আগামী সেপ্টেম্বরে বসতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক৷ যেহেতু এটা পার্শ্ব বৈঠক নয়, পূর্ণাঙ্গ বৈঠক, তাই সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে৷
বিজ্ঞাপন
অবশেষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়াশিংটনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ বলা বাহুল্য, বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে দীর্ঘ মন-কষাকষি দূরে সরিয়ে সম্পর্কের বরফ গলাতে উদ্যোগী হয়েছে উভয় দেশ৷ এবং সেটা নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই৷ তাই ওবামার আমন্ত্রণ গ্রহণ করা পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে মোদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন দিল্লির কূটনৈতিক মহল৷ বলছেন, মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দেশ বা আন্তর্জাতিক স্বার্থে ব্যক্তিগত ‘ইগো' দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বাধা হতে পারে না৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক৷ বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সমুদ্রে এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশসহ গোটা এশিয়ায় চীনের হম্বিতম্বির মোকাবিলা করতে হলে শক্তির ভারসাম্য অত্যন্ত জরুরি৷ আর এ জন্য দরকার ভারত-মার্কিন শক্তির সমন্বয়৷ ভারতের কৌশলগত কাঠামোয় যুক্তরাষ্ট্রের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, মোদীর সিদ্ধান্তে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা৷
একজন নরেন্দ্র মোদী
উগ্র সাম্প্রদায়িক আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির কারণে ভারতের বহু মানুষের কাছে তিনি খলনায়ক৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেকে নতুন মোড়কে সামনে এনে সেই নরেন্দ্র মোদীই শোনাচ্ছেন ভারতকে বদলে দেয়ার মন্ত্র৷
ছবি: dapd
চা ওয়ালা
১৯৫০ সালে গুজরাটের নিম্নবিত্ত এক ঘাঞ্চি পরিবারে জন্ম নেয়া নরেন্দ্র মোদী কৈশরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন৷ ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেন নামের এক বালিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, যদিও বেশিদিন সংসার করা হয়নি৷ ছাত্র হিসেবে সাদামাটা হলেও মোদী বিতর্কে ছিলেন ওস্তাদ৷ ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন মোদী৷
ছবি: UNI
গুজরাটের গদিধারী
১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়ার ১০ বছরের মাথায় দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান ১৯৯৫ সালে গুজরাটের নির্বাচনে চমক দেখানো মোদী৷ ১৯৯৮ সালে নেন দলের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব৷ ২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দলের মনোনয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদী, যে দায়িত্ব তিনি এখনো পালন করে চলেছেন৷
ছবি: Reuters
দাঙ্গার কালিমা
মোদীকে নিয়ে আলোচনায় ২০০২ সালের দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসে অবধারিতভাবে৷ স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুজরাটে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন৷ মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দেন৷ তিনি এ অভিযোগ স্বীকার করেননি, আদালতও তাঁকে রেহাই দিয়েছে৷ তবে দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, হিন্দুত্ববাদের গান শুনিয়েই তিন দফা নির্বাচনে জয় পান মোদী৷
ছবি: AP
রূপান্তর
দাঙ্গার পর নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ একজন বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিতে শুরু হয় ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রচার৷ ২০০৭ সালের পর নিজেকে একজন সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে তুলে ধরতে নতুন প্রচার শুরু করেন এই বিজেপি নেতা, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদী’৷গুজরাটের উন্নয়নের চিত্র দেখিয়ে কলঙ্কিত ভাবমূর্তিকে তিনি পরিণত করেন ভারতের ত্রাতার চেহারায়৷
ছবি: UNI
ভারতের পথে পথে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদী পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ৷ সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের৷ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসাবে শুরু করলেও এবার তিনি হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে গেছেন সচেতনভাবে, যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: AP
নতুন ইতিহাস
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটই যে এবার ভারতে সরকারগঠন করতে যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপ থেকে তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ ৬৩ বছর বয়সি মোদীর নেতৃত্বে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি৷ ৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮১ কোটি ৪০ লাখ৷ তাঁদের মধ্যে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শেষ হাসি
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল – মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি ভারতকে বদলে দেবেন৷ অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, ‘কলঙ্কিত ভাবমূর্তি’ ঢাকতে এসব মোদীর ফাঁপা বুলি৷ তাঁর স্বৈরাচারী মেজাজ, শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে৷ বলা হচ্ছে, ভোটাররা টানা তৃতীয়বার কংগ্রেসকে চায়নি বলেই বিজেপি জয় পেয়েছে৷ যদিও শেষ হাসি দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখেই৷
ছবি: dapd
7 ছবি1 | 7
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে নতুনত্ব কিছু দেখতে পাচ্ছেন না৷ ডয়চে ভেলেকে উনি বলেন, ‘‘বিশ্বায়নের যুগে এটা ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়৷ নীতিগতভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না৷''
নিরাপত্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সামগ্রিকভাবে বিশ্ব নীতির অঙ্গ৷ এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক লাহিড়ি ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, ‘‘মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়বদ্ধতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ সে বিষয়ে উভয় দেশের গ্রহণযোগ্য একটা সূত্র বের করতে পারলে ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ বেড়ে যাবে বহুগুণ৷
ভারতের নির্বাচন ২০১৪
ভারতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে নয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে৷ ৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ৷ ভোট গণনা হবে ১৬ মে৷ ৮০ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নেবেন৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
জনগণের সরকার
ভারতের সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর৷ পার্লামেন্টে দুটি কক্ষ রয়েছে৷ উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা হিসেবে পরিচিত৷ নিম্নকক্ষে যে দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে৷
ছবি: AP
দৌড়ে এগিয়ে
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে৷ তবে তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পথটা নতুনভাবে বিবেচনা করতে হবে৷ কেননা ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদীকে বয়কট করেছে৷
ছবি: Reuters
কংগ্রেস নেতা
দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের হাল ধরা সোনিয়া গান্ধী এবার দলের দায়িত্বের বোঝা তুলে দিয়েছেন নিজ পুত্র রাহুল গান্ধীর কাঁধে৷ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পৌত্র এবং সবচেয়ে কমবয়সি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে রাহুল৷ কিন্তু গত ১০ বছর ধরে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেও সেখানে বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুর্নীতি বিরোধী নেতা
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে অভিষেক হয় দুর্নীতি বিরোধী দল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘কিং মেকার’ দল
বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images
সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা
এ বছর নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ এটিকে নির্বাচনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো দলই পিছিয়ে নেই৷ এ বছর প্রথম ভোট দেবেন এমন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি৷ এদের মধ্যে ৪০ ভাগ শহরে বাস করে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয়৷ ফলে নতুন এই প্রজন্ম এবারের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা রাখছে৷
মেশিনের মাধ্যমে ভোট
লোকসভার ৫৪৫ টি আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভারতের মানুষ ভোট দেবেন ৫ সপ্তাহ ধরে৷ ইলেকট্রনিক মেশিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে৷ ফলাফল জানা যাবে ১৬ মে৷
ছবি: AP
সংখ্যালঘুদের উপর নির্ভরশীলতা
ভারতে ১৩ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম৷ ১০০টি সংসদীয় কেন্দ্রে ১৫-২০ শতাংশ, ৩৫টি কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ এবং ৩৮টি আসনে মুসলিম ভোটদাতাদের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো৷ কাজেই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটবাক্স নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নমো’ উন্মাদনা
যখন থেকে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে (নমো) তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়; তখন থেকেই সে দেশের গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ব্র্যান্ড হিসেবে ‘নমোকে’ তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়৷ বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে নৈতিকতার প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে মোদী যাচ্ছেন নিউ ইয়র্কে৷ কিন্তু ওবামার সঙ্গে যেহেতু এটা পার্শ্ব বৈঠক নয়, পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, তাই বৈঠক বসবে ওয়াশিংটনে৷ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ওবামা তাঁর ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেই এ ধরণের বৈঠক করতে চাওয়ার গুরুত্বটা সহজবোধ্য৷ অবশ্য এই বৈঠকের প্রাথমিক প্রস্তুতিটা সেরে গেছেন ভারতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল৷
মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর অনেকে মনে করেছিলেন যে, তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিরাপত্তার খাতিরে প্রথমে হাত বাড়াবেন চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের দিকে, অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আশিয়ান দেশগুলির দিকে৷ তাই সবার আগে ওবামার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন মোদী৷ ঠিক যেমন তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী সার্ক দেশগুলির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে৷
প্রসঙ্গত, মোদী-ওবামা বৈঠক নিয়ে এতদিন সংশয় ছিল৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদীকে দায়ী করে ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল৷