জলবায়ু আলোচনা
৩ ডিসেম্বর ২০১২![Demonstrantin bzw. Demonstranten bei einer Demo für Klimaschutz am 1.12.2012 in Doha (Katar) am Rande der Weltklimakonferenz; Copyright: DW/A. Rönsberg](https://static.dw.com/image/16422344_800.webp)
সম্মেলনের প্রথম কয়েক দিনে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলেচনা হয়েছে, সেটি হল ফান্ডিং বা অর্থসংস্থান, বললেন ঝুমুর বারি৷ ফাস্ট স্টার্ট ফান্ডিং থেকে শুরু করে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড অবধি নানা ধরণের ফান্ড, নানা পরিমাণ অর্থপ্রদানের প্রতিশ্রুতি৷ এ সব নিয়েই আলোচনা চলেছে এবং চলছে৷ এক্ষেত্রে ফাস্ট স্টার্ট ফাইন্যান্স ফান্ডিং নিয়ে শিল্পোন্নত-উন্নয়নশীল, দু'পক্ষের হিসেবের গোলমাল৷ শিল্পোন্নত দেশগুলি বলছে, তাদের দেওয়ার কথা ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার; তারা এ যাবৎ দিয়েছে ৩৪ বিলিয়ন৷ উন্নয়নশীল দেশগুলি তাদের নিজের হিসেবনিকেশ করে বলছে, তারা চার বিলিয়ন ডলারের বেশি পায়নি৷
‘‘পাশাপাশি গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, যেখানে ফান্ড ছিল, কিন্তু কোনো টাকা ছিল না,'' বললেন ঝুমুর বারি৷ গত শুক্রবারের খবর: শিল্পান্নত দেশগুলি নাকি এই ‘সবুজ জলবায়ু ফান্ডের' জন্য টাকা বরাদ্দ করতে রাজি হয়েছে৷ অপরদিকে টাকাটাই তো বড় কথা নয়, বিশেষ করে যখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা তো দূরের কথা, সেটা চার কিংবা ছ'ডিগ্রি বাড়াটাই আশঙ্কা করা যেতে পারে৷ ঝুমুরকে দোহায় কিছু বিজ্ঞানী বলেছেন, চীনের কার্বন নির্গমন নাকি বর্তমানের দশ গিগাটন থেকে বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ১৪ গিগাটন হয়ে যাবে৷ এবং তার ফলেই এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটবে৷ ফান্ডিংয়ের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টিও দোহায় ভালোমতো আলোচিত হচ্ছে বলে জানালেন ঝুমুর বারি৷
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের অনেক প্রতিনিধি দোহাতে এসেছেন এবং আসবেন, বলে ঝুমুর বারি জানালেন৷ মন্ত্রী আসছেন, কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই হাজির, পরিবেশ আন্দোলনকারী, গবেষক, বাংলাদেশ থেকে এরাও এসেছেন৷ মার্কিন ‘কেয়ার' সংস্থার একটি সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে ২০৩০ সাল অবধি বাংলাদেশে কোনো খাদ্যাভাব ঘটবে না, কিন্তু তার পর পরিস্থিতির নাটকীয়ভাবে অবনতি ঘটবে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে সকলের উদ্বেগের কথা বললেন ঝুমুর৷
‘‘সমাধান আমাদের হাতে নেই,'' বললেন ঝুমুর বারি৷ ‘‘সমাধান যাদের হাতে আছে, তাদেরকে মোবিলাইজ করা কিংবা তাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াই কিন্তু এখন ঘটছে৷'' দোহায় বহুপাক্ষিক আলোচনার চেয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাটাই বেশি চলছে, বলে জানালেন ঝুমুর বারি৷
সব মিলিয়ে তাঁর কাছে দোহার এই সম্মেলনে হল একধরণের যজ্ঞ বিশেষ৷ কিন্তু শেষমেষ সতেরো'শ মানুষের প্লেনের তেল পুড়িয়ে এখানে আসায় পরিবেশের যে দূষণ ঘটল, ফলাফলের গড়পড়তায় সেটা পোষাবে কিনা, ঝুমুর সেটা জানেন না৷