‘দয়া করে আমাদের জীবন বাঁচান’
২ মার্চ ২০১১সীমান্তে সমস্যা
লিবিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশ টিউনিশিয়া এবং মিশরে সরে যেতে চাইছে বিদেশিরা৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ লিবিয়া থেকে টিউনিশিয়ায় চলে গেছে৷ আরো অন্তত ৪০ হাজার এখন দু'দেশের সীমান্তে অবস্থান করছে৷ সেখানে আটকে পড়া এসব বিদেশির অবস্থা বেশ সঙ্গীন৷ বিশেষ করে খাদ্য এবং পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে সীমান্ত এলাকায়৷
আটকে আছে বাংলাদেশিরা
সিএনএন একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার লিবিয়া-টিউনিশিয়া সীমান্তে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেখাচ্ছিল৷ সিএনএনকে আটকে পড়া এক ব্যক্তি জানান, ‘‘আমরা বাংলাদেশি৷ দয়া করে আমাদের জীবন বাঁচান৷'' এসময় সাহায্য চেয়ে ব্যানার এবং হাতে আঁকা বাংলাদেশি পতাকাও প্রদর্শন করে বাংলাদেশিরা৷
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন লিবিয়ায় আটকে পড়া বিদেশিদের সহায়তায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, আপাতত তাদের জরুরী খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যবিধান এবং আবাসন সাহায্য প্রয়োজন৷ এছাড়া লিবিয়া থেকে স্থানান্তরিত বিদেশিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতেও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার বলে জানান মুন৷
সামরিক পদক্ষেপ
ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে লিবিয়ার সদস্যপদ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে৷ মার্কিন ষষ্ঠ নৌবহর লিবিয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছে বলে খবর৷ ব্রিটেন সরকার লিবিয়ায় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জোর তদবির করছে৷ কেননা, লিবিয়ার যেসব শহর সরকার-বিরোধীরা দখল করে নিয়েছে, সেসব শহরে গাদ্দাফিপন্থীরা বিমান হামলা চালাতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাই জানিয়েছেন, সেদেশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত৷ ফ্রান্স কোনোরকম সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে৷ সেদেশের মতে, এমন পদক্ষেপ নিলে গোটা আরব বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন