1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্রুত মানব পাচার মোকাবিলা করতে হবে : মুহিব্বুর রহমান

২৫ আগস্ট ২০১১

সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিস’ বা বিআইপিএসএস জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি৷ আর এ ব্যাপারে তদারকি করছে যুক্তরাষ্ট্র৷

In this photo taken on Thursday, July 23, 2009, an immigration department guard un-cuffs detainees at the Lenggeng detention center, south of Kuala Lumpur, Malaysia. The choice is a tough one _ face the possibility of being sold by an unscrupulous agent or linger in an overcrowded detention center. As Malaysia is cracking down on human trafficking _ following a critical U.S. government report _ the well-intentioned steps are hurting some they are supposed to help. (AP Photo/Mark Baker)
ফাইল ছবিছবি: AP

মানব পাচার একটি জঘন্য অপরাধ৷ শুধু বাংলাদেশে নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা৷ বাংলাদেশে মানব পাচার রোধে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ থাকলেও, এ বিষয়ে এতোদিন কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিলো না৷ কিন্তু ক'য়েক মাস আগে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১১'-এর একটি খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা৷ নির্ধারণ করা হয় মানব পাচারের একটি সংজ্ঞা, রাখা হয় মানব পাচার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তির বিধানও৷

নতুন আইনে নারী ও শিশু পাচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড৷ আর অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷ জরিমানা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা৷ অথবা দু'টোই৷

অবশ্য শুধু আইন প্রণয়ন করাই যথেষ্ট নয়৷ তাই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার বিষয়ক বিশেষ দূত লুইস সিডাবাকা'র সঙ্গে বৈঠকের পর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, কেউ যাতে বিদেশে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য নতুন আইনটি সার্বজনীন ও কঠোরতম করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচারের কথা কার্যত স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তবে অদক্ষ শ্রমিকরাই বিদেশে গিয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন৷

এদিকে, এই মানব পাচার বিষয়ক খসড়া আইনের একটি ধারার কড়া সমালোচনা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা৷ এর মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা হয়রানির মুখে পড়তে পারেন বলে আশংকা৷ তাঁরা মনে করেন, এতে করে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে৷ এ ব্যাপারে বিআইপিএসএস-এর রিসার্চ অ্যানালিস্ট মুহিব্বুর রহমান জানান, ‘‘বাংলাদেশে অনেক এজেন্সিই মানব সম্পদ রপ্তানি করছে৷ কিন্তু বহুক্ষেত্রে সবাই সব ধরনের ‘লিগাল প্রোসিডিওর' মেনে চলছেন না৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই এই আইনটি কার্যকর হলে, তা একটি আইনগত চাপ তৈরি করবে৷ আমি অবশ্য মনে করি, এই আইন মানব পাচার রোধ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷ তাছাড়া এটা শীঘ্র পাশ না হলে, আমরা এক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে চলে যাবো৷''

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ