দ্রগবা’র ইনজুরি, তবুও আশা আইভরি কোস্টকে নিয়ে
৫ জুন ২০১০আসলে আফ্রিকান দলগুলোই যেন এমন, কখন কি করে বসবে তা আগে থেকে কিছু বলে দেওয়া যায় না৷ যেমন সেনেগালের কথাই ধরুন না৷ ২০০২ এর বিশ্বকাপে তাদের পারফরমেন্স ছিল একটা বড় চমক৷ প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়ে দিয়েছিল তখনকার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে৷ গত বিশ্বকাপে আইভরি কোস্ট তেমন আহামরি কিছু দেখাতে না পারলেও এটুকু অন্তত বুঝিয়ে দিয়েছিল তারা ফেলনা নয়৷ আসলে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে এসে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে গ্রুপে পড়ার ফলে তারা সে সুযোগটি পায়নি৷ আসলে আইভরি কোস্টের ভাগ্যটিই যেন এমন৷ এবারও তাদের গ্রুপে রয়েছে ব্রাজিল ও পর্তুগালের মত শক্তিশালী দল৷ গ্রুপের অন্য দলটি হল উত্তর কোরিয়া৷ তাই গতবারের মত এবারও তাদের প্রথম রাউন্ডেই বেশ শক্ত পরীক্ষা দিতে হবে৷ তবুও এক জরিপে দেখা গেছে যে শতকরা ৫০ ভাগ লোক মনে করছে এবার ঠিকই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে আফ্রিকান এলিফেন্টরা৷
পশ্চিম আফ্রিকার এই দলটির সবচেয়ে বড় ভরসা তাদের অধিনায়ক ও স্ট্রাইকার দিদিয়ের দ্রগবা৷ যদিও ইতিমধ্যে দ্রগবার বিশ্বকাপ খেলা অনিশ্চিত হয়ে গেছে ইনজুরির কারণে৷ তবু দলে আছেন কোলো তুরে, গেরভিনহোর মত খেলোয়াড়রা যারা যে কোন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতে সক্ষম৷ এর বাইরে তো তাদের রয়েছে সভেন গোরান এরিকসনের মত কোচ৷ গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি৷ এর বাইরেও রয়েছে ইটালি ও পর্তুগালের মত দেশের কোচিং এর অভিজ্ঞতা৷ আশা করা যায় এরিকসনের নেতৃত্বে এবার একটা চমক হয়তো দেখাবে আইভরি কোস্ট৷ দলের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল তাদের গতি এবং আক্রমণ যা আর সব আফ্রিকান দলেই দেখা যায়৷ তবে রক্ষণভাগ তুলনামূলকভাবে দুর্বল৷ এছাড়াও দলের খেলোয়াড়দের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ