বেল্ট অনবরত ঘুরতে থাকে৷ অনেক সময় বিমান থেকে নেমেই মানুষ সেই বেল্ট ঘিরে বড় জটলা তৈরি করে ফেলেন৷ এটা অনর্থক৷ বরং একটু দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলে আপনার লাগেজ দেখা সহজ হবে৷ এরপর সময়মত সেটি বেল্ট থেকে সরিয়ে নিলেই হলো৷