ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাহারা দিতে হয় বাজে খাবার খেযে৷ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান এমন অভিযোগ তুলে তিনটি ভিডিও পোস্ট করেন৷ বলা বাহুল্য, এই বিস্ফোরক অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবের অভিযোগ, ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রতিকূল আবহাওয়াতে ১১ ঘণ্টা পাহারা দিতে হয়, কিন্তু তার জন্য প্রাপ্য খাবারটুকু ঠিকমত জোটে না৷ বাজে খাবার খেয়ে ডিউটি দিতে হয় – এই অভিযোগ করে তিন-তিনটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ ইতিমধ্যেই ৬০-৭০ লাখ মানুষ ফেসবুকে সেই ভিডিওগুলো দেখেছেন৷ তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, এমন দিনও গেছে যখন এত বাজে খাবার মুখে তুলতে না পেরে খালি পেটে রাত কাটাতে হয়েছে৷ সকালে পরোটা দেওয়া হয়, অনেক সময় বিনা সবজিতে৷ দুপুরে রুটি প্রায়ই পোড়া, সঙ্গে ডাল, যাতে হলুদ-নুন ছাড়া আর কিছুই থাকে না৷ রাতেও তাই৷ কঠিন ডিউটির জন্য যে শারীরিক শক্তি দরকার, যে খাবার জোটে তাতে বেশি দিন টেকা যায় না৷
এই বিস্ফোরক অভিযোগের পরদিনই নড়েচড়ে বসেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফ কর্তৃপক্ষ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের আদেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তদন্ত শুরু করেন বিএসএফ-এরই ডিআইজি পদমর্যাদার এক অফিসার৷ কিন্তু তার আগেই তড়িঘড়ি তেজ বাহাদুরকে সরিয়ে দেওয়া হয় পু্ঞ্চের হেড কোয়াটার্সে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথিত অপরাধে৷ বিএসএফ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, এই বদলি রুটিন মাফিক এবং তদন্তের স্বার্থে৷ সাংবাদিকদের কাছে বিএসএফ-এর আইজি পাল্টা অভিযোগ করেন, তেজ বাহাদুর মদ্যপ এবং এর আগেও অনেকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে শাস্তি পেয়েছে৷ একবার চাকরি যেতে যেতে নাকি বেঁচেও গেছে তাঁর৷ খারাপ মানের খাবার-দাবার সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দেখুন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন কমান্ডের অধীনে৷ খাবার-দাবার যা আসে, তা জোগায় সাধারণত সেনাবাহিনী৷ সেটা নিম্নমানের হয় না৷ তবে শীতকালে কখনও কখনও টিনের খাবার খেতে হয়, সেটা অস্বাভাবিক নয়৷ এ বিষয়ে যাদবের অভিযোগ থাকলে কেন তিনি সরাসরি তাঁর ঊর্ধতন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি? আসলে যাদবের উদ্ধেশ্য অন্য৷''
কিন্তু ভিডিওতে দেখানো তেজ বাহাদুর যাদবের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বিএসএফ-এর বক্তব্য ধোপে টেকে না৷ যাদবের দাবি, সে অনেকবার ঊর্ধতন অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি৷ নিম্নমানের খাবারের জন্য সরকারের দোষ দেখছেন না তেজ বাহাদুর৷ সরকার বিএসএফ-এর মতো আধা-সামরিক বাহিনীর জন্য যথেষ্ট অত্যাবশ্য খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে সন্দেহ নেই, কিন্তু সেইসব খাদ্যসামগ্রী বিএসএফ-এর ঊর্ধতন কিছু অফিসার পাচার করে থাকে বাইরে৷ কয়েকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের ভুলের কথা স্বীকার করে যাদব বলেন, ‘‘মানুষমাত্রই ভুল করে থাকে৷ আমিও করেছিলাম৷''
আর তাই যদি হয়, তাহলে প্রশংসনীয় কাজের জন্যও তো তাঁকে অনেকবার পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ ‘‘এমনকি সোনার মেডেল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে আমাকে৷ সেটা তাহলে কেন দেওয়া হলো?'' পাল্টা প্রশ্ন যাদবের৷ দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বলেছেন, তাঁর ওপর চাপ আসছে, কিন্তু আধা-সামরিক বাহিনীর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে তিনি তাঁর অভিযোগ থেকে এক ইঞ্চিও পিছিয়ে আসবেন না৷ শুধু বিএসএফ নয়, ইন্দো-টিবেটান বাহিনী, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষেত্রেও তাঁর অভিযোগ বাস্তব সত্য৷ পাশাপাশি ভারতের মিডিয়াকে এক হাত নিতেও তিনি ছাড়েননি৷ বলেছেন, মিডিয়া কেবল ভিআইপি সর্বস্ব৷ জওয়ানদের আসল অবস্থা ভারতের মিডিয়া জানে শুধু মন্ত্রী ও আমলাদের মুখ থেকে৷ আর কোনো জওয়ান দেশ রক্ষায় শহিদ হলে তাঁর বা তাঁদের অন্তিম যাত্রা কভার করে৷ মিডিয়া কেন জওয়ানদের মুখ থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সেকথা জানার চেষ্টা করে না?
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
প্রথম কথা, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানের অভিযোগের তদন্ত যদি ঐ বাহিনীর কোনো অফিসারকে দিয়ে করানো হয়, তাহলে তার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে ঘোরতর সংশয় থেকেই যায়৷ বলা বাহুল্য, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে জওয়ানেরই৷ তাই সরকারের উচিত নিরপেক্ষ কমিশনকে দিয়ে তদন্ত করানো৷ আবার এটাও ঠিক, সামরিক বাহিনী কিংবা আধা-সামরিক বাহিনীর আচরণবিধি অনুসারে কোনো জওয়ানের কর্তৃপক্ষের বিরুধে ভিডিও তুলে বা সেলফি তুলে একাধিকবার পোস্ট করা কতটা সঙ্গত হয়েছে, সে বিষয়ে জনমত যাচাই করা৷ যদিও এর একটা মানবিক দিকটা অবশ্যই বিবেচ্য৷ এ কথা অনস্বীকার্য যে, শীতকালে যেখানে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি নীচে থাকে, সেখানে বল র্ধক বিশেষ খাবার-দাবার থাকা একান্ত জরুরি৷ নাগরিক সমাজো তেমনটাই মনে করে৷ শুধু বরফে নয়, গরমকালে রাজস্থানের মরু অঞ্চলে ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও তাঁদের সীমান্ত পাহারা দিতে হয় জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য করে, এক নাগাড়ে৷ আরাম-আয়েশে অভ্যস্ত মন্ত্রীরা বা রাজনৈতিক রথী-মহারথীদের সেই মানবিকবোধটা থাকা উচিত, এমনটাই সুশীল সমাজের অভিমত৷ বিএসএফ-এর জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবের অভিযোগ যে সেদিক থেকে দেশের বিবেকের সামনে এক প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে, তা বলাই বাহুল্য৷
বিষয়টি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷