1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্রুত প্রজাতি বিলোপ: অনেকটাই অঙ্কের ভুল?

২০ মে ২০১১

মানুষ তাদের বিচরণভূমি বিনষ্ট করছে বলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ অতি দ্রুত লোপ পাচ্ছে৷ কিন্তু সেই বিলুপ্তির গতি যা ধরা হয়েছিল, বাস্তবে দৃশ্যত তার অর্ধেক৷

জীববৈচিত্র্যছবি: Bulgarian Biodiversity Foundation

‘নেচার' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে প্রবন্ধটি৷ তার বক্তব্য অতি সহজ: বিজ্ঞানী-গবেষকদের একটি অঙ্কের ভুল৷ ২০০৫ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ পরিবেশ গণনা এবং ২০০৭ সালের আইপিসিসি রিপোর্ট, দু'টিতেই প্রজাতি বিলোপের যে গতিবেগ ধরা হয়েছে, তা বুনিয়াদিভাবে ভুল৷ অর্থাৎ বিশেষভাবে বিপন্ন প্রজাতিদের তথাকথিত ‘‘লাল তালিকায়'' যে সংখ্যা আছে, তা অন্তত ২ দশমিক পাঁচ দিয়ে ভাগ করতে হবে, অর্থাৎ তা আড়াই গুণ কমে যাবে৷

প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা ভুলটা করে আসছেন৷ পৃথিবীতে প্রজাতিরা সাধারণত যে গতিতে বিলোপ পায়, তাকে বলা হয় ‘‘ব্যাকগ্রাউন্ড রেট'' বা পটভূমির হার৷ মানুষের কার্যকলাপের ফলে সেই বিলোপের হার স্বভাবতই অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বিশেষ করে অরণ্যনিধন, জলবায়ুর পরিবর্তন, জমির মাত্রাধিক ব্যবহার, নদী এবং সাগরের রাসায়নিক দূষণ ইত্যাদি কারণে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য কমে আসছে, প্রজাতি বিলোপের হার ব্যাকগ্রাউন্ড রেটের ১০০ থেকে ১,০০০ গুণ বেশী হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেটা তারা জানলেন কী করে?

২০১০ সাল ছিল ঘোষিত জীববৈচিত্র্যের বছর

বিলুপ্তির হার নির্ণয় করা খুব সহজ নয়৷ তাই বিজ্ঞানীরা একটি পরোক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করতেন যার উপজীব্য ছিল: একটি এলাকায় কতোগুলি প্রজাতি থাকে অথবা থাকতে পারে, তার একটা ধারণা করা৷ তারপর অঙ্ক কষে দেখা, এলাকাটি বাড়তে থাকলে প্রজাতির সংখ্যাও কীভাবে বাড়বে৷ কিন্তু এলাকা না বেড়ে যদি কমতে থাকে? তা'হলে বিজ্ঞানীরা স্রেফ পদ্ধতিটা, মানে অঙ্কটাকে উল্টো করে নিতেন৷ অর্থাৎ এলাকা বাড়লে যদি এই সংখ্যক প্রজাতি বাড়ে, তা'হলে এলাকা কমলে নিশ্চয় এই পরিমাণ প্রজাতি কমবে৷

বাস্তবে কিন্তু তা হয় না: প্রজাতির সংখ্যা বাড়ার জন্য এলাকাকে যেভাবে বাড়তে হয়, প্রজাতির বিলোপের জন্য তার চেয়ে অনেক বেশি এলাকা বিনষ্ট কি অন্য কাজে ব্যবহৃত হতে হয়৷ অর্থাৎ তিন দশক ধরে বিজ্ঞানীরা ভুল হিসেব করে চলেছেন৷ তার প্রমাণও পাওয়া গেছে৷ আশির দশকের সূচনায় বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, ২০০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অর্ধেক প্রজাতি লোপ পাবে৷ কিন্তু তা ঘটেনি৷ তখন বিজ্ঞানীরা ‘‘বিলুপ্তি ঋণ'' বলে অন্য একটি তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন, যার মর্ম হল, প্রজাতিটা গেছেই বলে ধরে নেওয়া যায়, যদিও বহুদিন অবধি সেই প্রজাতির এক-আধটা উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে৷ এখন বোঝা যাচ্ছে, ‘‘বিলুপ্তি ঋণ'' বলে খুব সম্ভবত কিছু নেই৷

অন্যদিকে, পৃথিবী থেকে বহু প্রজাতি যে লোপ পাচ্ছে, তা সে যে হারেই হোক, তা'তে অন্তত কোনো সন্দেহ নেই৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ