বেঁচে গেল গ্রিস
৮ নভেম্বর ২০১২দিনের পর দিন প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ধর্মঘটের মাঝেও গ্রিসের সংসদ বুধবার গভীর রাতে আরও এক ঝাঁক অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো৷ সরকারের সামনে এছাড়া অন্য কোনো পথও খোলা ছিল না৷ ব্যাপক সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের এই পদক্ষেপ না নিলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তার পরবর্তী কিস্তি বন্ধ হয়ে যেত৷ ১৬ই নভেম্বরের মধ্যে এই অর্থ না পেলে দেউলিয়া গ্রিসকে ইউরো এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হতো৷ ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১,৮৫০ কোটি ইউরো ব্যয় সংকোচ কর্মসূচি কার্যকর করার বদলে গ্রিস আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকে ৩,১৫০ কোটি ইউরো সহায়তার প্যাকেজ পাওয়া যাবে৷ তবে রবিবার বাজেট অনুমোদনের পরই গ্রিসের দায়িত্ব পূরণ হবে৷
অসহায় অবস্থায় গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও সামারাস মেনে নিয়েছেন, যে এই সব পদক্ষেপ জনগণের জন্য মোটেই ন্যায্য নয়, অতএব মধুর কথার জালে তা লুকানোর চেষ্টা করেও লাভ নেই৷ তবে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রিস আবার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল৷ উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বাভাষ অনুযায়ী ২০১৪ সালে গ্রিস আবার প্রবৃদ্ধির মুখ দেখবে, যদিও তার হার হবে ০.৬ শতাংশ৷
গ্রিসের মানুষকে এবার আরও আত্মত্যাগ স্বীকার করে নিতে হবে৷ বেতন ও পেনশন আরও কমে যাবে, করের বোঝা বাড়বে৷ বড়দিনের সময় যে বাড়তি ভাতা পাওয়া যেতো, তাও বন্ধ হয়ে যাবে৷ ওষুধের দাম বেড়ে যাবে৷
গ্রিসের পাশাপাশি ফ্রান্সও কিছু সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে৷ এর ফলে জার্মানি ইউরো এলাকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও আশাবাদী৷ সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির রপ্তানির পরিমাণ এক ধাক্কায় কিছুটা কমে গেছে৷ এদিকে বৃহস্পতিবার ইউরো'র বিনিময় মূল্য আচমকা অনেক কমে গেছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সুদের হার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
এসবি/ডিজি (এপি, এফপি, রয়টার্স)