1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'সাহায্যের হাত বাড়াবো না'

বারবারা ভেসেল/এসবি২৭ আগস্ট ২০১৫

ইউরোপ এক সাধারণ শরণার্থী নীতির প্রয়োজনীয়তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছে৷ বারবারা ভিসেল মনে করেন, অন্য অনেক সংকটের মতো ব্রিটেন এক্ষেত্রেও তার দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চায়৷

Symbolbild Großbritannien Maßnahmen gegen illegale Einwanderung
ছবি: picture alliance/PA Wire/Laura Lean/

ব্রিটেন নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে

ইংলিশ চ্যানেল মাত্র ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত৷ কিন্তু এই দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষের বর্তমান মনোভাব দেখলে মনে হবে, দেশটি যেন ইউরোপীয় ভূখণ্ড থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে অবস্থিত৷ ব্রিটেনের অনেক মানুষের মনে তথাকথিত ‘কন্টিনেন্ট'-এর সঙ্গে বিশাল দূরত্ব দূর করা কার্যত অসম্ভব৷ তারা তাদের নিজেদের বিশেষত্ব জাহির করতে ফরাসি, জার্মান বা অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে দূরত্বের কথা বার বার জোর দিয়ে বলে চলেছে৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে এক নেতার ক্ষেত্রে ‘গৌরবান্বিত বিচ্ছিন্নতা' বিশেষণটি সৃষ্টি হয়েছিল৷ সে সময়েও ইউরোপীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ব্রিটেনের আন্তরিকতার অভাবের অভিযোগ উঠেছিল৷ তারপর গ্রেট ব্রিটেন তার উপনিবেশ হারিয়েছে৷ এছাড়া ডেভিড ক্যামেরন-এর নীতির ক্ষেত্রে অন্য কোনো পার্থক্য চোখে পড়ে না৷

বারবারা ভেসেল

শরণার্থীরা অনাকাঙ্ক্ষিত

বর্তমান শরণার্থী সংকটের ক্ষেত্রে এই মনোভাব আরও স্পষ্ট হয়ে পড়ছে৷ লন্ডন থেকে কোনো গঠনমূলক অবদান আসছে না৷ ব্রিটিশরা এমন ভাব দেখাচ্ছে, যেন এটা তাদের মাথাব্যথা নয়৷ গত বছরে তারা জার্মানির তুলনায় মাত্র এক সপ্তমাংশ শরণার্থী গ্রহণ করেছে৷ ক্যামেরন-এর ঘোষিত নীতি অনুযায়ী এই সংখ্যা আরও কমাতে হবে৷ সংহতির ভিত্তিতে ইউরোপের দেশগুলি শরণার্থীদের ভাগ করে নেবে – এমন প্রস্তাবে কান পাততেই রাজি নন তিনি৷ ইটালি ও গ্রিস সাহায্যের আবেদন করলেও কোনো সাড়া নেই৷ ইইউ কমিশন সাধারণ পদক্ষেপের প্রস্তাব দিলেও ব্রিটেন সাড়া দিচ্ছে না৷ গোটা মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলে এবং তার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় ‘মাস মাইগ্রেশন' বা বিশাল আকারে মানুষের স্থানান্তর ঘটলেও ব্রিটিশরা তাদের দুর্গের সেতু গুটিয়ে নিচ্ছে৷ এই সব গণ্ডগোল নিয়ে তারা মাথা ঘামাতে চায় না৷

ইউরোপীয় ও পররাষ্ট্র নীতি থেকে বিদায়

গ্রিক সংকটের সময় লন্ডন থেকে অনেক বুলি শোনা যাচ্ছিল৷ তাদের বক্তব্য ছিল, সংকট কাটাতে জার্মানির টাকা দেওয়া উচিত৷ এছাড়া গত কয়েক বছরে গ্রিস, ইউরোপ বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক নীতির ক্ষেত্রে ব্রিটেনের অবদান কার্যত শূন্য থেকেছে৷ ইউক্রেন সংকট এবং পুটিন-এর ক্ষমতার লিপ্সা, বলকান অঞ্চলের পুনর্গঠনের প্রশ্ন, লিবিয়ার মুক্তি, ইরাকের টিকে থাকার প্রশ্ন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ অথবা ইরানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক – ডেভিড ক্যামেরন কোনো ক্ষেত্রেই কোনো নিশ্চয়তা দিতে নারাজ৷ যেখানে তিনি জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন দেখেন না, সেই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতেও প্রস্তুত নন তিনি৷ তাঁর সরকার সবকিছু সংকীর্ণ স্বার্থের গণ্ডির মধ্যে দেখে৷ ব্রিটিশ অর্থনীতির লাভ না হলে কোনো বিষয় নিয়েই মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই৷ মানবাধিকার, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ – এই সব শব্দগুলি বোধহয় ব্রিটিশ নীতি থেকে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে৷

সংস্কার যখন গুটিয়ে ফেলার নামান্তর

প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এবার ইউরোপের জন্য তাঁর প্রস্তাবিত সংস্কার সম্পর্কে প্রচার অভিযানে বেরিয়ে পড়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকা বা না থাকা সংক্রান্ত গণভোটই তাঁর অ্যাজেন্ডার একমাত্র লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে৷ এই লক্ষ্যে তিনি ইইউ-কে পারলে আবার শুধু এক শুল্কহীন রাষ্ট্রজোট হিসেবে সঙ্কুচিত করতে চান – বাকি সব প্রশ্নে যে কোনো দেশ যা খুশি করতে পারে৷ ইউরোপেও এমন জাতীয়তাবাদী শক্তির অভাব নেই, যারা এমন প্রস্তাব শুনলে করতালি দেবে৷ তবে এ ক্ষেত্রেও আমরা ব্রিটেনের দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারি৷ লন্ডন থেকে এমন সব দাবির উত্তর স্পষ্ট ‘না' হওয়া উচিত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পিছু হটানোর এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সম্মতি নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ