1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলার সাহসী মেয়েরা

৭ নভেম্বর ২০১৫

তথ্যচিত্র নয়, এ যেন কর্মজীবী নারীদের বাস্তব জীবনেরই গল্প৷ নারীরা অর্থ উপার্জন না করলে অনেক পরিবারেই লেগে থাকে অভাব, আবার ঘরের বাইরে কাজ করতে চাইলে পরিবারই দাঁড়ায় বিরুদ্ধে৷

Frauen Textilarbeiterinnen Näherinnen Bangaldesch Gewandnäherinnen
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এমন অনেক বিরুদ্ধস্রোত জয় করারই গল্প ‘‘আ জার্নি অফ আ থাউজেন্ড মাইলস : পিসকিপার্স'

৯৪ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে হাইতিতে জাতি সংঘের শান্তি মিশনে যাওয়া ১৬০ জনের দলের মধ্যে মাত্র ৩ জনের বাস্তবতা সরাসরি তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে৷ বাংলাদেশে সাধারণ ঘরের মেয়েরা আগের তুলনায় অনেক বেশি হারে চাকরি-বাকরি করছেন৷ পোশাক শিল্প ছাড়া অন্য সব জায়গায় পুরুষের তুলনায় সংখ্যা হয়ত কম, তবে সব পেশাতেই বলতে গেলে মেয়েরা আছে৷

কিন্তু মেয়েদের জন্য দেশের বাইরে চাকরি করা এখনো খুব সহজ নয়৷ নারী পুলিশরা সেই অসম্ভবের দেয়াল ভেঙেছেন হাইতির জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিয়ে৷ তথ্যচিত্রের ট্রেলার দেখলেও কর্মজীবী মেয়েদের বিদেশে কাজ করতে গেলে কত রকমের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে৷ বিদেশে চাকরির সুযোগ এমনিতেই বিরল৷ মেয়েরা সেই বিরল সুযোগ পেলেও পরিবার এবং সমাজের বাধার মুখে অনেক সময় সেই সুযোগ নিতে পারেন না৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মা-বাবা-সন্তান-স্বামী সবাই দাঁড়িয়ে যায় পথ আগলে৷ মেয়ের বিয়ের আগে বাবা-মা বিরোধিতা করেন ‘লোকলজ্জা'র ভয়ে৷ বিয়ে থা হলে, বা মা হয়ে গেলেও নিস্তার নেই, তখন সন্তানকে বাড়িতে রেখে যেতেই শত রকমের দুশ্চিন্তা৷ তখন দেশেই চাকরি করা কঠিন, বিদেশে তো অনেক পরের কথা৷ স্বামী অভাব-দারিদ্র্য, টাকার প্রয়োজন বোঝেন, কিন্তু ‘পাছে লোকে কিছু বলে'-র ভয়টা তুড়ি মেরে উড়িয়ে স্ত্রী-র বিদেশে যাওয়া মেনে নিতে পারেননা৷ তথ্যচিত্রে এসবের কিছুই বাদ যায়নি৷ একে তো পুলিশের চাকরি তার ওপর বিদেশে বাড়তি দায়িত্ব৷ চাইলেও সন্তানকে দেখতে যখন খুশি বাড়ি যাওয়া যায়না৷ মা-এর জন্য কেঁদে কেঁদে সন্তান বলে, ‘পিছনের গেট দিয়ে পালিয়ে আসো, আম্মু৷' কাজ ছেড়ে দেশে ফেরার প্রশ্নই ওঠেনা৷ মা তাই আকাশে বিমান দেখলেই ভাবেন, ‘‘কবে যে আবার বিমানে উঠবো, কবে বাড়ি ফিরে ছেলেটাকে বুকে টেনে নেবো৷'' ‘আ জার্নি অফ আ থাউজেন্ড মাইলস : পিসকিপার্স'-এ নারী পুলিশের চাকরি ও পারিবারিক দায়িত্বের এই সংঘাতের দিকটিও সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রামোদীদের দেখিয়েছেন নির্মাতা শারমিন ওবায়েদ চিনয় এবং গীতা গান্দভির৷

ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দুই নারীর কারণে বাংলাদেশের নারী পুলিশরাও এখন সেলুলয়েডে চড়ে ‘জয়' করছেন নতুন নতুন ভূখণ্ড৷

চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যচিত্রটি দেখে এসে অনেকেই বলছেন, ‘হলে গিয়ে দেখুন, মিস করবেন না যেন!'

আশীষ চক্রবর্ত্তী

সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ