1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ভয়ের সংস্কৃতি

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, দেশে এখন একটি প্রচ্ছন্ন ভয়ের সংস্কৃতি বহমান৷ সেটা শুধু তাঁর ক্ষেত্রেই নয়, প্রযোজ্য সারা দেশের ক্ষেত্রেই৷

Infografik Polizeitote Bangladesch Bengalisch

[No title]

This browser does not support the audio element.

ক্রসফায়ার নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তাঁকে গত বছর ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ায় এই মন্তব্য করেন নূর খান৷

মানবাধিকার কর্মী নূর খানছবি: Md. Nur Khan

২০১৪ সালের ১৫ মে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল বলে সে সময় অভিযোগ করেছিলেন নূর খান ও তাঁর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র৷ অপহরণ চেষ্টার সপ্তাহখানেক আগে থেকে গুম-অপহরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাঁকে সতর্ক করে আসছিল বলেও জানিয়েছিলেন নূর খান৷

ডিডাব্লিউর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের শুরুতে ক্রসফায়ারের সমালোচনা করে মন্তব্য করার পর গত বছরের ঘটনার প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘‘ঐ ঘটনার পর এখনও বলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হচ্ছে আমাকে৷ যেমন যে কথাগুলো বললাম এটা আরও কঠিনভাবে, আরও শক্তভাবে বলার সুযোগ আমার ছিল৷ কারণ প্রতিটি কথার পেছনে যে দালিলিক প্রমাণ থাকার দরকার সেগুলো আমার কাছে থাকার পরেও আমি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সাবধানতার সঙ্গে কথা বলতে চাই৷ একটা প্রচ্ছন্ন ভয়ের সংস্কৃতি কিন্তু বহমান৷ সেটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সারাদেশের ক্ষেত্রেই৷''

২০০৪ সাল থেকে ক্রসফায়ারের ঘটনা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই হাজার দুশো জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানান নূর খান৷ এছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে পহেলা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা ১৩৫৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

নূর খান মনে করেন, সহজে ও অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেতে এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও বিরোধী মতের ব্যক্তিদের দমাতে সরকারগুলো ক্রসফায়ারের সহায়তা নিয়ে থাকে

তিনি বলেন, অতীতে এরশাদ শিকদার ও মুকিম গাজীর মতো আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেছে৷ ফলে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে তাঁদের পেশাদারিত্ব বাড়ানো গেলে ক্রসফায়ার ছাড়াই সন্ত্রাসীদের দমন করা সম্ভব, বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই মানবাধিকার কর্মী৷

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

আপনার মধ্যেও কি এ ধরনের ভয় কাজ করে? জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ