1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৈনিক সংবাদপত্র

১ এপ্রিল ২০১৩

১লা এপ্রিল মিয়ানমারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক দিন৷ কর্তৃপক্ষ বিধিনিয়ম শিথিল করায় এ দিন থেকে দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশের পথ খুলে গেল৷ এতকাল শুধু সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশের অনুমতি ছিল৷

ছবি: picture-alliance/dpa

মিয়ানমারে পরিবর্তনের বাতাস বইতে শুরু করেছে বেশ কিছুকাল ধরে৷ বহু দশক ধরে বাকি বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকার পর সে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেট৷ ফেসবুক, টুইটারের ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ তাই সংবাদ পরিবেশন ও তথ্যের আদান প্রদান দমিয়ে রাখা আর সহজ নয়৷ বছর দুয়েক আগে সংস্কারপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাই সেন্সর কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে৷ সংবাদপত্র প্রকাশের উপর আগের মতো কড়া নিয়ন্ত্রণ যে আর রাখা সম্ভব নয়, তা তারা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে৷

মিয়ানমারের ১৬টি সাপ্তাহিক পত্রিকাই নতুন নিয়মের সুযোগ নিয়ে ১লা এপ্রিল থেকে দৈনিকে পরিণত হচ্ছে৷ এই খবর পেয়ে পাঠকরাও বেশ উত্তেজিত৷ কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি? সেন্সর কর্তৃপক্ষের থাবা শিথিল হবার পর সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলিকে ঘিরেও মানুষের উৎসাহ বেড়ে গেছে৷ প্রতিদিন সকালেই স্টলের সামনে দেখা যায় অনেক মানুষের ভিড়৷ সকলেই নতুন খবর পড়তে চায়৷ বহুকাল পর মুক্তির এই স্বাদ পেয়ে সবাই বেশ রোমাঞ্চিত৷ দৈনিক সংবাদপত্র হাতে পেলে যে কী হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

প্রথমবারের মতো দৈনিকের স্বাদ পাচ্ছেন মিয়ানমারের নাগরিকরাছবি: picture alliance/AP Photo

অথচ কিছুদিন আগে পর্যন্ত পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন ছিল৷ ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাবার পর ক্রীড়া বিষয়ক একটি পত্রিকার বিক্রি দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ কারণ প্রচ্ছদে ফুটবলের খবর থাকলেও পরে তার উপর নেত্রীর মুক্তির খবর বসিয়ে দেওয়া হয়৷

সেন্সরশিপ আগের মতো আর কড়া নেই বটে, কিন্তু তাই বলে এখনো সব বিষয় ছাপানোর মতো সময়ও আসে নি৷ তাই অনেক নিউজগ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা ইন্টারনেট ভিত্তিক সোশাল মিডিয়ার সাহায্যে পাঠকদের তাজা খবর পৌঁছে দিচ্ছে৷ যেমন সম্প্রতি দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার খবর মূল স্রোতের সংবাদ মাধ্যম ঠিকমতো তুলে ধরতে পারে নি৷ আসলে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় অনেক পত্রিকা নিজেরাই হয়রানির ভয়ে বেশিদূর এগোনোর সাহস পায় নি৷ নিউজগ্রুপগুলি ফেসবুকে সেই সব খবর প্রকাশ করেছে৷ ‘লাইক'এর সংখ্যাও কম নয়৷

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স সংস্থার বেনজামিন ইসমাইল সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও মিডিয়ার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত৷ সংবাদ মাধ্যম জগতকেও নৈতিকতা ও উঁচু মানের পেশাগত মানদণ্ড স্থির করতে হবে৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ