1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক বাহিনী

২৪ আগস্ট ২০১২

দেশের ভেতর সামরিক বাহিনী তাদের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে - এই মর্মে জার্মানির সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের দেয়া রায় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

ARCHIV - Deutsche Marine-Soldaten eines Sicherungsteams der Fregatte "Karlsruhe" demonstrieren am 23.12.2008 in Dschibuti einen Einsatz auf einem Schnellboot. Die Bundeswehr darf Piraten aus Somalia jetzt erstmals auch bis an Land verfolgen. Mit der Mehrheit der schwarz-gelben Koalition stimmte der Bundestag am Donnerstag (10.05.2012) einer Ausweitung der europäischen «Atalanta»-Mission zu. Damit sind Luftangriffe auf Piraten-Stützpunkte möglich, wenn sich diese am Strand oder in dessen Nähe befinden. Die Grenze liegt bei zwei Kilometern. Foto: Gero Breloer dpa (zu dpa 1660 am 10.05.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

আগস্টের ১৭ তারিখে দেয়া এই রায়ে বলা হয়, কেবলমাত্র ‘অতি জরুরি অবস্থা' সামাল দিতে দেশের ভেতর সামরিক বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে৷ অর্থাৎ দেশে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যাতে বহু মানুষ হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলেই কেবল সামরিক বাহিনী ডাকা যেতে পারে৷ কোনো ধরণের বিক্ষোভ দমাতে তাদের ব্যবহার করা যাবে না বলেও রায়ে বলা হয়েছে৷

এছাড়া সাংবিধানিক আদালত বলেছে, সামরিক বাহিনী ব্যবহারের জন্য শুধু প্রতিরক্ষামন্ত্রী আদেশ করলেই হবে না৷ এজন্য পুরো সরকারপক্ষকে বসে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই বিতর্ক শুরু হয়৷ সামাজিক যোগাযোগের সাইট থেকে শুরু করে টেলিভিশন ও পত্রপত্রিকায় শুরু হয় আলোচনা৷ রাজনীতিবিদরাও হয়ে পড়েন দ্বিধাবিভক্ত৷ কেউ কেউ এই রায়কে ‘স্বৈরশাসনের দিকে একধাপ অগ্রসর' বলে মনে করছেন৷ কেউ আবার ‘ভাইমার' আমল, যার বিস্তৃতি ছিল ১৯১৮ থেকে ১৯৩৩ সাল, তার কথা স্মরণ করেছেন৷ কেননা সেসময় কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল৷ এবং যার ফলশ্রুতিতে হিটলারের আগমন ঘটে৷ এরপর হিটলারও তাঁর এসএস আধাসামরিক বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল৷

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে অনেক জার্মান, শিক্ষার্থীদের বিদ্রোহ দমনে ১৯৬৮ সালে পাস করা ‘জরুরি আইন'এর সঙ্গে তুলনা করছেন৷

রায় ঘোষণার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়৷ তাতে বলা হয়, এই রায় এটাই প্রমাণ করে যে, জার্মান নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ৷

তবে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যেন রায়কে অন্যভাবে ব্যাখ্যা না করেন, সে ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন বিচারমন্ত্রী সাবিনে লয়েটহয়েরজার৷ তিনি বলেন, ‘‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা ও বাইরের শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা - এই দুটি আলাদা বিষয় এবং এটা থাকবে৷ আইন দ্বারা কোনোকিছু করা সম্ভব মানে এই নয় যে, সেটা রাজনৈতিকভাবেও ঠিক৷''

ছবি: picture-alliance/dpa

বিতর্কের শুরুর দিককার কাহিনি

২০০৩ সালে জানুয়ারি মাসের কোনো এক বিকেলে ফ্রাঙ্কফুর্টের উঁচু ভবনগুলোর মাত্র ৫০ মিটার উপরে গ্লাইডার বিমান চক্কর কাটছিল৷ যে কোনো সময় বিমানটি উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল৷ তাই জার্মান বিমানবাহিনী দুটি জেট বিমান পাঠিয়ে ঐ গ্লাইডার বিমানটিকে মাটিতে নামিয়ে আনে৷

এই ঘটনার পরই দেশের ভেতরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়৷ কেননা গ্লাইডারের ঐ ঘটনার পর সবাই চিন্তা করে দেখলো যে, যদি আল-কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে বিমান ছিনতাই করে শহরের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত করার চেষ্টা করে তাহলে কী হবে? সেক্ষেত্রে ঐ বিমানটিকে আটকাতে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?

এই প্রেক্ষিতে সেসময় সরকার একটা আইন তৈরি করেছিল৷ এর ফলে ছিনতাই হওয়া বিমানকে গুলি করে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ আদালত তাদের দেয়া রায়ে বলেছিল যে, সরকারের ঐ আইনটি অবৈধ৷ কেননা ভবনগুলোতে থাকা মানুষদের বাঁচাতে বিমানে থাকা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা ঠিক নয়৷ তাই আদালত বলেছিল যে, সামরিক বাহিনী পুলিশকে তাদের কাজে সহায়তা করতে পারবে৷ কিন্তু তাই বলে যুদ্ধকালীন যে যন্ত্রপাতি, যেমন ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট এগুলো ব্যবহার করতে পারবে না৷

তবে সর্বোচ্চ আদালতের ঐ রায়ের সঙ্গে একমত ছিল না ঐ আদালতেরই দুটি চেম্বার৷ ফলে সেটা নিয়ে আবারও আলোচনা হয়৷ এবং এর ফল হচ্ছে, ক'দিন আগে দেয়া সর্বোচ্চ আদালতের নতুন রায়৷ এই রায়ে ২০০৬ সালে দেয়া রায় থেকে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ ফলে এখন থেকে দেশের ভেতরেও কাজ করতে পারবে সামরিক বাহিনী৷ প্রয়োজনে যুদ্ধকালীন অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারবে৷ তবে তা অবশ্যই ‘অতি জরুরি' পরিস্থিতিতে, অন্য কোনো সময় নয়৷

প্রতিবেদন: ক্লাউস ডাহমান / জেডএইচ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ