1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধনি দেশের গরিব ছেলেমেয়েরা

২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

জাপানে ক্রমেই আরো বেশি কমবয়সের ছেলেমেয়ে দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে যাচ্ছে৷ সরকারের এ বিষয়ে আরো সক্রিয় হওয়া উচিত, বলছেন এনজিও আর স্বেচ্ছাসেবীরা৷

টোকিওর একটি স্কুলে
ছবি: Reuters/T. Hanai

মনে রাখতে হবে, জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ধনি দেশগুলির মধ্যে পড়ে, এছাড়া জাপানি সমাজ সকলের দেখাশুনা করে বলে নাম আছে৷ জাপানের প্রসঙ্গ উঠলে দারিদ্র্য কথাটা না এসে পড়ারই কথা৷

কিন্তু ইউনিসেফ গত এপ্রিল মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যে রিপোর্টে জাপানে শিশু দারিদ্র্যের এক নির্মম ছবি আঁকা হয়েছে৷ বিযয়টিকে তুলনামূলকভাবে দেখেছে ইউনিসেফ: দৃশ্যত জাপানের দরিদ্রতম পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা অধিকাংশ শিল্পোন্নত দেশের তুলনায় বেশি অসুবিধা ভোগ করে অথবা কম সুযোগসুবিধা পায়৷

ইউনিসেফ-এর রিপোর্টে প্রধানত কম আয়ের ও মাঝারি আয়ের পরিবারবর্গের ছেলেমেয়েদের ব্যবধান বিশ্লেষণ করা হয়েছে৷ দেখা গেছে, অসাম্যের বিচারে জরিপের ৪১টি দেশের মধ্যে জাপানের স্থান অষ্টম৷ আপেক্ষিক দারিদ্র্যের হার বা যারা গড় আয়ের অর্ধেকের কম আয়ে জীবনধারণ করে, তাদের হিসেব নিলে জাপানে প্রতি ছ'টি শিশুর মধ্যে একটি শিশু দরিদ্র৷

ওকিনাওয়া প্রিফেকচারের মতো অর্থনৈতিক বিচারে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে প্রায় ৩০ শতাংশ শিশু দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে, বলে জানা গেছে৷ এই সংখ্যা জাতীয় গড়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি৷ গত ২৫ বছর ধরে জাপানে দারিদ্র্যের হার বাড়তে দেখছেন ইয়াসুশি আওতো, যিনি জাপানের শিশু দারিদ্র্য ও শিক্ষা সাহায্য সংগঠন সমিতির সভাপতি৷

দারিদ্র্য থেকেই আসে দারিদ্র্য

১৭ বছরের কম বয়সের ৩৫ লাখ শিশু জাপানে দারিদ্র্যে জীবনযাপন করছে, বলে আওতোর সংস্থার অনুমান৷ অবশ্য দারিদ্র্য বলতে জাপানে বোঝায় যে পরিবারের আয় মাসে ২,০০০ ইউরোর কম৷ তা সত্ত্বেও মাত্র দু'লাখ শিশুর জন্য ওয়েলফেয়ার নেন তাদের পরিবারর্গ – তার কারণ, জাপানি সমাজে বেকারত্ব বা সরকারি ভাতা নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধা আছে৷

ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনো করার খরচ বেড়েই চলেছে, কাজেই অস্বচ্ছল পরিবারবর্গের ছেলেমেয়েদের পক্ষে ইউনিভার্সিটিতে সিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব৷  বাড়ির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দরুণ হাজার হাজার ছেলেমেয়ে তাদের হাইস্কুলের পড়াশুনো শেষ করতে পারে না৷ কাজেই ভবিষ্যতেও এই শিশুদের দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাবার সম্ভাবনা কম, বলে মনে করেন আওতো৷

শিক্ষার কথা আসে অনেক পরে, কেননা তোশিমা কোদোমো ওয়াকুওয়াকু নেটওয়ার্কের মতো দাতব্য সংগঠন দেখেছে যে, জাপানে বহু শিশু অনেক সময় সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকে৷ তাই তাদের জন্য ‘‘ছোটদের কাফে''-র ব্যবস্থা করেছে এই সংগঠন৷ এভাবে সারা জাপানে ৩০০টি চিলড্রেন্স কাফেটেরিয়া গড়ে উঠেছে৷

জুলিয়ান রায়াল (টোকিও)/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ