দ্রুত যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় ব্লিংকেন ইসরায়েলে
১৯ আগস্ট ২০২৪
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটি ব্লিংকেনের নবম মধ্যপ্রাচ্য সফর। সোমবার তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর তিনি যাবেন মিশরে। তারা শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী।
ব্লিংকেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, এখন চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ আছে তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
রোববার নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েল নমনীয় হতে পারে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানের বদল হবে না। তিনি বলেছেন, ''আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত দেয়া-নেয়ার জায়গায় এসে পৌঁছাইনি।''
নেতানিয়াহু বলেছেন, ''যুদ্ধবিরতির আলোচনা খুবই জটিল। হামাস এখনো দোহায় আলোচনার জন্য কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। তাই ইসরায়েল নয়, হামাসের উপর বরং চাপ সৃষ্টি করা উচিত।'' তিনি বলেছেন, ''আমরা আমাদের নীতি থেকে সরতে চাই না। এটা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।''
গাজায় এখনো ১১০ জন ইসরায়েলি বন্দি আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত নভেম্বরে একশ জন বন্দিকৈ মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
হামাসের অভিযোগ
হামাস রোববার জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নতুন নতুন শর্ত আরোপ করছেন।
ইইউ, অ্যামেরিকা ও ইসরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। হামাসের দাবি, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে। কিন্তু নেতানিয়াহু তা বানচাল করে দিচ্ছেন। গাজায় বন্দিদের যদি কিছু হয়, তাহলে তার জন্য নেতানিয়াহু দায়ী থাকবেন।
গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দোহায় কথা বলছেন মধ্যস্থতাকারী দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু হামাস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর কথায় নতুন নতুন প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)