বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ‘ইসলামিক স্টেট' (আইএস) জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছেন৷ সেই প্রশিক্ষণ নাকি দেশেই হয়েছে এবং আইএস জঙ্গিদের ঐ প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিদেশি প্রশিক্ষকরা৷ এ খবরে তোলপাড় সারা দেশ৷
বিজ্ঞাপন
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ১০ জন আইএস সদস্য অস্ত্র চালনা থেকে শুরু করে নানা শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, ঐ প্রশিক্ষণটি বাংলাদেশের কোনো গহিন এলাকায় হয়েছে, যেখান থেকে ভিডিও ধারণ করা হয়৷ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির খোঁজে এখন অভিযান চলছে৷ এছাড়া জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের খোঁজ করা হচ্ছে পার্বত্য এলাকাতেও৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহাজাহান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সর্বশেষ আমরা বারিধারা ডিওএইচএস-এর নিজ বাসা থেকে আবদুল্লাহ আল গালিব নামে আইএস-এর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি৷ গালিব অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে৷ তার কম্পিউটার থেকে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ১০ জন আইএস সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ জিজ্ঞাসাবাদে গালিব ঐ ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু বলেনি৷ তবে আমরা ধারণা করছি এটা দেশের মধ্যেই ধারণ করা হয়েছে৷''
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
প্রতিদিনই খবরে আইএস৷ কোনোদিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য, কোনোদিন হয়তো ইরাক বা সিরিয়ায় কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য৷ আইএস বলছে, ইসলামি খেলাফত কায়েম করার জন্য যুদ্ধে নেমেছে তারা৷ ছবিঘরে আইএস সম্পর্কে কিছু তথ্য....
ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির৷ আইএস-এর পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷’
ছবি: AP
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস৷ সিরিয়া এবং ইরাকেই প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা৷ দুটি দেশেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস৷
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য৷ শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা আগে কেউ করেনি৷ জবাই করে ভিডিও প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে মেয়েকে জবাই করা এবং তার তার ভিডিও প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব নিয়মিতভাবেই করছে আইএস৷ কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস৷
ছবি: gebphotography - Fotolia.com
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে, আইএস-কে তারা সমর্থন করে৷ দুটি সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও আছে৷ আইএস-এর মতো বোকো হারামও নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে উঠেছে৷ অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই মধ্যযুগীয়৷
ছবি: Getty Images/A. Katib
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৪ হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার৷
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২ বার হামলা হয়েছে৷ কোনো কোনো সরকার দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সিরিয়া ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বিচার শুরু করবে জার্মানি৷ গত মাসে সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
6 ছবি1 | 6
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, এর আগে গত ২৫শে মে ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম (৩৮) ও সাকিব বিন কামাল (৩০) নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ রাজধানীর উত্তরা ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এদের মধ্যে শাকিব বিন কামাল সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন নারী উপদেষ্টার ছেলে৷ এরা দু'জনও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে৷
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি৷ দেশের বিভিন্নস্থানে আমাদের অভিযান চলছে৷ আশা করছি আরো বেশ কিছু জঙ্গি এ অভিযানে গ্রেপ্তার হবে৷''
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ আল গালিব নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সহ-সমন্বয়ক ছিল৷ তার আগে হিজবুত তাহরীরের সদস্য এবং বর্তমানে আইএস-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিল গালিব৷ বারিধারায় নিজ বাসায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগঠনের প্রচার, অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ এবং তাদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতো সে৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা) মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভলেকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আইএস সদস্যরা ইরাক ও সিরিয়ার মতো গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের মাধ্যমে আইএস নির্দেশিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ইন্টারনেটে কর্মী সংগ্রহ করছিল৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
8 ছবি1 | 8
জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল ইসলাম জানায়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহের কাজ করতো সে৷ সিরিয়ায় কথিত জিহাদে অংশ নেবে – এমন ২০ জন যুবক সংগ্রহ করেছিল আমিনুল৷ এছাড়া সে অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল৷ এ রকম কোনো হামলার আগেই অবশ্য তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে৷
গোয়েন্দা পুলিশের অপর একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত গালিব দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় অবনতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিল৷ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের অনেক সদস্য তৎপর রয়েছে বলে আটক হওয়ার পর জানিয়েছে গালিব৷ এই জঙ্গি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করে খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা৷ তাদের সংগঠনের নাম ‘জুনুদ আল তাওহীদ ওয়াল খিলাফাহ'৷ নতুন এ সংগঠনটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আদলে গঠিত বলে দাবি তার৷
উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, আইএস-এ যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল৷ এদের মধ্যে পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে দু'জন নিহত হয়৷ এরা হলো – সাখাওয়াতুল কবিরের ভায়রা শামীম আহম্মেদ ও বাতেনের ভগ্নিপতি মুহম্মদ সায়েম৷ গত ২৯শে জানুয়ারি ডিবি খিলক্ষেত ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সাখাওয়াতুল কবির (৩৫), আনোয়ার হোসেন ওরফে বাতেন (৩৩), রবিউল ইসলাম (৩৫) ও নজরুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে৷ এদের মধ্যে কবির বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-এর প্রধান সমন্বয়ক, বাকি তিনজন তার সহকারী৷ এই কবিরের সঙ্গে আমিনুল ও সাকিব-বিন-কামালের যোগাযোগ ছিল৷ প্রসঙ্গত, যারা আইএস-এ যুক্ত হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই স্বচ্ছল পরিবার থেকে এসেছে, জানান উপ-কমিশনার৷