জার্মানিতে অনলাইন শপিং আজ সেদিকেই চলেছে৷ ইন্টারনেট আর মোবাইল ফোন মিলে ‘শপিং' কথাটার মানেই বদলে দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
অনলাইন শপিং, ই-কমার্স, মোবাইল কমার্স – নানা রকমের নাম দিয়ে একই বস্তু বোঝানো হচ্ছে: ইন্টারনেটে ছবি দেখে পণ্যের অর্ডার দিন; ভ্যান আর পিয়ন এসে কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়িতে এসে ঈপ্সিত বস্তুটি পৌঁছে দিয়ে যাবে – আপনাকে না পেলে, পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীর কাছে রেখে যাবে৷ আপনি জিনিসটা পরে দেখলেন, ফিট করল কিংবা করল না, পছন্দ হল কিংবা হলো না – সোজা আবার প্যাকেটে পুরে পোস্টাপিস কিংবা হ্যার্মেসের দোকানে নিয়ে গিয়ে ফেরৎ পাঠিয়ে দিলেন৷
এভাবেই জার্মানিতে প্রতি তিনটি অনলাইন অর্ডারের মধ্যে একটি ফেরৎ যায় – দিনে সাকুল্যে প্রায় দশ লাখ প্যাকেট৷ এর নানা কুফলের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয়, শনিবার কিংবা ছুটির দিনে বা অন্য কোনো উপলক্ষ্যে বাড়িতে থাকলে দিনের মধ্যে অন্তত পাঁচ-সাত বার ফ্ল্যাটবাড়ি তটস্থ করে আসে উর্দিপরা ড্রাইভার, কোনো না কোনো অনলাইন অর্ডারের ডেলিভারি দিতে৷ তার ভ্যান বাইরের ছোট রাস্তা ব্লক করে পার্ক করে, সে এসে যে কোনো বেল বাজায় – মানে যিনি অর্ডার দিয়েছেন, তাঁকে না পেলে৷ কেউ দরজা না খুললে ফয়ার কিংবা সিঁড়ির নীচে রেখেও চলে যায়৷
বাংলাদেশ ও বিশ্বের কয়েকটি জনপ্রিয় শপিং সাইট
সাধারণ দোকানে কেনাকাটার উপর অনেকটাই ভাগ বসিয়েছে অনলাইন শপিং সাইটগুলো৷ অনলাইনের সঙ্গে সাধারণ দোকানের যুদ্ধ কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা সময়ই বলে দেবে৷ বিশ্বের ও বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং সাইটের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
অ্যামাজন ডট কম
www.amazon.com এমন একটি ওয়েবসাইট প্রত্যেকটি দেশের জন্যই যাদের আলাদা ব্যবস্থাপনা আছে৷ ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া – ভোক্তাদের জন্য সবকিছু আছে অ্যামাজনে৷ এমনকি ভারতের মতো বিশাল দেশসহ অন্য দেশের স্থানীয় অনলাইন শপিং পোর্টালগুলোর সঙ্গে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে অ্যামাজন৷ এখন পর্যন্ত অ্যামাজন কেনাকাটার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে৷
ছবি: amazon.com
ইবে ডট কম
www.ebay.com-এর ভাবনাটা অসাধারণ৷ এই ওয়েবসাইটের সাহায্যে যেকোন মানুষ তার জিনিস ইচ্ছেমত বেচতে পারে এবং একই সময় নতুন বিক্রেতারা নতুন নতুন জিনিসও বিক্রি করতে পারে৷ তাই দেখা যায় এই সাইটে অদ্ভুতসব জিনিস নিয়ে এলে সেগুলোও অনলাইনে বিক্রি হয়ে যায়৷ ইবে-তে গেলেই দেখতে পাবেন আপনার যা চাই সবই আছে সেখানে৷ বিশ্বের কোথাও যে জিনিসটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, ইবে-তে সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷
ছবি: DW
ওয়ালমার্ট ডট কম
না বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই! ওয়ালমার্টেরও অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট আছে www.walmart.com৷ অনলাইনে বিশাল পণ্যের সমাহার আছে তাদের৷ এমনকি দোকানে যেসব জিনিস পাওয়া যায় না, অনলাইনে সেসব জিনিস পাবেন আপনি৷ সবচেয়ে সুবিধা হলো দোকানে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই৷ ঘরে বসে একটা ক্লিক করলেই দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে ওয়ালমার্টের পণ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Reynolds
আলীবাবা ডট কম
www.alibaba.com বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন শপিং পোর্টাল৷ এই পোর্টাল থেকে আপনি অনেকরকম পণ্য কিনতে পারবেন৷ কৃষি থেকে শুরু করে রাসায়নিক সবধরনের দ্রব্য পাওয়া যায় এখানে, যাই কিনুন ঠিক আপনার বাসায় পৌঁছে দেবে৷ কোন পণ্য অর্ডার করার পর তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া এবং দাম নেয়ার পদ্ধতি বেশ সন্তোষজনক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y.Ming
ফ্লিপকার্ট ডট কম
www.flipkart.com এটি একটি ভারতীয় অনলাইন শপিং এর ওয়েবসাইট, যেটি বিশ্বব্যাপী বাজার বিস্তার করেছে৷ এশিয়ার মানুষের কাছে এই সাইটটি ব্যাপক জনপ্রিয়৷ অ্যামাজনের পর কেনাকাটার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্লিপকার্ট৷ এই সাইটটি শুরু হয়েছিল অনলাইনে বই বিক্রির মধ্য দিয়ে, এখন বিশাল মহীরূহে পরিণত হয়েছে এটি৷
ছবি: flipkart.com
রকমারি ডট কম, বাংলাদেশ
অনলাইন এ বই কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে www.rokomari.com-এ একবার আপনাকে প্রবেশ করতেই হবে৷ ২০১২ সালের ১৯শে জানুয়ারি এই সাইটটির যাত্রা শুরু হয়৷ এর মাধ্যমে অল্প খরচে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয় বই৷
বিক্রয় ডট কম, বাংলাদেশ
বাংলাদেশে কেনা-বেচার ক্ষেত্রে এই সাইটটি খুব জনপ্রিয়৷ বাড়ি, গাড়ি থেকে মোবাইল ফোন যা বিক্রি করতে বা কিনতে চান অতি সহজেই এই সাইটটির সাহায্যে তা করতে পারবেন৷ এমনকি চাকরির খোঁজও পাবেন এখানে৷ শুধু তাই নয় কোরবানির পশু ক্রয় উপলক্ষ্যে www.bikroy.com-এ একবার ঢুঁ মারতে পারেন৷ গত বছরও ক্রেতাদের ঘরে বসেই কোরবানির পশু পছন্দ করার সবচেয়ে বড় আয়োজন রেখেছিল বিক্রয়ডটকম৷
দারাজ ডট কম ডট বিডি
www.daraz.com.bd এটি জার্মানভিত্তিক কোম্পানির একটি শপিং সাইট৷ এখানে পোশাক থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্সসহ প্রায় ব্যবহারিক সব পণ্য পাওয়া যায়৷
আজকের ডিল ডট কম
www.ajkerdeal.com বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা অনলাইন শপিং পোর্টাল৷ বাংলাদেশভিত্তিক প্রথম বাংলা ই-কমার্স এবং বাংলাদেশি মালিকানায় বাংলাদেশি প্রথম ই-কমার্স সাইট৷ আজকের ডিল ডট কম বিডি জবস-এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান৷ এই সাইট থেকে আপনি প্রায় সবধরনের কেনাকাটা করতে পারবেন৷
প্রিয়শপ ডট কম
www.priyoshop.com ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়৷ অথ্যাধুনিক ট্রেন্ডের পোশাক থেকে শুরু করে গহনা, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি – সবকিছুই পাওয়া যায় এই সাইটে৷
সহজ ডট কম
www.shohoz.com বাংলাদেশের এই অনলাইন শপিং সাইটটি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছে ঈদের সময় বাসের টিকেট বিক্রির জন্য৷ ঈদে বাস ও ট্রেনের টিকেট কেনার ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই এখন সহজ ডট কম-এর আশ্রয় নেন৷ এছাড়া বিভিন্ন কনসার্টসহ নানা ইভেন্টের টিকেট কেনার অন্যতম মাধ্যম এখন সহজ ডট কম৷
11 ছবি1 | 11
জার্মানিতে মাছি-মশা না থাকলেও, এই ডেলিভারি ভ্যানগুলো আর তাদের ড্রাইভাররা আছে – সেই সঙ্গে সারা দেশটা ভাসছে এই প্যাকেটের স্রোতে৷ প্যাকেট ফেরৎ পাঠানোয় ইউরোপে জার্মানরাই চ্যাম্পিয়ন৷ ফরাসিরা জার্মানদের অর্ধেকের কম প্যাকেট ফেরৎ পাঠান – তার একটা কারণ অবশ্য এই যে, ফ্রান্সের ৯০ ভাগ অনলাইন শপিং সংস্থা পণ্য পাঠানোর আগে পেমেন্ট পেতে চায়৷ অপরদিকে জার্মানিতে গ্রাহকদের দুই-তৃতীয়াংশ পণ্য হাতের পাবার পর বিল অনুযায়ী পেমেন্ট করেন৷ ২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতেও পণ্য ফেরৎ পাঠানোর জন্য চার্জ করা যায়, কিন্তু কোনো অনলাইন সংস্থাই তা করতে সাহস পাবে না৷
দিন বদলাচ্ছে
জার্মানিতে রিটেল ট্রেড বা খুচরো বিক্রি একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছে, আবার সেই ধাক্কা আংশিক সামলেও উঠছে – কিংবা উঠছে না৷ ১৯৫০ সাল থেকেই অটোর মতো মেইল অর্ডার কোম্পানিগুলি জন্ম নিতে শুরু করেছে আর জার্মানিতে ধুম উঠেছে যে, পাড়া ছোট দোকানগুলো তো বটেই, বাজারের বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা সুপারমার্কেটগুলিরও এবার রুটিতে টান পড়বে৷
তারপর আসে শহরের বাইরে ফাঁকা মাঠে সুবিশাল শপিং মল তৈরির প্রবণতা – যেখানে মল-এর সামনে হাজার খানেক গাড়ির পার্কিং-এর জায়গা আছে৷ শহরের ‘মেইন স্ট্রিট' বা বাজারের বড় রাস্তার উপর তার প্রভাব পড়েছে বৈকি৷ কিন্তু অনলাইন শপিং প্রায় অন্য সব ধরনের বিপণীর বিপদ ডেকে এনেছে নানাভাবে: মানুষজন দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র পরখ ও পছন্দ করেন, এমনকি ট্রায়াল রুমে গিয়ে পরে দেখে ও সাইজ ঠিক করে নেন – তারপর বাড়িতে ফিরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ – হালে মোবাইল থেকেই – ঠিক সেই জিনিসটাই অনলাইনে অর্ডার করেন৷ তাহলে রিটেইল স্টোর ও বিভিন্ন শিল্পের স্পেশাল আউটলেটগুলির কর্তব্য কী?
উত্তর হল ‘মাল্টি-চ্যানেল' বিক্রি: বাভেরিয়ায় যেমন বিপণীগুলির ৮০ ভাগ অনলাইনেও তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকে৷ ‘অটো'-র মতো ১,১০০ কোটি ইউরো বিক্রির আন্তর্জাতিক মেইল অর্ডার কোম্পানিও আজ অনলাইনে সমানভাবে উপস্থিত৷ সেই সঙ্গে রিটেইল ট্রেডকে নবসাজে সাজতে হচ্ছে, তার জন্য যদি ‘ইনফো-ডিসপ্লে' লাগাতে হয়, তো তাই সই৷
তবে বন শহরের একটি ইলেকট্রনিক গুডস-এর দোকান নাকি ‘দেখবেন দোকানে, কিনবেন অনলাইনের' ধাক্কায় প্রায় দেউলে হতে বসেছিল – বিশেষ করে যখন এ ধরনের দোকানে খরিদ্দারদের নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী রাখতে হয়৷ শোনা গেল, শুধু বনেই নয়, জার্মানির অন্যত্রও ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানগুলি বৈদ্যুতিক পণ্যের নির্মাতাদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করতে শুরু করেছে – একাধারে শেল্ফ স্পেস ও হবু ক্রেতাদের পরামর্শদানের জন্য৷ অর্থাৎ শেষমেষ ক্রেতাকে দোকানে পরখ করা ও পরামর্শ নেওয়ার মূল্য অনলাইনে পণ্য কেনার সময়েই চোকাতে হচ্ছে৷
শপিং করাকে সহজ ও আনন্দময় করতে কিছু টিপস
কোনো উপলক্ষ্য মানেই শপিং, যদিও অনেকেই তা করতে ভালোবাসেন৷ তবুও মাঝে মাঝে উপহার কেনা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়৷ এই ছবিঘরে পাবেন কিছু টিপস, যা শপিং করাকে আনন্দময় করে তুলবে৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
লিস্ট তৈরির পর কেনা শুরু
কোনো উপলক্ষ্যে প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে৷ সত্যি কথা বলতে কি, তাড়া থাকলে প্রয়োজনের সময় সঠিক উপহারটি খুঁজে পাওয়া যায় না, অথবা অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়৷ তাই অবসর সময়ে কার জন্য কী কেনা হবে, প্রথমেই তার একটি লিস্ট তৈরি করে ফেলুন৷ তা না হলে, দোকানে হাজারো জিনিস দেখে চিন্তা এলোমেলো হয়ে যাতে পারে৷ এছাড়া জানা থাকলে যে দোকান থেকে যা কিনবেন, তার নামও লিস্টে লিখে রাখুন৷
ছবি: imago/CTK/CandyBox
কার জন্য কী কিনবেন?
কার জন্য কী কিনবেন – তার লিস্ট যদি তৈরি থাকে, অর্থাৎ বড়দের, ছোটদের, ছেলেদের, মেয়েদের – এ সব যদি ঠিক করা থাকে, তবে সেভাবেই দোকানে যাওয়া যায়৷ তখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে সেভাবে দৌড়াতে হয় না৷ এতে সময়ও কম লাগে৷ পছন্দের বা সঠিক সাইজের পোশাক বা জিনসটি সে মুহূর্তে দোকানে না থাকলে, অর্ডার দিয়ে দিন৷ পরে সময়মতো নিয়ে আসলেই হলো!
ছবি: Gustavo Caballero/Getty Images for Build-a-Bear
নোট করে নিন
বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে থাকে আকর্ষণীয় উপহারের বিজ্ঞাপন বাড়িতে বসে ভালো করে দেখে ‘নোট’ করে রাখুন৷ আপনার পছন্দের জিনিস নয়, প্রথমে দূরের দোকানে যান এবং সেগুলোতে আগে কিনে ফেলুন৷ অনেক সময় কার জন্য কী কেনা হবে – সে বিষয়ে ঠিক ‘আইডিয়া’ মাথায় আসে না৷ এক্ষেত্রে ঐ বিজ্ঞাপনগুলো বেশ উপকারী৷ তাই শপিং-এ বের হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের কাগজগুলো অবশ্যই সঙ্গে রাখুন৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
অনলাইন
বর্তমানে এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করেন৷ এতে বাইরে বের হওয়া বা রাস্তায় সময় নষ্ট হওয়ার ঝামেলা থাকে না৷ তবে আগেভাগেই পছন্দের জিনিসটি অর্ডার দিয়ে দিন, কারণ পছন্দ না হলে আবার ফেরত পাঠিয়ে নতুন জিনিস বাড়িতে আসতে খানিকটা সময় চলে যায়৷ আর একেবারেই পছন্দ না হলে, অনলাইনে কেনা জিনিসটি যে ফেরত পাঠিয়ে আবারো শপিং করতে যেতে হবে!
উইন্ডো শপিং
অনেকেই উইন্ডো শপিং করতে বেশ পছন্দ করেন৷ দোকানে যখন ভিড় থাকে না, তখন পরিবারের লোকজন বা একাই দোকানের শো-কেসে সাজিয়ে রাখা জিনিসগুলো ধীরে-সুস্থে দেখা যায়৷ সেখানে জিনিস পছন্দ হলে নোটবুকে টুকে নেবেন বা মোবাইলে ছবি তুলে নেবেন৷ জার্মানিতে এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অনেক সময় দোকানে জামা, জুতোর পরে ছবি তোলে৷ নতুন পোশাকে কেমন লাগছে – পরে তা ভালোভাবে ভেবে কিনতে আসে৷
ছবি: Martin Roemers/laif
পরিচিতদের থেকে জেনে নিন
অনেক সময় দেখা যায় অনেকদিন থেকে আপনি একটি সুন্দর শাড়ি বা ড্রেস খুঁজেও পাননি৷ হঠাৎ একদিন আপনারই পরিচিত একজনের গায়ে আপনার পছন্দের পোশাকটি দেখলেন৷ কোনো দ্বিধা না করে তাঁর কাছ থেকেই জেনে নিন দোকানের নাম-ঠিকানা৷ এতে আপনি পছন্দের জিনসটি পাবেন এবং যাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, সেও কিন্তু অখুশি হবেন না!
ছবি: BilderBox
প্যাকিং
বাড়িতে ফিরে জিনিসগুলো দেখে নিন এবং যেগুলো কেনা হয়েছে সেগুলোর নাম লিস্ট থেকে কেটে দিন৷ একটু অবসর পেলে উপহারগুলো সুন্দর কাগজে মুড়ে নাম লিখে রেখে দিন৷ এই কাজটি করার পর নিজেকে অনেক হালকা মনে হবে এবং উপহার দেওয়ার কাজটাও অনেকটা এগিয়ে যাবে৷ আসলে শপিং-এর প্ল্যান যত আগে হবে, কাজটি ততই সহজ হবে৷
ছবি: Fotolia/julien tromeur
খাওয়া-দাওয়া
যে কোনো উপলক্ষ্যেকে সফল করতে চাই মজাদার খাবার আর এ নিয়ম সারা বিশ্বেই এক রকম৷ এর জন্য যে সব খাবার ঘরে বা ফ্রিজে কিনে রাখা যায়, তা আগে থেকেই বাড়িতে এনে রাখুন৷ অবশ্য তাজা জিনিস, যেমন শাক-সবজি, ফলমূল – এ সব কিন্তু কিনবেন একেবারে শেষে৷ তবে খাবারের লিস্টটাও যদি আগে থেকে তৈরি করে রাখা যায়, তাতে আপনারই চিন্তা দূর হবে৷ আর অতিথি আসার পর আপ্যায়ন করতে অনেক সুবিধা হবে৷
ছবি: Fotolia/G. Sanders
8 ছবি1 | 8
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷