1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দোহা সম্মেলন

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১০ ডিসেম্বর ২০১২

দোহায় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যে সতেরো হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিক ঝুমুর বারি’ও ছিলেন৷ দোহার ফলাফলে না হলেও, বাংলাদেশের উপস্থিতি ও উপস্থাপনার ব্যাপারে তিনি খুশি৷

DOHA, Dec. 8, 2012 H.E. Abdullah Bin Hamad Al Attiyah (2nd R, front), President of the conference announces the final agreements of the UN Climate Change Conference (COP 18 and CMP 8) at the Qatar National Convention Center (QNCC) in Doha, Qatar, Dec. 8, 2012. (Xinhua/Li Muzi
ছবি: picture-alliance/dpa

দোহায় বাংলাদেশ - সরকারি এবং বেসরকারিভাবে - কীভাবে পরিবেশিত হল, সে বিষয়ে ঝুমুর বারি বললেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রায় একশোর ওপর অংশগ্রহণকারী এসেছিলেন৷ সরকারি প্রতিনিধিরা ছিলেন, এনজিও'রাও তাদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছে, বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকাগুলো নিয়ে যে সব এনজিও কাজ করে৷ এছাড়া মানবাধিকার এবং নারী অধিকার নিয়ে যে সব এনজিও কাজ করে, তারাও অংশগ্রহণ করেছে৷ কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দোহায় যে সব উপস্থাপনা করা হয়েছে, তার মধ্যে বিশেষ করে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' উপস্থাপনাটির কথা উল্লেখ করলেন ঝুমুর বারি৷ ডার্বান সম্মেলনে এই ধারণাটি প্রথম উত্থাপন করা হয়, দোহায় সেটি আরো জোরালোভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে, বলে জানালেন ঝুমুর বারি৷ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ'-এর উদ্দেশ্য হল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি থেকে স্বতন্ত্র করে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের মতো স্বল্পমেয়াদি বিপর্যয়গুলির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ তহবিল থেকে অবিলম্বে অর্থসাহায্যের ব্যবস্থা করা৷

ছবি: DW

এই ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ'-এর ক্ষেত্রে সব ক'টি স্বল্পোন্নত দেশ একত্রভাবে তাদের প্রকল্পটি পেশ করেছে এবং তাদের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ, বলে জানালেন ঝুমুর বারি৷ বাংলাদেশের যুক্তি হল, এই প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলির স্বল্পমেয়াদে কিছু পাওয়া উচিত৷ এবং উন্নত দেশগুলি যে সে যুক্তি মেনে নিয়েছে, ঝুমুর বারি তাকে একটা বড় ধরণের সাফল্য বলে মনে করেন৷

বাংলাদেশের বিশেষ জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাবলীর ব্যাপারে দোহায় অপরাপর দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতার ব্যাপারে ঝুমুর বারি বললেন, তিনি প্রথমেই একটি খারাপ খবর দিয়ে শুরু করতে চান৷ জলবায়ু পরিবর্তন থেকে যে সব দেশ ইতিমধ্যেই কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ৷ দোহায় প্রথম সপ্তাহের শেষেই কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি এবং ক্ষতিপূরণের প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়৷

MMT BM 101212 Interview Jhumur Bari, B'deshi journalist in Doha - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

তবে পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে ‘‘বাংলাদেশ এখন বেশ গরম'', বললেন ঝুমুর বারি, এবং জানালেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এই সম্মেলনেই বলেছেন যে, পদ্মা সেতু যেখানে নির্মিত হচ্ছে, সেটি একটি ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল' বা জলবায়ুর প্রকোপদুষ্ট এলাকা৷ সেই কারণে সেতুটি সেখানে নির্মিত হওয়াটা খুবই জরুরি৷

ঝুমুর বারি একাধিক জলবায়ু সম্মেলনে সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: দেখেছেন, বালি'র অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করা হয়নি; কোপেনহাগেন'এর অ্যাকর্ড'এরও একই দশা৷ ঝুমুর বারি'র ভাষায়: ‘‘ফান্ড আছে, কিন্তু টাকা নেই৷ চুক্তি আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই৷'' তাই দোহা সম্মেলনকেও বাংলাদেশের এই সাংবাদিকের শেষমেষ একটা ‘পিকনিক' বলেই মনে হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ