1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশব্যাপী কালবৈশাখীর আঘাতে ১১ জনের মৃত্যু

৮ এপ্রিল ২০২৪

কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ছয় জেলায় রোববার অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন৷

ফাইল ফটো
কালবৈশাখী ঝড়ে পটুয়াখালীর বাউফলে তিন জন, ঝালকাঠিতে তিন জন, বাগেরহাটে একজন, পিরোজপুরে দুইজন, নেত্রকোণায় একজন ও খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ছবি: Mamunur Rashid/NurPhoto/picture alliance

এর মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে তিন জন, ঝালকাঠিতে তিন জন, বাগেরহাটে একজন, পিরোজপুরে দুইজন, নেত্রকোণায় একজন ও খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়া বাউফলে নিখোঁজ রয়েছেন একজন৷

পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে তিনজন মারা গেছেন৷ এ ছাড়াও তেতুলিয়া নদীতে নিখোঁজ রয়েছে এক জেলে, বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি৷ বজ্রপাতে ১০টি গরুও মারা গেছে৷ গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷

বাউফলের নাজিরপুর গ্রামের জহির সিকদারের কিশোর ছেলে মোহাম্মদ রাতুল শিকদার (১৫) বজ্রপাতে ও দাসপাড়া ইউনিয়নের চর আলগি এলাকার বৃদ্ধ সাফিয়া বেগম (৮০) গাছ চাপা পড়ে মারা যান৷

ঝালকাঠিতে রোববার সকালে বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রীসহ তিনজন নারী মারা গেছেন৷ নিহতরা হলেন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামের হেলেনা বেগম (৪০), শেখেরহাট গ্রামের মিনারা বেগম (৩৫) এবং পোনাবালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার এসানা (১১)৷

পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলাতেও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কচুয়া উপজেলা চরসোনাকুড় গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এ ছাড়া বাগেরহাট শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিলবোর্ড ভেঙে যাত্রীবাহী বাসের চালকসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে৷

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝড়ে শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলায় বহু গাছ উপড়ে গেছে৷ সেই সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকশ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি৷ ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে৷ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷

একই সময় পিরোজপুরে হঠাৎ ঝড়ে দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন৷ মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে প্রায় একশ ঘরবাড়ি ও কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে গেছে৷ নিহত রুবি বেগম (২২) উপজেলার দক্ষিণ মারিচল গ্রামের মিরাজ সরদারের স্ত্রী৷

এছাড়া, শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়নের বৃদ্ধ অনিল পাল (৮২) সকালে ঘর থেকে বের হয়ে বৈশাখী ঝড়ের মধ্যে পড়েন৷ পরে পাশের নলবুনিয়া খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷

খুলনায় বজ্রপা‌তে এক যুব‌কের মৃত্যু হয়েছে৷ মারা যাওয়া ওবায়দুল্লাহ গাজীর (৩৫) বাড়ি ডুমু‌রিয়া উপ‌জেলার কোমলপুর গ্রা‌মে৷ গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন ডেইলি স্টারকে জানান,  সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রপাতের সময় ওবায়দুল তার ঘরে ছিলেন৷ ঘরের চাল ভেদ করে বজ্রপাতের আঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান৷ এ সময় তার একটি গরুও মারা যায়৷

এছাড়াও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় বজ্রপাতে এক কৃষক মারা গেছেন৷ মৃত শহিদ মিয়া উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ সকালে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে আঘাতে তিনি মারা যান৷

এসএইচ/কেএম (ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ