1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশি দুর্নীতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ মার্চ ২০১৪

দেশে রাজনৈতিক সংকটের সময় পুলিশের ঘুস বাণিজ্য বাড়ে৷ এক শ্রেণির পুলিশ সদস্য আইনের নানা ধারা প্রয়োগ করে এই ঘুস বাণিজ্য চালায়৷টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন৷

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছেছবি: Kazi Borhan Uddini/AFP/Getty Images

বাংলাদেশের ১০১ জন পুলিশ সদস্যের প্রায় দেড় কোটি টাকার ঘুস বাণিজ্যের খবর প্রকাশ হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে৷ তারা ২২৬ জনকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ঐ পরিমাণ টাকা নিয়েছেন৷ ১৯ জেলার একজন এসপিসহ এসআই পর্যন্ত কর্মকর্তারা এই ঘুস নেয়ার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ৷ এই বাণিজ্য হয়েছে দেশে রাজনৈতিক সংকটের সময়৷ আর যাদের আটকের পর ভয়ভীতি দেয়িয়ে টাকার বিনিময়ে ছাড়া হয়েছে, তাদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়াও আওয়ামী লীগের সমর্থক, ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, চোরাকারবারি, প্রেমিকযুগল, মোটরসাইকেল আরোহীরাও রয়েছেন৷ গত সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে এসব ঘটনা ঘটে৷

টিআইবি পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেছবি: STRINGER/AFP/Getty Images

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৮ই মার্চ ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী' অভিযুক্ত এসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে জানাতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছে৷

টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা বার বার দেখেছেন পুলিশের এক শ্রেণির সদস্য দেশে রাজনৈতিক সংকটসহ যে কোনো ধরনের সংকটের সময় আটকের নামে ঘুস বাণিজ্য চালায়৷ তারা নিরীহ মানুষকে আটক করে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে৷ আবার অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত অপরাধীদেরও ছেড়ে দেয়৷ এতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হন৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘এবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই এরকম ১০১ পুলিশ কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ তাই আশা করা যায় এই সব পুলিশ কর্মকর্তা শাস্তির আাওতায় আসবেন৷ তবে আগেই পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে বিষয়টি আসা উচিত ছিল৷ আর এখন পুলিশকে এ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত৷''

ড. ইফতেখার বলেন, ‘‘পুলিশের এই ঘুস বাণিজ্য বন্ধ না হলে আইনের শাসন সুদূর পরাহত হবে৷ আর কতিপয় পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়৷''

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘একটি মামলায় দু'একজনের নাম দিয়ে শত শত অজ্ঞাত পরিচয় আসামি দেয়া হয়৷ এটা করাই হয় ঘুস বাণিজ্যের জন্য৷ নিরীহ মানুষকে আটকের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের জন্য৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘এই কথা বলায় অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন৷ কিন্তু এখন প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ কী ভাবে আটক করে ঘুস বাণিজ্য চলায়৷ তাদের নামও প্রকাশ হয়েছে৷ অসৎ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এই বাণিজ্য থামছেনা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ