বিদেশে উচ্চশিক্ষার পর লাভজনক চাকরি ছেড়ে নিজের দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপ দেবার ক্ষমতা ক'জনের থাকে? ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী ঠিক সেই ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কল্যাণকে সামনে রেখে এক ব্যবসা শুরু করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
সুটকেস, ল্যাপটপ, বিমানের টিকিট – কাজের সূত্রে সাব্রিনা মুস্তোপোকে প্রায়ই ভ্রমণ করতে হয়৷ জন্ম ইন্দোনেশিয়ায়, স্কুলশিক্ষা সিঙ্গাপুরে, উচ্চশিক্ষা অ্যামেরিকার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ তবে ২০১৩ সালে তিনি পাকাপাকিভাবে নিজের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে গেছেন৷ সেখানে তিনি এক কোকো কারখানা চালু করেছেন৷ আজ তিনি জাকার্তা থেকে সুমাত্রা যাচ্ছেন৷ সাব্রিনা বলেন, ‘‘আমি সব সময়েই ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে কিছু একটা গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম৷ সে কারণে আমি কখনো আমার ইন্দোনেশীয় নাগরিকত্ব ছাড়িনি৷ এখানে অনেক কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি৷ বিপুল সম্ভাবনা সত্ত্বেও দেশ অত্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে৷ তাই আমি ফিরে এসেছি৷''
প্রায় ২০০ চাষি তাঁর কোম্পানিতে কোকো বিন বা বীজ সরবরাহ করে৷ সাব্রিনা আজ তাঁদেরই একজনের সঙ্গে দেখা করছেন৷ পরিবর্তন চাইলে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি তৌফিক হিদায়াতকে কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ডের চকলেট চেখে দেখতে দিচ্ছেন৷ তাঁর ক্ষেতে কোকো বিন উৎপাদন কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা করছেন৷ তুচ্ছ বিষয়ও গ্রামাঞ্চলে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে৷ সবে গত বছর তৌফিকের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছে৷ তবে ইন্টারনেট সংযোগ এখনো দূর অস্ত৷ সাব্রিনা বলেন, ‘‘অবকাঠামোর অবস্থা খুবই খারাপ৷ ল্যাপটপ খুলে কিছু জানারও উপায় নেই৷ কোকো বিনসে কালো রং ধরলে তার অর্থ কী, তা জানার জন্য গুগল ঘেঁটে দেখাও সম্ভব নয়৷''
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
চলুন, ঘুরে দেখা যাক
ছবি: picture alliance/Horst Galuschka
সবার জন্য চকলেট
‘চকলেট খায় বাচ্চারা’ – এমনটাই আমরা আগে শুনেছি৷ তবে জার্মানিতে এসে দেখছি চকলেট ছোট, বড় সবার জন্য৷ বাচ্চাদের জন্য অবশ্য আলাদা বিশেষ চকলেট রয়েছে, যেগুলোতে দুধ এবং মিষ্টির পরিমাণ একটু বেশি থাকে৷ আজকাল তো দেখা যায় হৃদরোগীদের ডাক্তাররা কালো বা বিটার চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/ZB
রাইন নদীর বুকে চকলেট মিউজিয়াম
জার্মানির কোলন শহরের এই মিউজিয়ামটি বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম৷ মিউজিয়ামটি দেখে মনে হয় যেন কাঁচ আর ধাতুর তৈরি একটি সুন্দর জাহাজ৷ ৪,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে চকলেট আর কোকোর পুরনো ইতিহাস বহন করছে এই মিউজিয়ামটি৷
ছবি: DW
কোলনকে বিশেষ উপহার
চকলেট কোম্পানি ‘স্টলভের্ক’-এর মালিক হান্স ইমহোফ এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেন ১৯৯৩ সালে৷ যেখানে চকলেটের ৩,০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশেষ ধরণের এই মিউজিয়ামটি হান্স ইমহোফ কোলন শহরকে উপহার দিয়ে দিয়েছেন এবং যার মধ্য দিয়ে তিনি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ ২০০৭ সালে তিনি মারা যান৷
ছবি: Foustontene - Fotolia.com
কোকো দানা
কোকোর দানা বা বিচি থেকে তৈরি করা হয় চকলেট৷ মিউজিয়ামের ভেতরের ঘরটিতে শুধু কোকো সম্পর্কেই দেওয়া হয়েছে নানা তথ্য৷ যেমন ২০ জাতের কোকোর পরিচয়, কোকোর চাষ ইত্যাদি৷ কোকো দানার জন্ম ল্যাটিন অ্যামেরিকায়৷ ১৭০০/১৮০০ শতকে এটি প্রথম ইউরোপে আসে ড্রিংক চকলেট হিসেবে৷ এরপর ১৯ ও ২০ শতকে কোকো প্রথম চকলেট আকারে বানানো শুরু হয়৷
ছবি: DW
বিশেষ আকর্ষণ – চকলেট গাছের ঝরনা
তিন মিটার উঁচু এই সুন্দর ঝরনাটি যে চকলেট মিউজিয়ামের বিশেষ আকর্ষণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ যা দেখে একটুখানি চেখে দেখার লোভ সামলানো যায় না৷ আর সেজন্যই হয়ত বা যারা মিউজিয়ামে ঢোকেন, সবাইকেই একটি করে বিস্কুট গরম চকলেটের মধ্যে ডুবিয়ে খেতে দেওয়া হয়, তার আসল স্বাদ গ্রহণ করার জন্য৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur Huber
যে দেশের যে সংস্কৃতি
আসলে বাংলাদেশ বা ভারতে যেমন কোনো উপলক্ষ্য বা কোথাও গেলে মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার রীতি রয়েছে, তেমনি জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয় চকলেট৷ আপনি এখানে কোনো জার্মান বাড়িতে আমন্ত্রিত, কি নেবেন ভাবছেন? না, ভাবনার কিছু নেই৷ অনায়াসেই নিয়ে যেতে পারেন সুন্দর এক বাক্স চকলেট৷ আর যদি কারো পছন্দের চকলেটের নাম জানা থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা !
ছবি: DW
কত রকমের চকলেট
এই ২১ শতকে চকলেট ছাড়া জার্মানদের জীবন ভাবা যায়না৷ লিন্ড, স্টলভের্ক, রিটার স্পর্ট, মিলকা, নিউটেলা, মোত্সার্ট মার্বেল, সারোটি – কত ছোট বড় কোম্পানির চকলেট যে রয়েছে এদেশে৷
ছবি: DW
চকলেট মিউজিয়াম দেখা মানেই অভিজ্ঞতা অর্জন
চকলেট খেলে শরীর মনে কি প্রভাব পড়ে, আগে কিভাবে চকলেট বানানো হতো আর এখনই বা কিভাবে তৈরি করা হয় ইত্যাদি বিষয়েও জানা যাবে এই মিউজিয়ামে গেলে৷
ছবি: Fotolia/Tatyana Gladskih
চকলেট দিয়ে তৈরি মানুষের মিছিল
মানুষের মিছিলের মতো কোকো আর চকলেট দিয়ে ১৮ সেন্টিমিটার উঁচু এই চকোলেট মিছিলটি তৈরি করেছেন এক শিল্পী৷ একটি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে এটা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রিয়জনের জন্য চকলেট
চকলেট খেতে ভালোবাসে এমন মানুষের অভাব নেই৷ কিন্তু চকলেটের ইতিহাসও জানতে ইচ্ছে করে অনেকেরই৷ তাই এরই মধ্য প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ কোলনের এই চকলেট মিউজিয়াম পরিদর্শন করেছেন৷ মিউজিয়ামে চকলেট বানানোর রহস্য অর্থাৎ রেসিপি ও প্রণালী দেওয়া আছে৷ তবে এভাবে বাড়িতে বসে চকলেট তৈরি করা না গেলেও, একটা ধারণাটা তো পাওয়া যাবে!
ছবি: imago/INSADCO
বাড়তি পাওয়া
চকলেট মিউজিয়াম ঘুরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার পর ঢুকে পড়ুন চকলেট মিউজিয়ামের ক্যাফেতে৷ সেখানে খেতে পারেন খুবই মজার এক টুকরো চকলেট কেক বা গরম চকলেট, যাকে বলে ‘হট চকলেট’৷ আর সেই সাথে উপভোগ করতে পারেন রাইন নদীর সৌন্দর্য, যে অনুভূতি অনেকদিন মনে রাখার মতো৷
সাব্রিনা বলেন, ‘আমাদের শুধু কাঁচামাল বিক্রি করা উচিত নয়'৷ তৌফিক হিদায়াৎ এ বিষয়ে একমত৷ প্রথমদিকে তাঁর মনে গভীর সংশয় ছিল৷ তৌফিক বলেন, ‘‘সাব্রিনা যখন প্রথমবার এখানে আসেন, অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় বেশি দামে কোকো কেনার প্রস্তাব এবং সেইসঙ্গে পেশাদারি পরামর্শও দেন, তখন আমরা এই ‘শহরের মেয়ের' কাণ্ড দেখে হাসাহাসি করেছিলাম৷ তারপর আমরা বুঝলাম, যে তিনি সত্যি এই পথে এগোতে চান৷''
কোকো বিন থেকে চকলেট তৈরি করে সাব্রিনা ছ'টি দেশে বিক্রি করছেন৷ তিনি নিজে বেলজিয়ামের এক বিখ্যাত চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন৷ বাবা-মায়ের গ্যারেজে প্রণালী অনুযায়ী প্রথমবার চকোলেট তৈরি করেন তিনি৷ এখন তাঁর কোম্পানিতে ৫০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করেন৷
খাবার দেখে মানুষ চিনুন
অন্যের সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম-বেশি সকলেরই থাকে, তাই না? খুব তাড়াডাড়ি এই আগ্রহ মেটাতে চাইলে আপনার আশেপাশের মানুষ কী খাচ্ছে, তার দিকে লক্ষ্য রাখুন৷ তাহলেই জেনে যাবেন কী ধরনের মানুষ তাঁরা৷
সমীক্ষা যা জানায়
নতুন সহকর্মী, নতুন প্রতিবেশী, অল্প পরিচিত বা অপরিচিতদের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতে তাঁদের খাবারের দিকে একটু নজর দিন৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮,০০০ মানুষকে নিয়ে করা এক সমীক্ষা থেকে সে তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, যা জানিয়েছেন মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডা. এলান হির্শ৷
ছবি: R. Richter
কাঠবাদামপ্রেমীরা হয় শান্ত প্রকৃতির
কাঠবাদাম বা অ্যালমন্ড যে খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হয়, তা আমরা সকলেই জানি৷ আর এভাবে খাওয়ার মধ্যে কোথায় যেন একটা শান্তির ছাপ থাকে৷ তাই কাউকে কাঠবাদাম খেতে দেখলে ধরে নিতে পারেন যে, সেই ব্যক্তি তাড়াহুড়ো বা কোনো ধরনের চাপ পছন্দ করেন না৷ এ সব মানুষ পরিবার বা পেশা – সব জায়গাতেই শান্ত পরিবেশকে প্রাধান্য দেয় বলে জানান ডা. হির্শ৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images
চিপসপ্রেমীরা কি উচ্চাভিলাষী?
নতুন চিসপ-এর প্যাকেট খোলার শব্দ এবং তাড়াতাড়ি হুমড়ে খেয়ে পড়ে খাওয়ার ধরণই জানিয়ে দেয়, যে খাচ্ছে সে কতটা ‘ডাইনামিক’৷ কীভাবে তিনি কত তাড়াতাড়ি প্যাকেটটা শেষ করবেন, অর্থাৎ কীভাবে তিনি তাঁর গন্তব্যে পৌঁছবেন, তা তিনি খুব ভালো করেই জানেন৷ হোক তা পেশা কিংবা পরিবার, সব ক্ষেত্রেই এঁরা চিপস খাওয়ার মতো তাড়াতাড়ি সাফল্য চান৷
ছবি: etiennevoss - Fotolia
পুদিনার স্বাদ এনে দেয় সমস্যার সমাধান
পুদিনা পাতার স্বাদ যাতে আছে, সেটা স্ন্যাক্স বা চুইংগাম যাই হোক না কেন, এর মিষ্টি তাজা সুগন্ধ মাথার জট খুলে দেয়৷ অর্থাৎ কোনো সমস্যার চটজলদি সমাধান পেতে সহায়তা করে পুদিনার সুগন্ধ৷ শোনা যায়, পুদিনাপ্রেমীরা টেকনিক্যাল বিষয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পছন্দ করেন৷ পছন্দ করেন কম্পিউটারে নানা জটিল সব কাজ করতে৷
ছবি: Colourbox
আসল কথা রঙিন, চাই বৈচিত্র!
যাঁরা নানা রঙের লজেন্স, টফি বা এ ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবারের দিকে হাত বাড়ান, তাঁদের দেখে বুঝতে হবে যে তাঁরা জীবনে বৈচিত্র পছন্দ করেন৷ এঁদের নাকি একঘেয়ে বা অবিবেচক মানুষকে ভীষণ অপছন্দ৷
ছবি: Colourbox
‘শান্তনা’ পেতে চকোলেট
যাঁরা সহজে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে চান বা মাথা নত করতে চান না, তাঁরা ঝটপট এক টুকরো চকোলেট বা চকলেটের খোঁজ করেন৷ চকোলেটপ্রেমীরা নাকি নিয়মিত মানুষকে আলিঙ্গন করে শান্তনা বা রোম্যান্টিকতা পাবার আশায়৷ চকোলেটের জন্য অস্থির হয়ে রয়েছে – এমন মানুষকে দেখলে বুঝতে হবে তাঁদের সে মুহূর্তে প্রয়োজন শান্তনা বা দু’টো মিষ্টি কথার৷
ছবি: picture-alliance/chromorange/Media for Medical
চেহারা রাগী, তবে মনটা নরম
পপকর্ণের শক্ত দানা দেখলে বোঝায় উপায় নেই যে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাপেই তা হয়ে উঠতে পারে মচমচে মজাদার খাবার৷ সেরকমই অনেক মানুষকে দেখে কঠিন প্রকৃতির মনে হয় বটে, কিন্তু তাঁদের সাথে মিশলে বোঝা যাবে যে আসলে তাঁদের মনটা নরম৷ তাছাড়া এঁরা বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আশা না করেই প্রয়োজনে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসেন৷ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে এ রকম তথ্যই বেরিয়ে এসেছে, জানান ডা. হির্শ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
7 ছবি1 | 7
তাঁর মতে, উন্নয়নশীল দেশের তকমা ঝেড়ে ফেলতে হলে সরকারকে শিক্ষাখাতে আরও বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে হবে৷ অসংখ্য অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয় বলে তাঁর কোম্পানিও এই সমস্যার ভুক্তভোগী৷ সাব্রিনা মুস্তোপো বলেন, ‘‘সম্ভব হলে আমরা ঘুস দেই না৷ কিন্তু কখনো কখনো বাস্তববাদী হতেই হয়৷ ইন্দোনেশিয়ায় দুর্নীতি কমছে বটে, কিন্তু পুরানো এই সমস্যা যা রাতারাতি লোপ পাবে না৷ বিবেকদংশন ছাড়া কোনটা করা যায় বা যায় না, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমরা কোম্পানি হিসেবে তা বিবেচনা করি৷''
সাব্রিনার হাতে বেশি সময় নেই৷ গাড়িতে বসেই অনেক সময়ে অফিসের কাজ সারতে হয়৷ তবে কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি মোটেই অনুতপ্ত নন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিদেশে থাকতে আমি সেরা আইডিয়াগুলি দেখার সুযোগ পেয়েছি৷ আশা করি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে কিছুটা অগ্রসর করতে পারবো৷''
সমাজের উঁচু স্তরে নিজের অবস্থান সম্পর্কে সাব্রিনা মুস্তোপো যথেষ্ট সচেতন৷ তবে তাঁর ভাষায়, ‘‘আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের অসংখ্য মানুষ কিছু একটা করে দেখাতে চায়৷''
সান্ড্রা রাৎসো/এসবি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট প্রদর্শনী এবার জার্মানিতে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট প্রদর্শনী ‘সালোঁ দ্যু শকোলা’ বা ‘চকলেট শো’ হয়ে গেলো এবার জার্মানিতে৷ বিভিন্ন দেশের ডিজাইনারদের তৈরি চোখ ধাঁধানো চকলেটের পোশাক পড়ে মঞ্চে উঠেছিলেন সুন্দরী মডেল কন্যারা৷ ছবিঘরে থাকছে আরো কিছু৷
ছবি: DW/M. Banchon
চকলেট শো
ফ্যাশন শো-তে নামি-দামি ডিজাইনারদের তৈরি চোখ ধাঁধানো পোশাক পরে সুন্দরী মডেলরা মঞ্চে হাঁটেন – সেটাই তো স্বাভাবিক৷ কিন্তু না, চকলেটের এই প্রদর্শনীতে শুধু কাপড়ের পোশাক নয়, মডেলদের গায়ে ছিল নানা ডিজাইনের চকলেটের পোশাক৷ এই প্রদর্শনী শুরু হয় ১৯৯৪ সালে, প্যারিসে৷
ছবি: imago/Lumma Foto
জার্মানিতে এবারই প্রথম
১৪-১৬ই নভেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট প্রদর্শনীটি হয়ে গেল জার্মানির কোলন শহরে, প্রথমবারের মতো৷ এতে অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ৫০টি প্রদর্শক৷ দর্শক সংখ্যা ছিল দশ হাজার৷ ছিল ফ্যাশন শো, ওয়ার্কশপ, আলোচনা, চকলেটের নতুন ট্রেন্ড, উদ্ভাবনা৷ আর দর্শকদের জন্য চকলেট কীভাবে তৈরি হয় – সেটা দেখার সুযোগ৷
ছবি: imago/Lumma Foto
কোলনের ডোম বা ক্যাথিড্রাল
চকলেটের এই প্রদর্শনীটি হয়েছে কোলনে, যে শহরে ক্যাথিড্রাল বা ডোমটি তার পররিচয় বহন করে৷ চকলেট প্রদর্শকদেরও সেদিকে লক্ষ্য ছিল৷ ছবিতে দেখুন একজন মানুষের মতো উঁচু একটি চকলেট দিয়ে কী সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতীকী ক্যাথিড্রালটি৷ একে চকলেটের শিল্প ছাড়া আর কি কিছু বলা যায়?
ছবি: picture alliance/BREUEL-BILD
পেছনের কথা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই চকলেট প্রদর্শনী এর আগে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, ব্রাজিল, টোকিও, চীন, কান, ব্রাসেলস, লিমা, সিউলসহ বিশ্বের চারটি মহাদেশের মোট ২৯টি শহরে হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দর্শকদের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৷ এই ছবিটি ২০০৫ সালে বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত চকলেটের ফ্যাশন শো-আগে, মডেলকে চটলেটের নেকলেস পরানো হচ্ছে৷
ছবি: AP
ফ্যাশন শো
সুন্দরী মডেলদের গায়ে থাকবে বড় বড় ডিজাইনারদের সময়োপযোগী আকর্ষণীয় পোশাক, সেটাই স্বাভাবিক, তাই না? তবে এ পোশাক সে পোশাক নয়, রসালো নানা রকম মজার মজার চকলেট দিয়ে তৈরি এই পোশাকে মডেলদের লাগছিল দারুণ মিষ্টি৷
ছবি: picture alliance/Geisler-Fotopress
আহা, কী দারুণ দেখতে!
প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৫০টি প্রদর্শক৷ ফ্যাশন শো শুরু আগে মডেলদের গায়ে চকলেটের তৈরি পোশাক দেখে উপস্থাপিকারও সাধ হয় সেরকম একটি ‘ড্রেস’ পরার৷ ‘‘চকলেটের তৈরি পোশাক পরা যেন একটা স্বপ্ন৷ আমি তো একটা ড্রেস পড়ে আয়নায় নিজেকে দেখে একেবারে অবিভূত!’’
ছবি: imago/Lumma Foto
কী মজা!
চকলেট, চকলেট আর চকলেট৷ চকলেট প্রেমীদের জন্য তো বটেই, যাঁরা চকলেট সেরকম খান না তাঁদের জন্যও কিন্তু কম আনন্দের ছিল না বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট প্রদর্শনীর এই আয়োজন৷
ছবি: imago/Lumma Foto
সবার জন্য চকলেট
চকলেট তৈরি হচ্ছে ছোট-বড় সবার জন্য৷ একটুখানি ‘টেস্ট’ করবেন, মানে চেখে দেখবেন? কী মজাই না খেতে!
ছবি: imago/Thilo Schmülgen
কোকো বীজ
কোকো বীজ থেকে তৈরি করা হয় লোভনীয় সব চকলেট৷ পশ্চিমা বিশ্বে ‘চকলেট’ অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে৷ বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানে যেমন মিষ্টি, ঠিক তেমনি৷ জার্মানিতে ঘরে-বাইরে, যে কোনো উপলক্ষ্যে বা এমনিতেই মানুষ চকলেট খায় এবং অন্যকে খাওয়ায়৷ উপহার হিসেবেও চকলেটের স্থান প্রথম সাড়িতে৷