1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধনী দেশগুলোর মাংস খাওয়া ‘কমাতে হবে'

১৭ অক্টোবর ২০১৮

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের রাশ টানতে ধনী দেশগুলোর প্রতি জনগণকে মাংস খাওয়া কমানো এবং কৃষকদের আরো পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা নিতে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান এসেছে৷

Fleisch
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Bachmann

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও'র তথ্য মতে, মাংস ও দুধ তৈরির জন্য গরু, ছাগল, মহিষ, শূকরসহ এ ধরনের পশুই বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের ১৪ দশমিক ৫ শতাংশের জন্য দায়ী৷

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সোচ্চার চেঞ্জিং ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর নুসা উরবানসিস বলেন, ‘‘আমরা যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বিশেষত ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নীচে রাখতে চাই তাহলে আমাদের এসব প্রাণিজ আমিষের ব্যবহার কমাতে হবে৷''

পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নীচে রাখতে বিশেষ পদক্ষপ না নিলে বিশ্ব তীব্র দাবদাহ, অতি বৃষ্টি ও ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলে গত সপ্তাহে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ৷

খাদ্যপণ্য খাতে সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে চেঞ্জিং মার্কেটস ফাউন্ডেশন ও ওয়াশিংটনভিত্তিক মাইটি আর্থ এক প্রতিবেদনে বলেছে, মানুষের স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় যে পরিমাণ মাংস থাকার কথা, তার দ্বিগুণ খাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে৷

 

‘‘গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং কার্বন সংরক্ষণে ভূমি ফাঁকা রাখার জন্য খাদ্য তালিকা থেকে প্রাণিজ আমিষ বাদ দেওয়াটা ‘তুলনামূলক সহজ ও সাশ্রয়ী পন্থা' হবে৷''

উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন গড়ে সরকারি সুপারিশ ৭০ গ্রামের তিনগুণ লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খান৷

এখন অনেকে, বিশেষত তরুণরা প্রাণিজ আমিষ ছেড়ে সবজি খাওয়ায় মনোযোগী হলেও সরকার মাংস তৈরি ও ডেইরি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রেখেছে এবং তা জলবায়ু পরিবর্তন আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে৷

জৈব কৃষিতে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে উরবানসিস বলেন, ‘‘ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় প্রচুর সরকারি অর্থ কৃষি ভর্তুকিতে যায়, কিন্তু পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণে যায় তার খুবই ক্ষুদ্র অংশ৷'' 

এসব দেশে জনগণকে মাংস খাওয়া কমাতে উদ্ধুব্ধ করাএবং কম কার্বন নিঃসরণকারী বিকল্প খাবারকে জনপ্রিয় করতে সরকারি নীতির ঘাটতিকে ‘দুঃখজনক' বলা হয়েছে প্রতিবেদনে৷

পরিবেশবান্ধব কৃষিকে উৎসাহিত করছে ওয়েলস৷ সেখানে পানি ব্যবস্থাপনা, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার পদক্ষেপের জন্য ফার্মগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার৷

এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত ওয়েলসের কৃষক টনি ডেডিস তাঁর ফার্মে পশুর সংখ্যা ২০০৫ সালের চেয়ে দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে ৬০০-তে এনেছেন, যাতে তাঁর খরচ কমে মুনাফা বেড়েছে৷

এএইচ/এসিবি    (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ