দেশে ‘কালো ছত্রাক' রোগী শনাক্ত
২৫ মে ২০২১ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন, এ মাসে তাদের হাসপাতালে পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়৷
তিনি বলেন, "আমাদের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস পাওয়া গেছে৷ ওই রোগী সাতক্ষীরা থেকে এসেছিলেন৷ বেশ আগে খুলনায় তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল৷''
আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারডেমে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যে এ ‘কালো ছত্রাকের' সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে৷ বিরল এ সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো৷ অনেক সময় আক্রান্তের প্রাণরক্ষায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চোখ বা চোয়ালের হাড় অপসারণ করতে হয়৷
গত কয়েক মাসে ভারতে প্রায় নয় হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী ‘কালো ছত্রাক' ধরা পড়েছে৷ তাদের একটি বড় অংশের কোভিড থেকে সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে৷
সাতক্ষীরার ওই ব্যক্তির ভারত ভ্রমণের ইতিহাস আছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক কাইয়ুম বলেন, "এখনও বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি৷''
মিউকরমাইকোসিস কি?
মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ৷ মিউকর মোল্ডের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণটি ঘটে৷ মাটি, গাছপালা, বাতাস,বিষ্ঠা, এবং পচা ফল ও সবজি থেকে কেউ মিউকর মোল্ডের সংস্পর্শে আসতে পারেন৷ সুস্থ মানুষের নাকে বা কফেও সংক্রমণ পাওয়া যায়৷
সংক্রমিতদের মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্তা পড়া, মুখের একপাশ ফুলে যওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা, চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া, ঝাপসা দেখা এবং এক সময় দৃষ্টি হারানোর মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ কিংবা নাকের পাশপাশে চামড়ায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে৷
ডায়াবেটিস, এইডস বা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বিশেষকরে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণ প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারে৷ সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে আক্রমণ করে থাকে প্রাণঘাতী কালো ছত্রাক৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)