1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশের খামারেই পর্যাপ্ত গরু, বন্যায় প্রভাব কম

সমীর কুমার দে ঢাকা
৩ আগস্ট ২০১৯

আসন্ন ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের ভারতীয় গরুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষণা করেছে সরকার৷ পাশাপাশি বন্যার কারণে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আসছে না গরু৷

Frederike Bruening kümmert sich um alte Kühe in Indien
ছবি: DW/S.Mishra

আবার কোরবানি ঈদের দুই দিন পর ১৫ আগষ্ট৷ এদিনও কাঙালি ভোজে বিপুল সংখ্যক গরুর প্রয়োজন হয়৷ একদিকে ভারতীয় গরু  আসছে না, অন্যদিকে গ্রাম থেকে গরু না এলে কোরবানিতে কি সংকট হতে পারে?

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন এবার কোরবানিতে পশুর কোন সংকট হবে না৷ গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মজুদ রয়েছে৷ এবার সারা দেশে  কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু ও মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ গবাদিপশুর কোরবানি হতে পারে ধারণা প্রতিমন্ত্রীর৷

সরকারি হিসেবে আগের বছর কোরবানিতে দেশে পশু জবাই হয়েছিল এক কোটি ১৫ লাখ৷ এর মধ্যে ছাগল-ভেড়া ছিল ৭১ লাখ এবং গরু-মহিষ ৪৪ লাখ৷ এবার সেই হিসেবে গত বছরের চেয়ে তিন লাখেরও বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ তবে পশুর সংকট হবে কি-না তা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যও রয়েছে৷

খামারিরা দাম একটু বেশি পেতে চায়: মো. মজিবুর রহমান

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ গবাদি পশু ব্যবসায়ি  সমবায় সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সবাই যদি ঠিকমতো কোরবানি দেয় তাহলে পশুর সংকট হবে৷ কারণ ভারত থেকে পশু আসা বন্ধ হয়ে গেছে৷ এখন খামারিরা তো চায় দাম একটু বেশি পেতে৷ ফলে সংকট হলে তো তারা দাম বাড়াতে পারবে৷ আর একটা তথ্য সবাই ভুল করেন, সেটা হল- আমাদের চাহিদা ৮০ ভাগ ছোট ও মাঝারি গরুর৷ ২০ ভাগ বড় গরু দরকার৷ কিন্তু আমাদের খামারে আছে ৮০ ভাগই বড় গরু৷ ফলে সাধারণ মানুষ সেগুলো কিনতে পারে না৷''

বন্যার কারণে কি কোন প্রভাব পড়বে? জবাবে জনাব রহমান বলেন, ‘‘ওই সব এলাকার গরু খুব একটা ঢাকায় আসে না৷ এলাকাতে বিক্রি হয়৷ ফলে ওই গরু আসা বা না আসাতে কোরবানির হাটে খুব একটা প্রভাব পড়বে না৷''

জনাব রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ঢাকার সবচেয়ে বড় গরু হাট গাবতলি হাটের পরিচালক ছানোয়ার হোসেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘গত বছরও ভারত থেকে গরু আসেনি৷ তারপরও শুধু আমাদের হাট থেকে লাখের উপর বিক্রি হয়নি, ফেরত গেছে৷ গত বছর যে পরিমাণ গরু আমাদের সংগ্রহে ছিল এবার তার চেয়েও বেশি আছে৷ তাহলে সংকট কোথা থেকে হবে৷ এখন দেশে হাজার হাজার খামার৷ পশুর কোন সংকট হবে না৷ শুধু বছিলা থেকে গাতবলী পর্যন্ত আধা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৫-১৬টি খামার৷ বিপুল পরিমান গরু তাদের সংগ্রহে আছে৷ তাহলে সংকট হওয়ার কথা আসছে কেন?’’

পশুর কোন সংকট হবে না: ছানোয়ার হোসেন

This browser does not support the audio element.

গাবতলী গরু হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমানও ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে বলছিলেন, ‘‘বন্যার কারণে এবার কোরবানির হাটে  কোন প্রভাব পড়বে না৷ কারণ ওই সব এলাকা থেকে খুব একটা গরু ঢাকায় আসে না৷ আর ডেঙ্গু? হাটের মধ্যে ডেঙ্গু মশা থাকে না৷ আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি৷ সিটি কর্পোরেশনও আমাদের সহযোগিতা করে৷ আমরা আশা করছি, এবার কোরবানিতে পশুর তেমন সংকট হবে না৷''

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিবছর ২৫ শতাংশ হারে গবাদিপশুর খামার বাড়ছে৷ বর্তমানে খামারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৬টি৷ সবচেয়ে বেশী খামার রয়েছে চট্টগ্রামে৷ এছাড়া কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খামার গড়ে উঠেছে৷ গরু-ছাগল-মহিষ-ভেড়া মিলিয়ে গবাদিপশু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ১২তম৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ