1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দোষী ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা নয়; জামিনে মুক্ত বাজিকর

৩০ আগস্ট ২০১০

বল ট্যাম্পারিং এর মতো ম্যাচ ট্যাম্পারিং! এই জন্যই হয়তো বলা হয় বেটিং গেম ক্রিকেট৷ বুকিরা বসে থাকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে৷ ‘ফেল কড়ি, মাখ তেল, বদলে দাও খেলার ফলাফল’ – এ কথা হয়তো তাদের জন্যই প্রযোজ্য৷

পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের মধ্যে খেলাছবি: ap

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা অর্থের বিনিময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে যেভাবে বাজিকরদের ইচ্ছের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টি এখন মুখে মুখে৷

ব্রিটেনে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বাজিকর মাজহার মাজিদ দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে যে কথাগুলো বলেছেন, সেই সূত্রেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ কেবল নাকি অর্থ নিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন না এই খেলোয়াড়রা! ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড' জানাচ্ছে, মাজিদের কথা অনুসারে এ জন্য তাদের অনৈতিক আরও কিছু দিতে হতো৷

যাহোক, এখন কী ঝুলছে পাকিস্তানি ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের ভাগ্যে? সেটাই আলোচ্য৷ মানুষের কৌতূহলের এই বিষয়টি নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের দিকে৷ তিনিই জানালেন: ‘‘হ্যাঁ, এই বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিল কমিটিতে আলোচিত হয়েছে৷ কিন্তু যদি দোষীদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ওঠে, তাহলে বলেই দেয়া যায় যে, আমরা এখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি না৷ আমরা অপেক্ষা করছি পুলিশী তদন্ত রির্পোটের৷ ঐ রিপোর্ট পেলেই আমরা কথা বলবো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে, এরপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা এরপরেই পরবর্তী ব্যবস্থা৷''

শারদ পাওয়ার, আইসিসি প্রেসিডেন্টছবি: UNI

শরদ পাওয়ার আরও বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ড দোষী খেলোয়াড়দের পক্ষ নেবে না৷'' তিনি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে খু্বই মারাত্মক বলে উল্লেখ করেন৷

ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার চতুর্থ টেস্টে ম্যাচ পাতানোর দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বছর বয়সী মাজহার মাজিদকে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা৷ পরে ঐ ব্যক্তি মুখ খোলেন৷ অবশ্য গ্রেফতার হবার আগে ঐ বাজিকর ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'এর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছিলেন কিন্তু অর্থের বিনিময়েই৷ মাজিদের জন্ম দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ক্রোডনে হলেও থাকেন সারেতে৷ ক্রোডনের একটি ফুটবল ক্লাবের মালিকানার অংশীদারও তিনি৷ পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ঘুষ দিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন বাজিকর মাজহার৷ তার চুম্বক বক্তব্য হচ্ছে, ‘প্রতি নো বলের জন্য চুক্তি ছিল দেড় লাখ পাউন্ড !'

জামিনে মুক্ত বাজিকর

বাজিকর মাজহার মাজিদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি পুলিশ অফিসে আসবেন৷ সোমবারই তার জামিন কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো৷ অবশ্য পুলিশ জানায়নি কিসের উপর ভিত্তি করে তাকে জামিন দেয়া হলো, যেমনটা জানায়নি তিন পাকিস্তানি খেলোয়াড় সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে কি কথা হয়েছে পুলিশের৷ অবশ্য এই তিন জনের ফোন কলের রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ বাজিকর মাজিদকে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ