1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামাজিক মাধ্যমের দোষ?

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

প্রশ্নটা দেওয়ান সুমনের৷ তবে তিনি মনে করেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ যে অসামাজিক হয়ে উঠছে, তার জন্য আসলে দায়ী ব্যবহারকারীরা নিজেরাই৷ এর জন্য মাধ্যমগুলো দায়ী নয়৷

ছবি: Reuters

সামহয়্যার ইন ব্লগে লেখা একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘...প্রত্যক ক্রিয়ার যেমন প্রতিক্রিয়া আছে, ভালোর বিপরীতে যেমন খারাপ আছে, ঠিক তেমনি সামাজিক যোগাযাগের মাধ্যমেরও নেগেটিভ দিক রয়েছে৷ ফেসবুক আসক্তির কারণে আমরা নিজেদের গা বাঁচিয়ে বলে থাকি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম অসামাজিক করে তুলছে৷ অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমের ইতিবাচক সুফল ভোগ করতে পারি৷''

একটি উদাহরণ তিনি বলেন, ‘‘...আপনার কাছে অঢেল টাকা রয়েছে আর এই টাকার যদি সঠিক ব্যবহার না করেন তাহলে অচিরেই আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন৷ সেজন্য আমরা যদি ধ্বংসের কারণ হিসেবে টাকার উপর দায়বার চাপিয়ে দেই তাহলে সেটা কতখানি নির্বুব্ধিতার পরিচয় তা আর বলার অপক্ষা রাখে না৷ ঠিক একইভাবে আমরা যদি ফেসবুক আসক্ত হয়ে নিজেদের অসামাজিক করে তুলি আর সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমকে দায়ী করি তাহলে সেটাও নির্বুব্ধিতার পরিচয় বৈকি৷''

তবে দেওয়ান সুমনের মতো বিষয়টা একইভাবে ভাবছেন না মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা৷ একই ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘‘... আমরা যতই যান্ত্রিক জীবনযাপন করছি ততই আমাদের প্রিয় বন্ধনগুলো আস্তে আস্তে গৌন হয়ে উঠছে৷ আমরা অনেকে কর্মক্ষেত্রে থাকি কম্পিউটারের সাথে৷ বাসায় অবসরে থাকলে আমাদের পাশে থাকা প্রিয়জনদের সময় দেয়া তো দূরের কথা, আন্তরিকতার সাথে দুয়েকটা কথা পর্যন্ত বলি না৷ কারণ বাসার অবসরে আমাদের হাতে থাকে রিমোট, যা দিয়ে আমরা স্যাটেলাইট চ্যানেল পরিবর্তনে ব্যস্ত থাকি৷ আর এক সময় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো চরম বিরক্ত লাগলে কম্পিউটার নিয়ে বসি৷ এরপর শুরু হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপ্রয়োজনীয় টুইটারিং, ফেসবুকিং বা উদ্দেশ্যবিহীন নেট সার্ফিং৷...আমরা অনেকে শিক্ষামূলক সাইটের তুলনায় পর্নো সাইটগুলোতে বেশি ভিজিট করি৷ এতে আমাদের অনেকের চরিত্র যেমন চুলোয় যাচ্ছে তেমনি নৈতিকতা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে৷ অনেকে সামাজিক সাইটে অসামাজিক সর্ম্পক গড়ে তোলে সর্গীয় সংসারকে নরকে পরিণত করছি৷''

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সুস্থ ব্লগিং প্রয়োজন বলে মনে করেন বাবলা৷ তিনি বলেন, ‘‘সুস্থ ব্লগ-এ একজন ব্লগার যতক্ষণ থাকেন ততক্ষণই তিনি হয় পাঠক, না হয় লেখক৷ অর্থাৎ পুরো সময়টাই তিনি পড়ে বা লিখে কাটান৷ একজন ব্লগার যখন সাইন-আউট করেন তখন তিনি একটি নতুন অনুভূতি নিয়ে উঠেন, যা মনকে যেমন সতেজ করে তেমনি দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচক করে তোলে৷ এভাবে একজন সুস্থ ব্লগের ব্লগারের মধ্যে সৃষ্টি হয় মনুষ্যত্ববোধ, সহানুভূতি, পরমত সহমর্মিতা, আবেগ কিংবা শ্রদ্ধাবোধের মতো অমূল্য সব মানবিক গুণাবলী৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ