বাংলাদেশে দেশের ভেতরে পর্যটন বাড়ছে৷ ছুটি বা উৎসবে অনেকেই এখন পরিবার পরিজন নিয়ে বের হয়ে যান দেশের ভেতরেই কোনো পর্যটন কেন্দ্রে৷ কিন্তু পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের আনন্দ অনেক সময় চরম ভোগান্তিতে পরিণত হয়৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি৷ সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এক হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে সাজেকের প্রকৃতি ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়, এখানে মেঘ ছুঁয়ে দেখা যায়, আছে ট্রেকিং-এর ব্যবস্থা৷ কাছ থেকে দেখা যায় আদিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি৷ সেনবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা এই সাজেক ভ্যালিতে আছে ছোট-বড় ১২২টি বেসরকারি রিসোর্ট৷ যাতে সব মিলিয়ে থাকতে পারেন দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটক৷ কিন্তু এবার বড় দিন এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিনের ছুটি পাওয়ায় অনেকেই সেখানে ভিড় করেছেন৷ তাদের সংখ্যা ছয়-সাত হাজারের বেশি হবে৷ তাই অনেককেই রাস্তায় অথবা গাড়িতে রাতযাপন করতে হয়েছে৷ কেউ কেউ রাতে স্থানীয় স্কুলে থেকেছেন৷
বান্দরবানের দুই আকর্ষণ - নীলাচল আর নীলগিরি
বান্দরবানের সর্বাধিক জনপ্রিয় দুটি পর্যটন গন্তব্য নীলাচল ও নীলগিরি৷ নির্জন পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত এই জায়গা দুটিতে সারা বছরই পর্যটকরা ভিড় জমান৷
ছবি: DW/M.Mamun
সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর ‘নীলাচল’
বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছে সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র সম্ভবত নীলাচল৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৬০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে বান্দরবান জেলা পরিষদ৷ জেলা শহর থেকে এর অবস্থান প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়া এলাকায়৷
ছবি: DW/M.Mamun
অপূর্ব দৃশ্য
নীলাচলে মেঘের ভেলার ওপাশে মনোরম সূর্যোদয়৷
ছবি: DW/M.Mamun
খালি চোখে বিস্ময়
নীলাচলে দাঁড়িয়ে পাখির চোখে দেখা মেঘে ঢাকা শহরটি বান্দরবান৷ আকাশে মেঘ না থাকলে শহরের পাশের সাঙ্গু নদীকেও খালি চোখে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M.Mamun
মেঘের লুকোচুরি
মেঘে ডুবে যাওয়া নীলাচলে পর্যটক৷ বর্ষা, শরৎ আর হেমন্ত- এই তিন ঋতুতে নীলাচলে মেঘের লুকোচুরি বেশি দেখা যায়৷
ছবি: DW/M.Mamun
আছে বনফুল
নীলাচলের পাহাড়ে বনফুল৷ এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য নীলাচল পাহাড়ের চারপাশেই দেখা যায়৷
ছবি: DW/M.Mamun
প্রকৃতি উপভোগের স্পট
নির্জন পাহাড়ের কোলে কোলে নীলাচলে আছে ‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’, ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’সহ বেশ কয়েকটি স্পট৷ প্রকৃতিকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য স্পটগুলোর জুড়ি নেই৷
ছবি: DW/M.Mamun
রাতে থাকার সুবিধা
নীলাচলে পাহাড়ে সবুজের ঢালে ঢালে পর্যটকদের থাকার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘নীলাচল এস্কেপ রিসোর্ট’৷ সাধারণ পর্যটকদের জন্য এ জায়গাটিতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থানের অনুমতি থাকলেও রিসোর্টের অতিথিরা সারা রাতই উপভোগ করতে পারেন নীলাচলকে৷
ছবি: DW/M.Mamun
‘বাংলাদেশের দার্জিলিং’
বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,২০০ ফুট উচ্চতায় এই পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ এই জায়গা থেকে পর্যটকরা সহজেই মেঘ ছুঁতে পারেন বলে একে বাংলাদেশের দার্জিলিংও বলা হয়৷
ছবি: DW/M.Mamun
চোখ যায় শুধু সবুজে
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে যে দিকে চোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ৷ চারপাশে সবুজের সমারোহ আর নির্জন প্রকৃতি নীলগিরির অন্যতম আকর্ষণ৷
ছবি: DW/M.Mamun
রাত্রিযাপন
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে আছে বেশ কয়েকটি কটেজ৷ ফলে পর্যটকরা চাইলে পাহাড়চূড়ার এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে সহজেই রাত যাপন করতে পারেন৷
ছবি: DW/M.Mamun
যেভাবে যাবেন
বান্দরবান শহর থেকে নীলগিরির যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো৷ শহর থেকে জিপ ভাড়া করে সহজেই যাওয়া যায় সেখানে৷
ছবি: DW/M.Mamun
পর্যাপ্ত নিরাপদ
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত৷ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন৷ তাই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হলেও জায়গাটিতে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই৷
ছবি: DW/M.Mamun
আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
নীলগিরি পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশেই আরেকটি পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘ম্রো’দের গ্রাম ‘কাপ্রু পাড়া’৷ নীলগিরিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা সহজেই দেখে আসতে পারেন আদিবাসী এই জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা৷
ছবি: DW/M.Mamun
জুম চাষ দেখা
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই পাহাড়িদের জুম ক্ষেতের মাঝে জুম ঘর৷ জুম চাষের এ দৃশ্য দেখা যাবে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত৷
ছবি: DW/M.Mamun
হস্তশিল্প কেনা যাবে
বান্দরবান থেকে নীলগিরি যেতে পাহাড়ি পথের ধারে নিজেদের নানান হস্তশিল্প বিক্রি করেন ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর মানুষেরা৷ পর্যটকরা সহজেই কিনতে পারেন এসব আকর্ষণীয় পণ্য৷
ছবি: DW/M.Mamun
15 ছবি1 | 15
সাজেক পর্যটন রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বড়দিনকে সামনে রেখে আগেই আমাদের রিসোর্টগুলো বুকিং হয়ে যায়, তারপরও অনেকে এসেছেন বুকিং ছাড়া৷ তাদের তো আমরা আর থাকার জায়গা দিতে পারছি না৷ তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
একই অবস্থা কক্সবাজারের৷ সেখান থেকে সায়মা সিদ্দিকা জানান, ‘‘সমুদ্র সৈকতে পা রাখার জায়গা নেই, রাস্তাগুলোতে এখন প্রচণ্ড যানজট, অনেকেই হোটেল বুকিং না দিয়ে চলে আসায় বিপাকে পড়ছেন৷''
তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি এমন যে হোটেল গুলোতে খাবার পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না৷ আর পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি৷ পর্যটকদের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে সুযোগ সন্ধানীরা হোটেলের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন, বাড়িয়ে দিয়েছেন খাবারের দামও৷ তাদের মধ্যে সেবার মানসিকতা নেই৷ আছে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা৷
‘অনেকেই হোটেল বুকিং না দিয়ে চলে আসায় বিপাকে পড়ছেন’
আর সমুদ্র সৈকতে কয়েকটি মাত্র পর্যটন স্পট৷ যদি সুপরিকল্পিতভাবে আরো স্পট গড়ে তোলা হতো তাহলে এক জায়গায় এত লোক ভিড় করতো না বলে মনে করেন তিনি৷
একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা দেশে এবং দেশের বাইরে ঘুরতে পাছন্দ করেন৷ বেড়ানো তার নেশা৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন দেশে র ভেতরে পর্যটন বাড়ছে৷ দেশের ভেতরে মানুষ ঘুরতে অনেকে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন৷ তবে সমস্যা হচ্ছে তারা সাধারণত ছুটির সময়ই সপরিবারে ঘুরতে বের হন৷ ফলে পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ওই সময়ে প্রচণ্ড ভিড় হয়৷ কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ব্যবস্থাপনায় এই বিষয়টি মাথায় নেই৷ আর মনে করা হয় পর্যটক মানেই মধ্যবিত্ত বা ধনী৷ কিন্তু আসলে তা নয়৷ ফলে এখানে বিদেশের চেয়েও হোটেল ভাড়া বেশি৷''
ট্যুর অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে সারা বছরে এখন অভ্যন্তরীণ পর্যটক দুই কোটিরও বেশি৷ আর দেশের বাইরে থেকে স্বাভাবিক সময়ে ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন৷ তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি৷ বিদেশি ছয়-সাত লাখের মতো৷ তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন দিন দিন বড়ো হচ্ছে৷ কিন্তু সেদিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের৷
এখনো পর্যটনের শীর্ষে আছে কক্সবাজার৷ অনেক পর্যটন স্পট আছে যা মানুষকে ব্যাপক আকর্ষণ করতে পারে৷ কিন্তু ঠিকভাবে উপস্থাপন না করতে পারা, যোগাযোগ ও সুযোগসুবিধার অভাবে তা পর্যটক আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে৷
‘যেসব টুরিস্ট স্পট আছে সেখানে অবকাঠামো নেই’
বাংলাদেশে এখন ছোট বড় মিলিয়ে এক হাজারের মতো ট্যুর অপারেটর আছেন৷ তারা অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরে ট্যুর অপারেট করেন৷ তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজম বাড়লেও পরিকল্পনার অভাব আছে৷ প্রচার না থাকায় পর্যটকরা কক্সবাজার, রাঙামাটি, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন এই কয়েকটি এলাকাকেই ভ্রমণের জায়গা হিসেবে বেছে নেন৷ ফলে ওইসব এলাকায় প্রচণ্ড ভিড় হয়৷ ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি স্কিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, ‘‘এর কারণ হলো আরো যেসব টুরিস্ট স্পট আছে সেখানে অবকাঠামো নেই৷ ফলে মানুষ সেখানে যেতে চান না৷ আর প্রচার না থাকায় ওইসব এলাকার কথা পর্যটকরা জানেনই না৷ কয়েকটি এলাকায় ভিড় করেন৷ আরেকটি সমস্যা হলো যারা দেশের পর্যটক তারা বছর জুড়ে ট্যুর প্ল্যান করেন না৷ কোন ঋতুতে কোথায় যাবেন তা জানেন না৷ ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় যেমন শীতকালে তারা এক যোগে ঘুরতে বের হন৷'' তার মতে, ‘‘এর জন্য পর্যটন কর্পোরেশন ও মিডিয়াকে ভূমিকা নিতে হবে৷''
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সারাদেশে মোট ৪৭টি হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া ও বার আছে৷ এরমধ্যে ১৩টি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়৷ কিন্তু তাদের সেবার মান তেমন ভালো নয়৷ আবার যেখানে হোটেল, মোটেল দরকার সেখানে নেই, যেখানে দরকার নেই সেখানে আছে৷ যেমন পুরো রাঙামাটিতে আছে মাত্র একটি পর্যটন কমপ্লেক্স৷ সবচেয়ে আকর্ষণীয় সাজেকে তাদের কোনো মোটেল বা হোটেল নেই৷ রাঙামাটির মোটেলে ডিসেম্বর মাসের বুকিং এক মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে৷
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক(বিক্রয়, উন্নয়ন ও জনসংযোগ) মো. জিয়াউল হক হাওলাদার জানান, ‘‘বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটক এখন দুই কোটিরও বেশি৷ মানুষের আয় বেড়েছে৷ দেশকে ঘুরে দেখার প্রবণতাও বাড়ছে৷ এটা ধরে রাখতে এবং আরো বাড়াতে আমরা বড় ধরনের পকিল্পনা নিয়েছি৷ আমরা দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আরো হোটেল, মোটেল এবং বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি৷ এখন আমাদের কাজ হচ্ছে হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, কর্ণফুলি টানেল এলাকা, তেঁতুলিয়া, আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হাওড় এলাকাসহ আরো কয়েকটি এলাকায়৷ এছাড়া রাঙামাটিতে আরো অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে৷'' কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশে এক হাজার ৪০০ পর্যটন স্পট চিহ্নিত করেছি৷ এগুলো সবার কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা করছি৷ এখন পর্যটনের আরো নানা দিক উন্মোচিত হচ্ছে, তরুনদেরও আমরা কাজে লাগাচ্ছি৷''
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্তৃত নীল সমুদ্র, আকাশ ছোঁয়া পাহাড়সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে৷ ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশ পথে সরাসরি যাওয়া যায় এ সৈকত শহরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত
বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ৷ এসব সৌন্দর্য্যের পসরা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে প্রকৃতি রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত৷ ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এ অবিচ্ছিন্ন সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে শুরু করে টেকনাফের বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা প্রায় ১২০ কিমি. পর্যন্ত দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিচ্ছন্ন সৈকত
পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ এর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছুটিতে ভিড় বেশি
এই সময় কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে৷ প্রচুর হোটেল আর রিসোর্ট থাকা সত্ত্বেও সেই সময় রাত যাপনের জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
হোটেল, রিসোর্ট
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত এলাকায় পাঁচ তারকা মানের একটি হোটেল৷ এই সৈকত শহরে পাঁচ তারকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল আর রিসোর্ট আছে৷ এ সব হোটেলে ধরনভেদে ৫০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
লাইফ গার্ড
লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সমুদ্র স্নানে নামা পর্যটকদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখেন লাইফ গার্ডের সদস্যরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সূর্যাস্ত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মনোরম সূর্যাস্তের দৃশ্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফিশারি ঘাট
বাঁকখালী নদীর তীরে অবস্থিত এই ঘাট৷ নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ দেখতে হলে যেতে হবে সেখানে৷ জেলেরা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে এখানেই জড়ো করেন বিক্রির জন্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
নাজিরারটেক শুঁটকি কেন্দ্র
বঙ্গোপসাগর আর বাঁকখালী নদীর মোহনায় কক্সবাজারের নাজিরারটেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই শুঁটকি কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ সেখানে শুঁটকি তৈরির মূল মৌসুম অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত৷ সেখানকার মাছের শুঁটকি বিদেশে রপ্তানিও হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
সৈকতে ঘুড়ি উৎসব
কক্সবাজার সৈকতে বর্ণিল ঘুড়ি উৎসবে মেতেছেন পর্যটকরা৷ প্রতিবছর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন আকর্ষণীয় এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
মেরিন ড্রাইভ রোড
কক্সবাজার শহর থেকে সমুদ্র লাগোয়া মেরিন ড্রাইভ রোড চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্ত৷ সড়কটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mamun
হিমছড়ি
কক্সবাজার থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি সমুদ্রসৈকত৷ পাহাড় আর সমুদ্রের মিতালি পর্যটকদের খুব প্রিয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
লাল কাঁকড়া
হিমছড়ির সৈকতে লাল কাঁকড়া৷ ভাটার সময় শুকিয়ে যাওয়া সৈকতে দলে দলে বেড়াতে আসা লাল কাঁকড়াদের দেখা যায় হিমছড়িতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ইনানী সমুদ্রসৈকত
কক্সবাজার থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত আরেকটি আকর্ষণীয় সমুদ্রসৈকত ইনানী৷ এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত৷ সমুদ্র থেকে ভেসে এসে এখানকার বেলাভূমিতে জমা হয়েছে প্রচুর প্রবাল পাথর৷ ইনানীর সৈকতের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় সেন্টমার্টিন সৈকতের৷
ছবি: DW/M. Mamun
আরেকটি পাথুরে সৈকত
ইনানী সৈকতের মতো আরেকটি পাথুরে সৈকত হাজামপাড়া৷ কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের এ সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুবই কম থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ণিল সৈকত
বাংলাদেশের বর্ণিল সমুদ্রসৈকত টেকনাফ৷ কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এ সৈকতের অবস্থান৷ এখানকার সৈকতে জেলে নৌকাগুলো বর্ণিল পতাকা আর রঙে সাজিয়ে রাখেন জেলেরা৷