টিসিবির ন্যায্যমূল্যের চার ধরনের ভোগ্যপণ্যের জন্য ঢাকায় ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ছে৷ লাইনে এখন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্তদেরও দেখা যাচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় কম দামে পণ্য পেতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে৷ তবে টিসিবি বলছে, তাদের পণ্যের মান ভালো এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় মানুষ তাদের পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে৷
টিসিবির ট্রাকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা৷ আর সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী, এ পণ্যগুলোর বর্তমান বাজার মুল্য যথাক্রমে ১৬৮ টাকা, ১০০ টাকা, ৮০ টাকা এবং ৩৮ টাকা৷
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণেই নিম্নবিত্তের সাথে মধ্যবিত্তও লাইনে শামিল হচ্ছেন৷ তাদের অনেকেই আবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখলে মুখ লুকান৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় আয়ের সাথে ব্যয় মিলাতে না পেরে তারা টিসিবির পণ্যের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের৷
‘আগে শুধু নিম্নবিত্তরাই টিসিবির পণ্য কিনতেন’
ক্যাব-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজের হোসাইন বলেন, ‘‘আসল কথা হলো মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে৷ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে আয় বাড়ছে না৷ ফলে টিসিবির লাইন দীর্ঘ হচ্ছে৷ মধ্যবিত্তও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া তাদের উপায় নেই৷ কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত পণ্য না থাকায় তারা হতাশ হচ্ছেন৷’’
সক্রিয় প্রতারক চক্র!
এদিকে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতিদিনই সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হুড়োহুড়ি হচ্ছে৷ আবার শেষ পর্যন্ত পণ্য না পেয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
পণ্য না পাওয়ার জন্য প্রতারকচক্রকে দায়ী করছেন ভোক্তারা৷
জানা গেছে, বিভিন্ন প্রতারকচক্র সংঘবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিকবার পণ্য কিনে খোলা বাজারে লাভে বিক্রি করছে৷ তাদের হাতে অনেক সময়ই সাধারণ ক্রেতারা নাজেহাল হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হমায়ুন কবির বলেন, ‘‘পণ্যের মান ভালো এবং দাম অনেক কম হওয়ায় একটি চক্র একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিয়ে লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করে৷ তারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্যদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে৷ ফলে কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত পণ্য পান না৷ আমাদেরও করার কিছু থাকে না৷ কারণ প্রতারকদের ঠেকানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় বাড়তি জনবল আমাদের নেই৷’’
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৪৫০টি পয়েন্টে এখন ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে৷ এর মধ্যে ঢাকা শহরসহ ঢাকা বিভাগে ১০১টি পয়েন্টে পণ্য বিক্রি হয়৷ শুক্রবার বাদে সপ্তাহে প্রতিদিন প্রতিটি ট্রাকে দিনে ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল, ৪০০ কেজি ডাল, ৫০০ কেজি চিনি এবং ৫০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়৷
একজন ক্রেতা সয়াবিন তেল দুই লিটার, চিনি ও মসুর ডাল দুই কেজি এবং পেঁয়াজ সর্বনিম্ন দুই কেজি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি কিনতে পারেন৷
টিসিবির প্রত্যাশা, ওই পণ্য শেষ হওয়ার পরই ক্রেতারা আবার কিনবেন৷ কিন্তু দেখা যায়, অনেকে প্রতিদিনই কেনেন৷ আর প্রতারকচক্র তো আছেই৷
‘প্রতারকদের ঠেকাতে বাড়তি জনবল আমাদের নেই’
টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জুয়েলও মনে করেন, টিসিবির পণ্যের মান এখন অনেক ভালো এবং দাম কম তাই মানুষের আগ্রহ বাড়ছে৷ মধ্যবিত্তদের কেউ কেউ এখন লাইনে দাঁড়ান৷ তার কথা, ‘‘আগে এরকম দেখিনি৷ আগে শুধু নিম্নবিত্তরাই টিসিবির পণ্য কিনতেন৷’’
লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকের পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, লাইনে যারা দাঁড়ান শেষ পর্যন্ত তাদের সবাই পণ্য পান না৷ দুই-তিন ঘন্টা দাঁড়ানোর পরও কেউ কেউ ফিরে যান৷ কারণ পণ্য সীমিত৷
তিনি বলেন, ‘‘দলবেধে লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিকবার পণ্য কেনার ঘটনা তারা ধরে ফেললেও কিছু করার থাকেনা৷ কারণ পরিস্থিতি সামলানোর মতো লোকবল আমাদের নেই৷ আমরা তাদের চিহ্নিত করতে বিক্রি বন্ধ করলেও আবার বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়৷’’
উল্লেখ্য, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রির কর্মসূচি শেষ হলেও মার্চ থেকে আবারো শুরু হবে৷ রমজান মাসেও চলবে৷ এবার পণ্য এবং বিক্রির আওতা দুইটোই আরো বাড়ানো হবে৷
আর যারা ইতিমধ্যে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা পেয়েছেন তাদের তালিকা করে তারা যাতে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য পান তা নিশ্চিত করা হবে৷
এদিকে পেঁয়াজের সংকটের সময় অনলাইনে টিসিবির পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হলেও তা এখন আর চালু নেই৷
দ্রব্যমূল্যের তুলনা: ২০০৯ বনাম ২০২১
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জেলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে ঢাকার একটি বাজারে ২০০৯ ও ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম উল্লেখ করা হয়েছে৷
চাল
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিদিন ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রকাশ করে৷ এতে দেখা যাচ্ছে ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার এক বাজারে এক কেজি সরু বোরো চালের দাম ছিল ৩৪-৩৬ টাকা৷ ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর একই বাজারে ঐ চালের দাম ছিল ৫৭-৭০ টাকা৷ মোটা বোরো চালের দাম ২০০৯ সালে ছিল ২১-২৩ টাকা৷ ২০২১ সালে ছিল ৪৪-৪৭ টাকা৷
ছবি: DW
ডাল
২০০৯ সালে এক কেজি দেশি মসুর ডালের দাম ছিল ১০৮-১১০ টাকা৷ ২০২১ সালে ১০০-১১০ টাকা৷ আমদানিকৃত মসুর ডালের দাম ২০০৯ সালে ছিল ১১২-১১৫ টাকা৷২০২১ সালে সেটা কমে হয় ৮৫-৯০ টাকা৷ মুগ ডালের দাম ২০০৯ সালে ছিল ৮৫-১০০ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ১২০-১২৫ টাকা৷
ছবি: bdnews24.com/T. Ahammed
পেঁয়াজ
এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর ছিল ৪০-৪৪ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ৫৫-৬০ টাকা৷ আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ২০০৯ সালে ছিল ২৮-৩৪ টাকা৷ ২০২১ সালে ৪৫-৫০ টাকা৷
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
রসুন
২০০৯ সালে এক কেজি দেশি রসুনের দাম ছিল ৯০-১০৫ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা কম ছিল, ৫০-৭০ টাকা৷ আমদানিকৃত রসুনের এক কেজির দাম ২০০৯ সালে ছিল ৮০-৮৫ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ১১০-১২০ টাকা৷
ছবি: bdnews24.com/A. Mannan
কাঁচা মরিচ
২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার এক বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা৷ ঐ একই বাজারে ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১২০-১৩০ টাকা৷
ছবি: DW/H.U.R. Swapan
সয়াবিন তেল
২০০৯ সালে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭০-৭৩ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ১৩৮-১৪২ টাকায়৷
ছবি: Gustavo Cuevas/dpa/picture-alliance
চিনি
২০০৯ সালে আমদানিকৃত এক কেজি চিনির দাম ছিল ৫২-৫৪ টাকা৷ ২০২১ সালে ৭৫-৭৭ টাকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Kalaene
ডিম
২০০৯ সালে দেশি মুরগির ডিম ছিল ৩২-৩৪ টাকা হালি৷ ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকায়৷ ফার্মের মুরগির ডিমের (লাল) দাম ২০০৯ সালে ছিল ২৫-২৬ টাকা৷ ২০২১ সালে ৩৬-৪০ টাকা৷
ছবি: Reuters/W. Kurniawan
গরুর মাংস
গরুর মাংসের কেজিপ্রতি দাম ২০০৯ সালে ছিল ২২০-২৩০ টাকা৷ ২০২১ সালে সেটা বিক্রি হয়েছে ৫৮০-৬০০ টাকায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Bachmann
খামারের মুরগী
২০০৯ সালে কেজিপ্রতি দাম ছিল ১০০-১১০ টাকা৷ ২০২১ সালে ১৫০-১৬০ টাকা৷
ছবি: Getty Images/AFP/H. Dinh Nam
দেশি রুই
২০০৯ সালে ছিল ১৪০-১৬০ টাকা৷ ২০২১ সালে ২০০-৩০০ টাকা৷ বিস্তারিত জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Mortuza Rashed
পানির দাম
গত ১২ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা৷ ২০০৯ সালে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির দাম ছিল ৫ টাকা ৭৫ পয়সা৷ গত জুলাই থেকে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা দরে দাম দিতে হচ্ছে৷ অর্থাৎ গত ১২ বছরে ইউনিটপ্রতি পানির দাম প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে৷ সম্প্রতি চট্টগ্রাম ওয়াসাও আগামী মাস থেকে পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে৷
ছবি: AP
বিদ্যুৎ
এ বছরের ২১ জুন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) ও ভোক্তাকণ্ঠ আয়োজিত এক ওয়েবিনারের মূল নিবন্ধে বলা হয়, গত ১১ বছরে বিদ্যুতের দাম ১০ বার বেড়েছে৷ পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১১৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে৷ আর খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ৷
ছবি: DW
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি
৩ নভেম্বর বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়৷ ডিজেলের মোট চাহিদার ৬৩ শতাংশ ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে৷ আর সেচকাজে ব্যবহৃত হয় ১৬ শতাংশ৷ ৪ নভেম্বর ফার্নেস অয়েলের দাম লিটারপ্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে ৬২ টাকা করা হয়৷ আরও বেড়েছে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম৷ ১২ কেজির সিলিন্ডারে বেড়েছে ৫৪ টাকা৷
ছবি: Getty Images/P. Walter
মুনাফা সত্ত্বেও বৃদ্ধি
জ্বালানি বিভাগের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, সবশেষ ২০১৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল৷ মাঝে ২০১৬ সালে দাম কিছুটা কমানোও হয়েছিল৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম যখন কম ছিল তখন তেলের দাম ততটা না কমানোয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সাত বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছিল৷ আর এবার টানা পাঁচ মাস ক্ষতি হওয়ার পর দাম বাড়ানো হলো৷
ছবি: Alastair Grant/AP/picture alliance
ঢাকায় বাসা ভাড়া দ্বিগুন হয়েছে
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বলছে ঢাকায় ২০১০ সালে দুই কক্ষের পাকা বাসার গড় ভাড়া ছিল ১১ হাজার ৩০০ টাকা৷ ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৪ হাজার ৫৯০ টাকা৷ আধাপাকা (টিন শেড) বাড়ির দুই কক্ষের ভাড়া ২০১০ সালে ছিল ৬ হাজার ৮০০ টাকা৷ ২০১৯ সেটা বেড়ে হয় ১৩ হাজার ২০০ টাকা৷ ২০১০ সালে দুই কক্ষের মেসের গড় ভাড়া ছিল ১১ হাজার ৫০০ টাকা৷ ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ২৩ হাজার ২০০ টাকা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. uz Zaman
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে
এ বছরের জুনে ক্যাব জানায় ২০২০ সালে ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬.৮৮ শতাংশ এবং সেবা-সার্ভিসের দাম বেড়েছে ৬.৩১ শতাংশ৷ ২০১৯ সালে এটি ছিল যথাক্রমে ৬.৫০ শতাংশ ও ৬.০৮ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে তা ছিল ৬ শতাংশ ও ৫.১৯ শতাংশ৷ ঢাকার ১৫টি খুচরা বাজার ও বিভিন্ন সেবা-সার্ভিসের মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য ও ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবা-সার্ভিসের সংগৃহীত মূল্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ক্যাব৷
ছবি: Mortuza Rashed/DW
মাথাপিছু আয় বেড়েছে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে ২০০৯-২০১০ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৮৪৩ মার্কিন ডলার৷ আর সবশেষ হিসাব বলছে, মাথাপিছু আয় এখন ২,৫৫৪ ডলার৷ তবে এই আয়ের সুষম বণ্টন হচ্ছে বলে মনে করেন না অনেক অর্থনীতিবিদ৷ কারণ একদিকে যেমন একদল মানুষ দ্রুত ধনী হচ্ছেন, আবার গরিবের সংখ্যাও বাড়ছে৷ করোনার সময়ে প্রায় সোয়া তিন কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র্য হয়েছেন বলে সম্প্রতি এক জরিপে জানা গেছে৷